Ajker Patrika

৩০ মিনিটেই ইরাক ও সিরিয়ায় ‘সফল’ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: হোয়াইট হাউস

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১: ৩২
Thumbnail image

ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ্যবস্তুগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো হামলা সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে হোয়াইট হাউস। সেই সঙ্গে বলেছে, গতকাল শুক্রবারের এই হামলা চালাতে লেগেছে মাত্র ৩০ মিনিট। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কারবি সাংবাদিকদের বলেছেন, এই হামলায় ব্যবহৃত বি-১ বোমারু বিমানটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এই বোমারু বিমানে ছিল নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম ১২৫টিরও বেশি অস্ত্র। তিনি বলেছেন, জর্ডানে মার্কিন সৈন্যদের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহের হামলার আরও প্রতিক্রিয়া দেখাবে যুক্তরাষ্ট্র।

জর্ডানে সেই মারাত্মক ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল। এ ছাড়া আহত হয় অন্তত ৪১ জন। সে ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়ই যুক্তরাষ্ট্র ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা চালায়। জর্ডানের হামলার জন্য ইরাকে ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে দায়ী করছে ওয়াশিংটন।

জন কারবি বলেন, ‘আমরা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না।’ গত সপ্তাহে জর্ডানে হামলার পর থেকে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো যোগাযোগ হয়নি বলেও জানান তিনি।

ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা প্রসঙ্গে মার্কিন সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, এই হামলায় রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। মার্কিন বাহিনী আরও জানায়, দেশ দুটির সাতটি অবস্থানে ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে। এসব অবস্থানের মধ্যে চারটি সিরিয়ায় ও তিনটি ইরাকে।

সিরিয়া ও ইরাক এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে। সিরিয়া দাবি করেছে, সিরিয়া-ইরাক সীমান্তের মরু এলাকায় ‘আমেরিকান আগ্রাসনে’ বেশ ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছে। তবে কতজন নিহত ও কতজন আহত হয়েছে তা জানায়নি সিরিয়া।

ইরাকের সামরিক বাহিনীও বলেছে, এই হামলা এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া রসুল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই বিমান হামলা ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা আনতে ইরাক সরকারের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে এবং এমন একটি হুমকি তৈরি করে, যা ইরাক ও এই অঞ্চলকে মারাত্মক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।’

এদিকে এই হামলা পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়া আজ শুরু হয়েছে। এটি আমাদের পছন্দমতো সময়ে ও নির্ধারিত স্থানে চলতে থাকবে।’ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, বাইডেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত