Ajker Patrika

পরমাণু ইস্যুতে বৈঠক শুরুর ঠিক আগে ইরানের ওপর ফের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক
ইরানের একটি পারমাণবিক স্থাপনা ঘুরে দেখছেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ছবি: এএফপি
ইরানের একটি পারমাণবিক স্থাপনা ঘুরে দেখছেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ছবি: এএফপি

ইরানের পরমাণু কর্মসূচির পক্ষে থাকার অভিযোগে পাঁচটি ইরানি সংস্থা ও এক ব্যক্তির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাত্র কয়েক দিন আগেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের সঙ্গে আলোচনা শুরুর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এমনকি পারস্য উপসাগরের উপকূলবর্তী দেশ ওমানে অল্প কিছু দিনের মধ্যে আলোচনা শুরু হতে পারে এমন সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।

লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়েদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ তথা অর্থ মন্ত্রণালয় এই কোম্পানিগুলো ও ব্যক্তির নাম প্রকাশ করে। এদের মধ্যে রয়েছে—ইরানের অ্যাটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশন এবং এর সহযোগী সংস্থা ইরান সেন্ট্রিফিউজ টেকনোলজি কোম্পানি।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন—আতবিন ইস্তা টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির প্রধান মজিদ মোসাল্লাত। ট্রেজারি বিভাগের অভিযোগ, তিনি ইরানের পরমাণু কার্যকলাপের জন্য বিদেশি যন্ত্রাংশ ক্রয়ে সহায়তা করেছেন।

এই পদক্ষেপ এমন সময় এল যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল ওমানে তাদের প্রথম দফা আলোচনায় বসতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি গত মঙ্গলবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সদিচ্ছা নিয়ে আলোচনা শুরু করলে একটি চুক্তি হতে পারে।

যদিও ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে পরিত্যক্ত চুক্তিটির প্রতিস্থাপনের জন্য একটি ‘নতুন চুক্তি’ করতে কূটনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন, একই সঙ্গে তিনি ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি পুনর্বহাল করেছেন এবং আলোচনা ব্যর্থ হলে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন।

তেহরান নতুন নিষেধাজ্ঞা ও ট্রাম্পের হুমকি নিন্দা করেছে এবং এগুলোকে তাঁর আলোচনার প্রস্তাবের বিপরীত বলে অভিহিত করেছে। আরাঘচির মন্তব্য এমন সময় এল যখন আগামী শনিবার ওমানে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের পরোক্ষ আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসও ইরানের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বৈঠকের খবর প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প সোমবার দাবি করেছিলেন যে, ওয়াশিংটন ও তেহরান ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সরাসরি আলোচনা শুরু করেছে। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে আমাদের সরাসরি আলোচনা চলছে এবং তা শুরু হয়েছে। এটি শনিবার পর্যন্ত চলবে। আমাদের একটি খুব বড় বৈঠক আছে এবং দেখা যাক কী হতে পারে। এবং আমি মনে করি সবাই একমত যে একটি চুক্তি হওয়া বাঞ্ছনীয়।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট তেহরানের পরমাণু উচ্চাকাঙ্ক্ষা সীমিত করার জন্য একটি নতুন চুক্তির বিষয়ে সরাসরি আলোচনার পক্ষে কথা বলছেন। এর প্রতিক্রিয়ায়, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই সম্প্রতি ইরানের পরোক্ষ আলোচনার প্রস্তাবকে ‘উদার, দায়িত্বশীল এবং বিজ্ঞ’ বলে বর্ণনা করেছেন।

এমন জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে যে, কোনো চুক্তি না হলে ‘ইসরায়েল’ সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা করতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত