Ajker Patrika

প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন কানাডার জনগণ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৩: ৩৬
মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার মাত্র ছয় সপ্তাহ পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছবি: এএফপি
মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার মাত্র ছয় সপ্তাহ পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছবি: এএফপি

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নির্ধারণের জন্য দেশজুড়ে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং ইতিমধ্যে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। দলীয় সহকর্মী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হয়ে মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার মাত্র ছয় সপ্তাহ পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার সকাল (স্থানীয় সময়) থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অনুপস্থিতিতে কানাডার দুটি প্রধান দল কনজারভেটিভ ও লিবারেল পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে। নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি ও কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পোয়েলিয়েভ্রে। এই নির্বাচনেই ঠিক হবে, দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে আবারও কানাডাকে ৫১তম মার্কিন অঙ্গরাজ্য করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পোয়েলিয়েভ্রে ট্রাম্পকে তাঁদের নির্বাচনে ‘হস্তক্ষেপ না করতে’ বলেছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী কার্নি ‘যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি চলমান সংকটের’ বিরুদ্ধে কানাডার মানুষকে ‘ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী’ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নি লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় বিজয় অর্জন করেন। অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক খাতে তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থাকলেও এই রাজনৈতিক পদ তাঁর জীবনের প্রথম। শপথ নেওয়ার মাত্র ৯ দিনের মাথায় কার্নি আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন।

কার্নির সামনে দুটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রথমত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক হুমকি এবং কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে সৃষ্ট জাতীয় উদ্বেগ।

দ্বিতীয়ত, তিনি নিজেই সংসদ সদস্য নন, ফলে পার্লামেন্টে নিজের অবস্থান থেকে বিরোধীদের মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই বিরোধীদের ক্রমাগত আক্রমণের মুখে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে তিনি আগাম নির্বাচনের পথ বেছে নেন।

নির্বাচনে পাঁচটি বড় রাজনৈতিক দল থাকলেও মূল লড়াই লিবারেল পার্টির মার্ক কার্নি ও কনজারভেটিভ পার্টির পিয়েরে পোয়েলিয়েভ্রের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনবিআরে আন্দোলন: শাস্তি পেতে পারেন তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী

প্রধান প্রকৌশলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, ইইডিতে তোলপাড়

সাবেক আইজির রাজসাক্ষী হওয়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পুলিশে

গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় ফেসবুকে সরব ইসলামপুরের পলাতক আওয়ামী নেতারা

সরকারি চাকরির নিয়োগে রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাওয়া হবে না

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত