Ajker Patrika

স্বাধীনতা দিবসে করোনা নিয়ে আশার বাণী বাইডেনের

স্বাধীনতা দিবসে করোনা নিয়ে আশার বাণী বাইডেনের

ব্রিটেনের রাজতন্ত্রের অধীনে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ১৭৭৬ সালের ০৪ জুলাই স্বাধীনতা লাভ করে। প্রতিবছর নানান বর্ণিল আয়োজনে দিবসটি উদ্‌যাপন করে মার্কিনিরা। তবে করোনার কারণে সেই আয়োজনের জৌলুশ কমেছে। 

করোনা পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করছে দেশটি। গত বছরের চেয়ে এ বছর দেশটির করোনা পরিস্থিতি অনেকটা ভালো। দেশটির ৬৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক টিকার কমপক্ষে একটি ডোজ পেয়েছেন। তাই এ বছর সাজ সাজ রঙেই উদ্‌যাপিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৫তম স্বাধীনতা দিবস। 

মার্কিন আতশবাজি ব্যবসায়ীদের সংগঠন আমেরিকান পাইরোটেকনিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জুলি হেকম্যান বলেন, প্রায় ৭০ শতাংশ উৎসব এবার ফিরে এসেছে। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের উৎসবকে কেন্দ্র করে বিশাল জনসমাবেশ, কুচকাওয়াজ এবং কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। চোখ ধাঁধানো আতশবাজিও এবারের স্বাধীনতা দিবস আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘এই ৪ জুলাই, আমেরিকা ফিরে এসেছে।’ 

জো বাইডেন আরও বলেন, ‘আমরা গ্রীষ্মের আনন্দময় দিনগুলোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কোটি কোটি মার্কিনিকে আমি ধন্যবাদ জানাই যারা করোনাভাইরাসের এই মহামারি থেকে বাঁচতে, টিকা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং এগিয়ে এসেছেন। যারা সংকটপূর্ণ এই সময়ে সম্মুখযোদ্ধা ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত ছিলেন তাঁদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ।’ 

করোনা থেকে মুক্তির আশাবাদ ব্যক্ত করে বাইডেন বলেন, ‘এই বছরের ৪ জুলাই গত বছরের ৪ জুলাইয়ের থেকে ভিন্ন। আশা রাখছি আগামী বছর পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।’ 

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘এই স্বাধীনতা দিবসে সম্মুখযোদ্ধা ও জরুরি সেবায় নিয়োজিতদের ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা আমাদের নিরাপত্তা দিয়েছে।’ 

তবে বাইডেন আশার বাণী শোনালেও যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন ‘ডেলটা’। দেশটির আরাকানসাসসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা কোভিডের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করেছেন। আরাকানসাসের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক বারবারা ফেরার বলেন, নতুন করে সংক্রমণ বাড়লে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঝুঁকিতে পড়বে। বিশেষত ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে ৪০ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে। 

উল্লেখ্য, পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারি শুরুর পর এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ৩৬০ জন আর মোট মারা গেছেন ৪ লাখ ২ হাজার ৭০৮ জন।  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত