১৮৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসের আচিসনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন দুঃসাহসী এবং স্বাধীনচেতা। গত শতকে বিশ্বজুড়ে যেসব নারী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অ্যামেলিয়া অন্যতম। তিনিই প্রথম নারী হিসেবে বিমান চালিয়ে আটলান্টিক পাড়ি দিয়েছিলেন। আরও অসংখ্য রেকর্ড উল্লেখ আছে তাঁর নামের পাশে।
১৯৩৭ সালে লকহিড ইলেক্ট্রা-টেন-ই বিমান নিয়ে পুরো পৃথিবী চক্কর দেওয়ার মিশনে বের হয়েছিলেন অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট। সঙ্গে ছিলেন নাবিক ফ্রেড নুনান। সেই বছরের মার্চে বিমানে সমস্যার কারণে প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও ২১ মে নুনানকে নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ড থেকে যাত্রা শুরু করেন তিনি।
৪০ দিনে মোট ২০ জায়গায় যাত্রা বিরতি দিয়ে অ্যামেলিয়া ও নুনান ২২ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পাপুয়া নিউগিনির পূর্ব উপকূলের লায়ে নামক এক স্থানে পৌঁছান। পরে ২ জুলাই সকালে তারা ভ্রমণের সবচেয়ে কঠিনতম পথে যাত্রা শুরু করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের গন্তব্য ছিল লায়ের মূল ভূখণ্ড থেকে আড়াই হাজার মাইল দূরে মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত হাউল্যান্ড নামে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ একটি প্রবালদ্বীপ।
হাউল্যান্ড দ্বীপে যাত্রাবিরতি করে বিমানের জ্বালানি ভরার কথা ছিল ইয়ারহার্ট ও নুনানের। কিন্তু সেই দ্বীপের কাছাকাছি গিয়েও রহস্যজনকভাবে তাঁদের নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় বিমানটি। ব্যাপক অনুসন্ধানের পরও ইয়ারহার্ট, নুনান কিংবা বিমানের একটি টুকরোও খুঁজে পাওয়া যায়নি। দুই সপ্তাহের অনুসন্ধান শেষে মার্কিন সরকার ঘোষণা করে, অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট এবং ফ্রেড নুনান বিমানসহ সাগরে বিধ্বস্ত হয়ে হারিয়ে গেছেন।
সে সময় ধারণা করা হয়েছিল, ইয়ারহার্ট দ্বীপে নামার আগে যোগাযোগ রক্ষাকারী একটি জাহাজের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। ফলে দিক ভুলে তাঁরা অন্যদিকে চলে যান। একপর্যায়ে তেল শেষ হয়ে গেলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তাঁরা প্রশান্ত মহাসাগরে তলিয়ে যান।
বহু বছরের অমীমাংসিত সেই রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছেন এবার টনি রোমিও নামে এক অভিযাত্রী। তিনি মার্কিন বিমানবাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং ডিপ সি ভিশনের সিইও। প্রশান্ত মহাসাগরে গভীর-সমুদ্র অনুসন্ধানের কাজ করছেন তিনি। এই মিশনে ১৯৩৭ সালে নিখোঁজ হওয়া ইয়ারহার্টের বিমানটি খুঁজে বের করতে দুর্ঘটনার কাছাকাছি অঞ্চলগুলোতে সোনার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমুদ্রের তলদেশে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছিলেন তিনি।
রোমিওর দল গত ডিসেম্বরে একটি ডুবো ড্রোন দ্বারা ধারণ করা ‘সোনার ডেটা’ পর্যালোচনা করে একটি অস্পষ্ট সমতলের মতো একটি চিত্র খুঁজে পায়। রোমিও বিশ্বাস করেন, এটি ইয়ারহার্টের হারিয়ে যাওয়া সেই টুইন ইঞ্জিন লকহিড-টেন-ই ইলেক্ট্রা।
ছবিটি অস্ট্রেলিয়া এবং হাওয়াইয়ের মাঝামাঝি হাওল্যান্ড দ্বীপ থেকে প্রায় ১০০ মাইল দূরে সমুদ্রের তলদেশ থেকে নেওয়া হয়েছিল। ছবিটি অস্পষ্ট হলেও রোমিও অবিচল যে—এটিই সেই বিমান।
স্কাই নিউজ, এনবিসি সহ মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর কাছে রোমিও দাবি করেছেন, নির্দিষ্ট ওই অঞ্চলটিতে ইয়ারহার্টের বিমান ছাড়া আর কোনো বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার রেকর্ড নেই। তা ছাড়া অস্পষ্ট ছবিতে বিমানের যে অবয়ব দেখা যাচ্ছে, তার সঙ্গে সেই আমলের বিমানগুলোর মডেলের সাদৃশ্য রয়েছে।
রোমিওর দল চলতি বছর কিংবা পরের বছরের শুরুতে একটি ক্যামেরা এবং একটি ড্রোন নিয়ে আরও তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। সর্বশেষ যাত্রায় দলটি সমুদ্রের তলদেশের ৫ হাজার ২০০ বর্গমাইল এলাকা স্ক্যান করার জন্য একটি মনুষ্যবিহীন সাবমারসিবল ব্যবহার করেছিল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য অনুসারে, পানির অন্তত ৫ কিলোমিটার গভীরে সন্দেহজনক বিমানটির অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছে রোমিওর দল।
১৮৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসের আচিসনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন দুঃসাহসী এবং স্বাধীনচেতা। গত শতকে বিশ্বজুড়ে যেসব নারী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অ্যামেলিয়া অন্যতম। তিনিই প্রথম নারী হিসেবে বিমান চালিয়ে আটলান্টিক পাড়ি দিয়েছিলেন। আরও অসংখ্য রেকর্ড উল্লেখ আছে তাঁর নামের পাশে।
১৯৩৭ সালে লকহিড ইলেক্ট্রা-টেন-ই বিমান নিয়ে পুরো পৃথিবী চক্কর দেওয়ার মিশনে বের হয়েছিলেন অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট। সঙ্গে ছিলেন নাবিক ফ্রেড নুনান। সেই বছরের মার্চে বিমানে সমস্যার কারণে প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও ২১ মে নুনানকে নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ড থেকে যাত্রা শুরু করেন তিনি।
৪০ দিনে মোট ২০ জায়গায় যাত্রা বিরতি দিয়ে অ্যামেলিয়া ও নুনান ২২ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পাপুয়া নিউগিনির পূর্ব উপকূলের লায়ে নামক এক স্থানে পৌঁছান। পরে ২ জুলাই সকালে তারা ভ্রমণের সবচেয়ে কঠিনতম পথে যাত্রা শুরু করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের গন্তব্য ছিল লায়ের মূল ভূখণ্ড থেকে আড়াই হাজার মাইল দূরে মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত হাউল্যান্ড নামে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ একটি প্রবালদ্বীপ।
হাউল্যান্ড দ্বীপে যাত্রাবিরতি করে বিমানের জ্বালানি ভরার কথা ছিল ইয়ারহার্ট ও নুনানের। কিন্তু সেই দ্বীপের কাছাকাছি গিয়েও রহস্যজনকভাবে তাঁদের নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় বিমানটি। ব্যাপক অনুসন্ধানের পরও ইয়ারহার্ট, নুনান কিংবা বিমানের একটি টুকরোও খুঁজে পাওয়া যায়নি। দুই সপ্তাহের অনুসন্ধান শেষে মার্কিন সরকার ঘোষণা করে, অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট এবং ফ্রেড নুনান বিমানসহ সাগরে বিধ্বস্ত হয়ে হারিয়ে গেছেন।
সে সময় ধারণা করা হয়েছিল, ইয়ারহার্ট দ্বীপে নামার আগে যোগাযোগ রক্ষাকারী একটি জাহাজের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। ফলে দিক ভুলে তাঁরা অন্যদিকে চলে যান। একপর্যায়ে তেল শেষ হয়ে গেলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তাঁরা প্রশান্ত মহাসাগরে তলিয়ে যান।
বহু বছরের অমীমাংসিত সেই রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছেন এবার টনি রোমিও নামে এক অভিযাত্রী। তিনি মার্কিন বিমানবাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং ডিপ সি ভিশনের সিইও। প্রশান্ত মহাসাগরে গভীর-সমুদ্র অনুসন্ধানের কাজ করছেন তিনি। এই মিশনে ১৯৩৭ সালে নিখোঁজ হওয়া ইয়ারহার্টের বিমানটি খুঁজে বের করতে দুর্ঘটনার কাছাকাছি অঞ্চলগুলোতে সোনার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমুদ্রের তলদেশে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছিলেন তিনি।
রোমিওর দল গত ডিসেম্বরে একটি ডুবো ড্রোন দ্বারা ধারণ করা ‘সোনার ডেটা’ পর্যালোচনা করে একটি অস্পষ্ট সমতলের মতো একটি চিত্র খুঁজে পায়। রোমিও বিশ্বাস করেন, এটি ইয়ারহার্টের হারিয়ে যাওয়া সেই টুইন ইঞ্জিন লকহিড-টেন-ই ইলেক্ট্রা।
ছবিটি অস্ট্রেলিয়া এবং হাওয়াইয়ের মাঝামাঝি হাওল্যান্ড দ্বীপ থেকে প্রায় ১০০ মাইল দূরে সমুদ্রের তলদেশ থেকে নেওয়া হয়েছিল। ছবিটি অস্পষ্ট হলেও রোমিও অবিচল যে—এটিই সেই বিমান।
স্কাই নিউজ, এনবিসি সহ মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর কাছে রোমিও দাবি করেছেন, নির্দিষ্ট ওই অঞ্চলটিতে ইয়ারহার্টের বিমান ছাড়া আর কোনো বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার রেকর্ড নেই। তা ছাড়া অস্পষ্ট ছবিতে বিমানের যে অবয়ব দেখা যাচ্ছে, তার সঙ্গে সেই আমলের বিমানগুলোর মডেলের সাদৃশ্য রয়েছে।
রোমিওর দল চলতি বছর কিংবা পরের বছরের শুরুতে একটি ক্যামেরা এবং একটি ড্রোন নিয়ে আরও তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। সর্বশেষ যাত্রায় দলটি সমুদ্রের তলদেশের ৫ হাজার ২০০ বর্গমাইল এলাকা স্ক্যান করার জন্য একটি মনুষ্যবিহীন সাবমারসিবল ব্যবহার করেছিল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য অনুসারে, পানির অন্তত ৫ কিলোমিটার গভীরে সন্দেহজনক বিমানটির অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছে রোমিওর দল।
ভারতের রাজস্থানের ঝালাওয়ার জেলায় একটি সরকারি স্কুল ভবন ধসে অন্তত ৬টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াই দুটি শিশু গুরুতর আহত। আজ শুক্রবার সকালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
১৩ মিনিট আগেইসরায়েলি বর্বরতায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় নিহত হলো আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার উপত্যকাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ৬২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। নিহতদের মধ্যে ১৯ জন ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত মানবিক সংগঠন গাজা...
৩৭ মিনিট আগেকোল্ডপ্লে কনসার্টের কিস ক্যামে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরা পড়ার ঘটনায় অ্যাস্ট্রোনোমারের নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যান্ডি বাইরনের পর এবার পদত্যাগ করলেন মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবট। গতকাল বৃহস্পতিবার, বিবৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রোনোমার।
২ ঘণ্টা আগেআগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স। গতকাল বৃহস্পতিবার, সামাজিক মাধ্যম এক্সে এ ঘোষণা দিয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। এর ফলে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দানকারী জি৭ জোটভুক্ত প্রথম দেশ হবে দেশটি।
৩ ঘণ্টা আগে