অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার চীন ছাড়া অন্য সব দেশের ওপর থেকে ব্যাপক শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। এই পদক্ষেপ মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেও প্রায় অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল। ট্রাম্পের মতে, ৭৫ টিরও বেশি দেশ তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণেই এই স্থগিতাদেশ। তিনি বলেছেন, এই ৯০ দিনের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের একটি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাসকৃত রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টাপাল্টি শুল্ক কার্যকর থাকবে।
তবে চীনের ক্ষেত্রে ট্রাম্প শুল্ক অবিলম্বে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছেন, যা আগে ঘোষিত ১০৪ শতাংশ থেকে বেশি। এই ঘোষণা দিয়ে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেন, ‘বিশ্ববাজারের প্রতি চীনের অনাগ্রহের ভিত্তিতে, আমি দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক অবিলম্বে কার্যকরভাবে ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করছি। আশা করি, অদূর ভবিষ্যতে কোনো এক সময়ে চীন বুঝতে পারবে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশগুলোকে আর ঠকানো টেকসই বা গ্রহণযোগ্য নয়।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও লিখেন, ‘চীন একটি চুক্তি করতে চায়। তারা কেবল জানে না কীভাবে এটি করতে হয়...প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং একজন গর্বিত মানুষ। তারা জানে না কীভাবে এটি (চুক্তি) করতে হয়, তবে তারা এটি বের করে ফেলবে।’
বিগত কয়েক দিন ধরে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির নেতারা ও ব্যবসায়িক নির্বাহীরা ট্রাম্পকে শুল্ক বন্ধের অনুরোধ করছিলেন। তাদের আশঙ্কা ছিল, একটি ব্যাপক বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হতে পারে এবং এর ফলে বিশ্বব্যাপী বাজারে ধস নামতে পারে। ট্রাম্পের এই উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী মন্দার উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে ট্রাম্প তাঁর অবস্থানে অনড় থেকে বলেছিলেন, ‘আমার নীতি কখনই পরিবর্তন হবে না।’
শুল্ক স্থগিতের ঘোষণার আগে, বুধবারই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, ট্রাম্পকে শুল্ক প্রত্যাহার করার জন্য রাজি করানোর প্রচেষ্টা সফল হবে না, কারণ সেগুলো আগেই কার্যকর হয়ে গিয়েছিল। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্ড মার্কেটের অগ্রগতি নিয়ে ট্রেজারি বিভাগের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগই একমাত্র কারণ ছিল যা ট্রাম্পকে তার পারস্পরিক শুল্ক ব্যবস্থায় বিরতি দিতে বাধ্য করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি তথা অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ট্রাম্পের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। শুল্ক স্থগিতের ঘোষণার পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইঙ্গিত দিয়েছিল, সিদ্ধান্তটি পরিকল্পিত কৌশল নয় বরং একটি আবেগপ্রসূত সিদ্ধান্ত ছিল।
ট্রাম্প বলেন, ‘বন্ড মার্কেট খুবই কঠিন, আমি এটি দেখছিলাম। বন্ড মার্কেট এখন সুন্দর। তবে হ্যাঁ, আমি গত রাতে দেখেছি যে, লোকজন অস্বস্তি বোধ করছে। আমাদের আইনজীবীদের কাছে যাওয়ার সুযোগ ছিল না, অথবা এটি কেবল লেখা হয়েছিল। আমরা এটি আমাদের অন্তর থেকে লিখেছি, তাই না? এটি অন্তর থেকে লেখা হয়েছিল, এবং আমি মনে করি এটি ভালোও লেখা হয়েছে, তবে এটি অন্তর থেকে লেখা হয়েছিল।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম লোকজন একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করছে...তারা একটু উত্তেজিত হয়ে উঠছিল, জানেন তো, তারা একটু একটু ভয় পাচ্ছিল। আপনাকে নমনীয় হতে হবে।’
এদিকে, ট্রাম্পের আকস্মিক পদক্ষেপের ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ারের দাম দ্রুত বেড়ে যায়। ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ডাউ অ্যান্ড জোনস সূচক প্রায় ৮ শতাংশ বেড়ে প্রায় ২৫০০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, প্রযুক্তি শেয়ারবাজর নাসডাক ১২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে গত ২৪ বছরের মধ্যে সেরা দিনের ফল করেছে এবং এসঅ্যান্ডপি-৫০০ ছয় শতাংশ বেড়ে ৫২৮১ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে পৌঁছেছে। তেলের দাম ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে এবং ডলারও শক্তিশালী হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার চীন ছাড়া অন্য সব দেশের ওপর থেকে ব্যাপক শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। এই পদক্ষেপ মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেও প্রায় অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল। ট্রাম্পের মতে, ৭৫ টিরও বেশি দেশ তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণেই এই স্থগিতাদেশ। তিনি বলেছেন, এই ৯০ দিনের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের একটি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাসকৃত রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টাপাল্টি শুল্ক কার্যকর থাকবে।
তবে চীনের ক্ষেত্রে ট্রাম্প শুল্ক অবিলম্বে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছেন, যা আগে ঘোষিত ১০৪ শতাংশ থেকে বেশি। এই ঘোষণা দিয়ে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেন, ‘বিশ্ববাজারের প্রতি চীনের অনাগ্রহের ভিত্তিতে, আমি দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক অবিলম্বে কার্যকরভাবে ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করছি। আশা করি, অদূর ভবিষ্যতে কোনো এক সময়ে চীন বুঝতে পারবে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশগুলোকে আর ঠকানো টেকসই বা গ্রহণযোগ্য নয়।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও লিখেন, ‘চীন একটি চুক্তি করতে চায়। তারা কেবল জানে না কীভাবে এটি করতে হয়...প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং একজন গর্বিত মানুষ। তারা জানে না কীভাবে এটি (চুক্তি) করতে হয়, তবে তারা এটি বের করে ফেলবে।’
বিগত কয়েক দিন ধরে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির নেতারা ও ব্যবসায়িক নির্বাহীরা ট্রাম্পকে শুল্ক বন্ধের অনুরোধ করছিলেন। তাদের আশঙ্কা ছিল, একটি ব্যাপক বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হতে পারে এবং এর ফলে বিশ্বব্যাপী বাজারে ধস নামতে পারে। ট্রাম্পের এই উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী মন্দার উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে ট্রাম্প তাঁর অবস্থানে অনড় থেকে বলেছিলেন, ‘আমার নীতি কখনই পরিবর্তন হবে না।’
শুল্ক স্থগিতের ঘোষণার আগে, বুধবারই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, ট্রাম্পকে শুল্ক প্রত্যাহার করার জন্য রাজি করানোর প্রচেষ্টা সফল হবে না, কারণ সেগুলো আগেই কার্যকর হয়ে গিয়েছিল। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্ড মার্কেটের অগ্রগতি নিয়ে ট্রেজারি বিভাগের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগই একমাত্র কারণ ছিল যা ট্রাম্পকে তার পারস্পরিক শুল্ক ব্যবস্থায় বিরতি দিতে বাধ্য করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি তথা অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ট্রাম্পের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। শুল্ক স্থগিতের ঘোষণার পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইঙ্গিত দিয়েছিল, সিদ্ধান্তটি পরিকল্পিত কৌশল নয় বরং একটি আবেগপ্রসূত সিদ্ধান্ত ছিল।
ট্রাম্প বলেন, ‘বন্ড মার্কেট খুবই কঠিন, আমি এটি দেখছিলাম। বন্ড মার্কেট এখন সুন্দর। তবে হ্যাঁ, আমি গত রাতে দেখেছি যে, লোকজন অস্বস্তি বোধ করছে। আমাদের আইনজীবীদের কাছে যাওয়ার সুযোগ ছিল না, অথবা এটি কেবল লেখা হয়েছিল। আমরা এটি আমাদের অন্তর থেকে লিখেছি, তাই না? এটি অন্তর থেকে লেখা হয়েছিল, এবং আমি মনে করি এটি ভালোও লেখা হয়েছে, তবে এটি অন্তর থেকে লেখা হয়েছিল।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম লোকজন একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করছে...তারা একটু উত্তেজিত হয়ে উঠছিল, জানেন তো, তারা একটু একটু ভয় পাচ্ছিল। আপনাকে নমনীয় হতে হবে।’
এদিকে, ট্রাম্পের আকস্মিক পদক্ষেপের ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ারের দাম দ্রুত বেড়ে যায়। ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ডাউ অ্যান্ড জোনস সূচক প্রায় ৮ শতাংশ বেড়ে প্রায় ২৫০০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, প্রযুক্তি শেয়ারবাজর নাসডাক ১২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে গত ২৪ বছরের মধ্যে সেরা দিনের ফল করেছে এবং এসঅ্যান্ডপি-৫০০ ছয় শতাংশ বেড়ে ৫২৮১ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে পৌঁছেছে। তেলের দাম ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে এবং ডলারও শক্তিশালী হয়েছে।
২০২৩ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রায় ৬০ বছরের রাজবংশের শাসনের অবসান ঘটানো গ্যাবনের সামরিক নেতা জেনারেল ব্রিস ওলিগুই এনগেমা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। শনিবারের প্রাথমিক ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাঁর আরোপিত শুল্ক পুরোপুরি বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে চীন। বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলমান। এ পরিস্থিতিতেই চীন এই আহ্বান জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ’ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসির একটি হাসপাতালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথমবারের মতো বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান ট্রাম্প। রোববার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত
৯ ঘণ্টা আগেচলমান এই বাণিজ্যযুদ্ধে কোন দেশ প্রথম পিছু হটবে, তা বিশ্লেষণ করার জন্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন কী কী আমদানি করে, তা নিয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সিএনএন দেখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প হিসেবে চীন কীভাবে অন্য দেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করে তাদের চাহিদা পূরণ করতে
১০ ঘণ্টা আগে