অনলাইন ডেস্ক
বেলুচিস্তানের নাগরিকদের এখন অপরাধ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ নয়, বরং সন্দেহ হলেই দোষী বলে ধরে নেওয়া হবে। গত বুধবার প্রাদেশিক পরিষদে এ-সংক্রান্ত একটি আইন পাস হয়েছে। ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী (বেলুচিস্তান সংশোধনী) আইন-২০২৫’ নামের এই আইনে বলা হয়েছে, বেলুচিস্তানের কোনো নাগরিককে ‘যুক্তিসংগত সন্দেহের’ ভিত্তিতেই আটক করা যাবে এবং তদন্তের স্বার্থে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়াই আটক রাখা যাবে তিন মাস পর্যন্ত। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমনই বার্তা দিয়েছে সেখানকার রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
এই বিতর্কিত আইন কোনো বিরোধিতা ছাড়াই প্রাদেশিক পরিষদে পাস হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রদেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্ব বেলুচিস্তানের দীর্ঘদিনের সহিংস সংকট মোকাবিলায় কার্যকর কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছে না। তাই এই ধরনের কঠোর আইনকেই হাতিয়ার হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠছে, এই আইনের মাধ্যমে কি আদৌ সমস্যার সমাধান সম্ভব, না কি আগুনে ঘি ঢালা হবে?
এই সংশোধনী আইন কার্যত রাষ্ট্রীয় নির্যাতনকে বৈধতা দেয় বলেই মনে করছেন মানবাধিকারকর্মীরা। আইনে যেভাবে ‘যুক্তিসংগত সন্দেহের’ ভিত্তিতে কাউকে আটক করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া কিংবা আটক ব্যক্তির অধিকার রক্ষার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এ ছাড়া, এই আইনে সামরিক বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে (সেনা ও আইএসআই) স্থানীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আটকাদেশ জারি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এতে আইনের শাসনের মূল ভিত্তি—বিচার বিভাগের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বেসামরিকদের পুলিশি কাজে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। আর বেলুচিস্তানে রাজনৈতিক কারণে মানুষকে আগেও টার্গেট করা হয়েছে। এসব কারণে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এই আইনটির অপব্যবহার হবেই। এর ফলে যে রাগ ও অসন্তোষ বাড়বে, তা বেলুচিস্তানের সমস্যাগুলোকে আরও কঠিন করে তুলবে।
পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি) আইনটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, তিন মাস পর্যন্ত বিনা অভিযোগে আটক রাখার বিধান মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। এটি ব্যক্তির স্বাধীনতা, বিচার প্রক্রিয়ার ন্যায্যতা এবং মর্জিমাফিক গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষার অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে।
কমিশন আরও জানিয়েছে, যৌথ তদন্তের ক্ষেত্রে সেনা কর্মকর্তাদের রাখা এবং সন্দেহভাজনের মতাদর্শ ও মানসিক অবস্থা মূল্যায়নের দায়িত্ব তাদেরই দেওয়া হয়েছে। এটি মারাত্মক উদ্বেগের বিষয়। এতে আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগের পরিবর্তে দমনমূলক আচরণের ঝুঁকি বাড়বে।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি রাষ্ট্র এই ধরনের আইন বাস্তবেই প্রয়োগ করতে চায়, তাহলে অন্তত বেলুচ জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ছিল। যেমন—প্রত্যেক আটকাদেশের লিখিত নথি থাকা জরুরি, বিচারিক ও বেসামরিক তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা, আটক ব্যক্তির পরিবারকে তাঁর অবস্থান ও আইনি অবস্থা জানানো। এসব পদক্ষেপ অন্তত আইনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতো।
এইচআরসিপি প্রাদেশিক সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, তারা যেন এই আইনটি আবার ভেবে দেখে এবং নিশ্চিত করে, এটি পাকিস্তানের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তির (আইসিসিপিআর) অধীনে পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
বেলুচিস্তানের নাগরিকদের এখন অপরাধ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ নয়, বরং সন্দেহ হলেই দোষী বলে ধরে নেওয়া হবে। গত বুধবার প্রাদেশিক পরিষদে এ-সংক্রান্ত একটি আইন পাস হয়েছে। ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী (বেলুচিস্তান সংশোধনী) আইন-২০২৫’ নামের এই আইনে বলা হয়েছে, বেলুচিস্তানের কোনো নাগরিককে ‘যুক্তিসংগত সন্দেহের’ ভিত্তিতেই আটক করা যাবে এবং তদন্তের স্বার্থে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়াই আটক রাখা যাবে তিন মাস পর্যন্ত। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমনই বার্তা দিয়েছে সেখানকার রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
এই বিতর্কিত আইন কোনো বিরোধিতা ছাড়াই প্রাদেশিক পরিষদে পাস হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রদেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্ব বেলুচিস্তানের দীর্ঘদিনের সহিংস সংকট মোকাবিলায় কার্যকর কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছে না। তাই এই ধরনের কঠোর আইনকেই হাতিয়ার হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠছে, এই আইনের মাধ্যমে কি আদৌ সমস্যার সমাধান সম্ভব, না কি আগুনে ঘি ঢালা হবে?
এই সংশোধনী আইন কার্যত রাষ্ট্রীয় নির্যাতনকে বৈধতা দেয় বলেই মনে করছেন মানবাধিকারকর্মীরা। আইনে যেভাবে ‘যুক্তিসংগত সন্দেহের’ ভিত্তিতে কাউকে আটক করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া কিংবা আটক ব্যক্তির অধিকার রক্ষার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এ ছাড়া, এই আইনে সামরিক বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে (সেনা ও আইএসআই) স্থানীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আটকাদেশ জারি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এতে আইনের শাসনের মূল ভিত্তি—বিচার বিভাগের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বেসামরিকদের পুলিশি কাজে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। আর বেলুচিস্তানে রাজনৈতিক কারণে মানুষকে আগেও টার্গেট করা হয়েছে। এসব কারণে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এই আইনটির অপব্যবহার হবেই। এর ফলে যে রাগ ও অসন্তোষ বাড়বে, তা বেলুচিস্তানের সমস্যাগুলোকে আরও কঠিন করে তুলবে।
পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি) আইনটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, তিন মাস পর্যন্ত বিনা অভিযোগে আটক রাখার বিধান মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। এটি ব্যক্তির স্বাধীনতা, বিচার প্রক্রিয়ার ন্যায্যতা এবং মর্জিমাফিক গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষার অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে।
কমিশন আরও জানিয়েছে, যৌথ তদন্তের ক্ষেত্রে সেনা কর্মকর্তাদের রাখা এবং সন্দেহভাজনের মতাদর্শ ও মানসিক অবস্থা মূল্যায়নের দায়িত্ব তাদেরই দেওয়া হয়েছে। এটি মারাত্মক উদ্বেগের বিষয়। এতে আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগের পরিবর্তে দমনমূলক আচরণের ঝুঁকি বাড়বে।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি রাষ্ট্র এই ধরনের আইন বাস্তবেই প্রয়োগ করতে চায়, তাহলে অন্তত বেলুচ জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ছিল। যেমন—প্রত্যেক আটকাদেশের লিখিত নথি থাকা জরুরি, বিচারিক ও বেসামরিক তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা, আটক ব্যক্তির পরিবারকে তাঁর অবস্থান ও আইনি অবস্থা জানানো। এসব পদক্ষেপ অন্তত আইনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতো।
এইচআরসিপি প্রাদেশিক সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, তারা যেন এই আইনটি আবার ভেবে দেখে এবং নিশ্চিত করে, এটি পাকিস্তানের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তির (আইসিসিপিআর) অধীনে পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
শনিবার সান বার্নার্ডিনো কাউন্টি থেকে ন্যাশনাল গার্ডের প্রথম দলটি ক্যালিফোর্নিয়ায় পৌঁছায়। বর্তমানে তারা শহরের সবচেয়ে বড় আটক কেন্দ্রের (মেট্রোপলিটন ডিটেনশন ক্যাম্প এলএ) বাইরে জড়ো হচ্ছে। অবৈধ অভিবাসীদের আটকের পর এখানেই রাখা হয় বলে জানা গেছে।
৪৩ মিনিট আগেবলিউডের ক্ল্যাসিক ‘রাত কে হামসফর’ গানের সঙ্গে নেচেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি মহুয়া মৈত্র ও বিজু জনতা দল (বিজেডি) নেতা পিনাকী মিশ্র। জার্মানির বার্লিনে এই দম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠানে তাঁরা এই নৃত্য করেন।
১ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারে ইয়াংগুনের ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউ সড়কের ঐতিহাসিক ৫৪ নম্বর প্লটটি মূলত দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির বাড়ি হিসেবেই বিশ্বজুড়ে পরিচিত। কিন্তু উত্তরাধিকার সূত্রের এই বাড়িটির একটি অংশ বিক্রির জন্য অনুমতি চেয়ে সম্প্রতি আবেদন করেছেন সুচির বড় ভাই অং সান ও।
১ ঘণ্টা আগেসনি ওলুমাটি জন্মেছেন ইতালির রোমে। সেখানেই বড় হয়েছেন। কিন্তু আজও তাঁকে ইতালিয়ান নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ৩৯ বছর বয়সী এই নৃত্যশিল্পী ও অধিকারকর্মী পাসপোর্ট অনুযায়ী একজন নাইজেরিয়ান। ইতালিতে তাঁর বসবাসের অধিকার নির্ভর করে বারবার নবায়ন করা রেসিডেন্স পারমিটের ওপর।
২ ঘণ্টা আগে