মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বিশ্ব বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরই সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। ট্রাম্পের ব্যক্তিত্ব ও তাঁর আগের মেয়াদের শাসন নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোল্টন দাবি করেছেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের গভীর জ্ঞানের অভাব আছে। তিনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তথ্য-উপাত্ত উপেক্ষা করেন ও কোনো প্রকার স্পষ্ট কৌশল ছাড়াই পরিচালিত হন।
তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মূলত ব্যক্তি সম্পর্ক এবং তাৎক্ষণিক চিন্তার ওপর নির্ভর করে। তাঁর কাছে জাতীয় স্বার্থের গভীর বোঝাপড়া বা পরিণতির গুরুত্ব নেই।’
নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, শুধু তিনিই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঠেকাতে পারবেন এবং গাজা ও ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের দ্রুত সমাধান করতে পারবেন। এই দাবিকে ‘নিছক আত্মতুষ্টির প্রদর্শন’ বলে অভিহিত করে বোল্টন বলেন, ‘বিশ্ব এখন অনেক বেশি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। আর ট্রাম্পের নেতৃত্বে কোনোরকমের কৌশলগত স্থিতিশীলতা নেই।’
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদ, ভিন দেশে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে রক্ষণশীলতার নীতি মেনে চলেন। ট্রাম্পের নীতিকে ‘খাপছাড়া’ হিসেবে বর্ণনা করে বোল্টন বলেন, ‘ট্রাম্পের সিদ্ধান্তগুলো একেকটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। এগুলো যুক্ত করতে গেলে কোনো ধারাবাহিকতা খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনকি তিনি নিজেও তাঁর সিদ্ধান্তের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন না।’
বিশ্বের ‘স্বৈরাচারী নেতাদের’ সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরেন বোল্টন। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প চীনের সি চিনপিং, রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের মতো নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছেন। কিন্তু এই নেতারা তাঁকে কীভাবে দেখেন, তা ট্রাম্প বোঝেন না। ট্রাম্পকে সহজ শিকার মনে করেন পুতিন।’
ট্রাম্পের ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ক সমাধানের প্রতিশ্রুতি নিয়েও গভীর সন্দেহ দেখান তিনি। বোল্টন বলেন, ‘ট্রাম্প এই যুদ্ধকে বাইডেনের যুদ্ধ মনে করেন এবং দ্রুত এটি শেষ করতে চান। এমনকি যদি এর ফলে ইউক্রেনকে জমি ছাড়তে হয়, সেটাও তিনি মেনে নেবেন। তবে এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।’
বোল্টন জানান, দৈনিক জাতীয় নিরাপত্তা ব্রিফিংয়ের বিষয়টি সব সময় উপেক্ষা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প গভীর চিন্তা বা পড়াশোনায় আগ্রহী নন। তিনি খবরের কাগজ মাঝে মধ্যে পড়েন, কিন্তু কোনো ব্রিফিং পড়েন না। কারণ তিনি মনে করেন, এই তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি মনে করেন, ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে চুক্তি করাই আসল।’
তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প আরও আত্মবিশ্বাসী এবং নিয়ন্ত্রণহীন হবেন। তিনি এখন মনে করেন, তাঁর সিদ্ধান্ত সঠিক। তাঁর ওপর কোনো ধরনের শৃঙ্খলা আরোপ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এটি বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।’
বোল্টন বলেন, ‘স্বৈরাচারী নেতাদের প্রতি ট্রাম্পের আকর্ষণের কারণ, সম্ভবত তাঁর নিজের ক্ষমতার প্রতি মুগ্ধতা। এই নেতাদের আইনসভা বা বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নেই, যা ট্রাম্পকে ঈর্ষান্বিত করে। তিনি চান সেই ধরনের ক্ষমতা। তবে এটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সম্ভব নয়।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ট্রাম্পের শাসন রিপাবলিকান পার্টির জন্য ব্যতিক্রম। তিনি রাজনীতি থেকে সরে গেলে পার্টি পুনরায় তাদের ঐতিহ্যবাহী অবস্থানে ফিরে আসবে। তবে পরবর্তী চার বছর পার্টির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
জন বোল্টনের এই মন্তব্যগুলো ট্রাম্পের নেতৃত্বের সীমাবদ্ধতা এবং তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক সংকটের সম্ভাবনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তুলে ধরছে বলে মনে করে গার্ডিয়ান। এখন দেখার বিষয়, ট্রাম্পের এই নেতৃত্ব কৌশল এবং তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, দেশের ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বিশ্ব বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরই সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। ট্রাম্পের ব্যক্তিত্ব ও তাঁর আগের মেয়াদের শাসন নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোল্টন দাবি করেছেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের গভীর জ্ঞানের অভাব আছে। তিনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তথ্য-উপাত্ত উপেক্ষা করেন ও কোনো প্রকার স্পষ্ট কৌশল ছাড়াই পরিচালিত হন।
তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মূলত ব্যক্তি সম্পর্ক এবং তাৎক্ষণিক চিন্তার ওপর নির্ভর করে। তাঁর কাছে জাতীয় স্বার্থের গভীর বোঝাপড়া বা পরিণতির গুরুত্ব নেই।’
নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, শুধু তিনিই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঠেকাতে পারবেন এবং গাজা ও ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের দ্রুত সমাধান করতে পারবেন। এই দাবিকে ‘নিছক আত্মতুষ্টির প্রদর্শন’ বলে অভিহিত করে বোল্টন বলেন, ‘বিশ্ব এখন অনেক বেশি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। আর ট্রাম্পের নেতৃত্বে কোনোরকমের কৌশলগত স্থিতিশীলতা নেই।’
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদ, ভিন দেশে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে রক্ষণশীলতার নীতি মেনে চলেন। ট্রাম্পের নীতিকে ‘খাপছাড়া’ হিসেবে বর্ণনা করে বোল্টন বলেন, ‘ট্রাম্পের সিদ্ধান্তগুলো একেকটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। এগুলো যুক্ত করতে গেলে কোনো ধারাবাহিকতা খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনকি তিনি নিজেও তাঁর সিদ্ধান্তের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন না।’
বিশ্বের ‘স্বৈরাচারী নেতাদের’ সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরেন বোল্টন। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প চীনের সি চিনপিং, রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের মতো নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছেন। কিন্তু এই নেতারা তাঁকে কীভাবে দেখেন, তা ট্রাম্প বোঝেন না। ট্রাম্পকে সহজ শিকার মনে করেন পুতিন।’
ট্রাম্পের ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ক সমাধানের প্রতিশ্রুতি নিয়েও গভীর সন্দেহ দেখান তিনি। বোল্টন বলেন, ‘ট্রাম্প এই যুদ্ধকে বাইডেনের যুদ্ধ মনে করেন এবং দ্রুত এটি শেষ করতে চান। এমনকি যদি এর ফলে ইউক্রেনকে জমি ছাড়তে হয়, সেটাও তিনি মেনে নেবেন। তবে এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।’
বোল্টন জানান, দৈনিক জাতীয় নিরাপত্তা ব্রিফিংয়ের বিষয়টি সব সময় উপেক্ষা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প গভীর চিন্তা বা পড়াশোনায় আগ্রহী নন। তিনি খবরের কাগজ মাঝে মধ্যে পড়েন, কিন্তু কোনো ব্রিফিং পড়েন না। কারণ তিনি মনে করেন, এই তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি মনে করেন, ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে চুক্তি করাই আসল।’
তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প আরও আত্মবিশ্বাসী এবং নিয়ন্ত্রণহীন হবেন। তিনি এখন মনে করেন, তাঁর সিদ্ধান্ত সঠিক। তাঁর ওপর কোনো ধরনের শৃঙ্খলা আরোপ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এটি বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।’
বোল্টন বলেন, ‘স্বৈরাচারী নেতাদের প্রতি ট্রাম্পের আকর্ষণের কারণ, সম্ভবত তাঁর নিজের ক্ষমতার প্রতি মুগ্ধতা। এই নেতাদের আইনসভা বা বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নেই, যা ট্রাম্পকে ঈর্ষান্বিত করে। তিনি চান সেই ধরনের ক্ষমতা। তবে এটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সম্ভব নয়।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ট্রাম্পের শাসন রিপাবলিকান পার্টির জন্য ব্যতিক্রম। তিনি রাজনীতি থেকে সরে গেলে পার্টি পুনরায় তাদের ঐতিহ্যবাহী অবস্থানে ফিরে আসবে। তবে পরবর্তী চার বছর পার্টির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
জন বোল্টনের এই মন্তব্যগুলো ট্রাম্পের নেতৃত্বের সীমাবদ্ধতা এবং তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক সংকটের সম্ভাবনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তুলে ধরছে বলে মনে করে গার্ডিয়ান। এখন দেখার বিষয়, ট্রাম্পের এই নেতৃত্ব কৌশল এবং তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, দেশের ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলে।
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
২ ঘণ্টা আগেভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের পদ্ধতিগত নিপীড়নের অংশ। আগের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা শাস্তি ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
৫ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের কর্মকর্তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় তাদের ‘পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে।’ আর এ জন্য প্রয়োজনে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক সীমিত পরিসরে হামলাও চালাতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে