Ajker Patrika

যুক্তরাজ্যে একের পর এক চিকিৎসক আত্মহত্যা করছেন কেন

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৩, ১০: ০৮
যুক্তরাজ্যে একের পর এক চিকিৎসক আত্মহত্যা করছেন কেন

হ্যারো নামে লন্ডনের এক শহরতলীতে বেড়ে উঠেছিলেন জাগদিপ সিধু। তাঁর ভারতীয় বাবা ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। ছোটবেলা থেকেই মেধার স্বাক্ষর রেখে মেডিক্যালে পড়াশোনা করেছিলেন জাগদিপ। পরে চিকিৎসক হিসেবে কাজ শুরু করেন পশ্চিম লন্ডনের ইয়ালিং হাসপাতালে। 

প্রায় ২৫ বছর চিকিৎসা পেশায় থেকে বেশ নামডাক হয়েছিল তাঁর। সর্বশেষ ক্যান্টে অবস্থিত একটি হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। চিকিৎসকেরা প্রায়ই কমিশনের লোভে রোগীদের প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে যেতে উদ্বুদ্ধ করেন। তবে এ ক্ষেত্রে জাগদিপ ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি সব রোগীকেই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিতেন। এমন ভালো একজন চিকিৎসক হয়েও মাত্র ৪৭ বছর বয়সে জাগদিপ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ভাই আমানদিপ। 

আলজাজিরায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন বলছে, শুধু জাগদিপই নন। যুক্তরাজ্যে চিকিৎসকদের মধ্যে এমন আত্মহত্যার ঘটনা আজকাল আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নারী এবং অল্প বয়সী চিকিৎসকেরাই এই পথ বেছে নিচ্ছেন। 

সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শুধু ২০২০ সালেই চিকিৎসাসেবায় জড়িত (চিকিৎসক, নার্স ও থেরাপিস্ট) অন্তত ৭২ জন আত্মহত্যা করেছেন। এ হিসাবে প্রতি সপ্তাহে গড়ে একজনের বেশি আত্মহত্যা করেছেন। এ ছাড়া ২০২২ সালে চিকিৎসাক্ষেত্রে জড়িতদের মধ্যে ৩৬০টি আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনাও ঘটেছে। 

অবস্থা এমন যে, চিকিৎসাক্ষেত্রের মানুষদের আত্মহত্যা করার বিষয়টি যেন একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গড়পড়তায় সাধারণ মানুষের তুলনায় যুক্তরাজ্যের নারী চিকিৎসকদের মধ্যে আত্মহত্যার হার চার গুণ বেশি। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা পেশায় জড়িতদের মধ্যে আত্মহত্যার এমন উচ্চহারের জন্য প্রথমেই দায়ী অত্যধিক কাজের চাপ এবং এ থেকে সৃষ্ট বিষণ্নতা ও মুক্তির উপায়। কঠোর নিয়মশৃঙ্খলের এই পেশায় রয়েছে নানা ধরনের প্রতিযোগিতা, দলাদলি, গুন্ডামির মতো বিষয়ও। এ ছাড়া হয়রানি, ঘুমের অভাবজনিত কারণেও কর্মীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত