Ajker Patrika

পুতিনের ওপর নাখোশ ট্রাম্প, মস্কোর জন্য অপেক্ষা করছে ‘সারপ্রাইজ’

অনলাইন ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সিএনএন
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সিএনএন

ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর নাখোশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মস্কোর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিন সব সময় খুবই আন্তরিক আচরণ করেন। দিন শেষে গিয়ে দেখা যায় তাঁর ওই ভালো আচরণের কোনো অর্থ নেই। এখন আমি বিষয়টি খুব শক্তভাবে দেখব।’ এ সময় তিনি পুতিনের বিরুদ্ধে শত শত মানুষকে হত্যা করার অভিযোগও তোলেন। তিনি বলেন, ‘পুতিন বহু মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের বেশির ভাগই ইউক্রেনের সেনা।’

পুতিনের ওপর তাঁর যে বিরক্তি, এই বিরক্তি থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন জিজ্ঞেস করলে ট্রাম্প রহস্য করে বলেন, ‘সেটা বলব না। কিছু বিষয় কি সারপ্রাইজ থাকা ভালো নয়!’ বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর মাধ্যমে মূলত রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্প যখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন, ঠিক সেই সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেন নিয়ে ইউরোপের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ইউরোপ কখনো ইউক্রেনকে ত্যাগ করবে না।

মাখোঁ জানান, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স একত্রে ‘ইচ্ছুক দেশগুলোর জোট’ গঠনের মাধ্যমে ইউক্রেনের সহায়তায় কাজ করে যাবে। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে এবং একটি স্থিতিশীল ও টেকসই শান্তির জন্য আলোচনার পথ খুলে দিতে আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। কারণ, ইউক্রেনের মাটিতে আজ আমাদের সম্মিলিত নিরাপত্তা ও নীতিগত মূল্যবোধ প্রশ্নের মুখে পড়েছে।’

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর প্রশাসন ইউক্রেনে নতুন করে অস্ত্র সরবরাহ করবে। তবে তিনি পরিষ্কার করেছেন, এই চালানে থাকবে মূলত প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র।

মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অস্ত্রভান্ডারের ঘাটতির কারণে ইউক্রেনে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা একটি ‘ক্ষমতা পর্যালোচনা’ পরিচালনা করছে, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র মজুতের বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বলেছিলেন, হোয়াইট হাউসে প্রবেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করবেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর প্রভাব ফেলতে পারেননি তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২১ বছর বয়সেই ব্যবসায় বাজিমাত, দুই বছরে বিক্রি আড়াই কোটির বেশি

নিহতের ফোনের ভিডিওতে মিলল ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ চিত্র: বিবিসির অনুসন্ধান

ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী

বেশি চিন্তা তৈরি পোশাকে, কারখানা বন্ধের শঙ্কা

জুলাইয়ে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন হাসিনা, ফাঁস হওয়া অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত