Ajker Patrika

পাকিস্তানকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে চীন, ভারতের দাবি ভিত্তিহীন: আসিম মুনির

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩: ৫৩
ইসলামাবাদের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির। ছবি: আইএসপিআর
ইসলামাবাদের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির। ছবি: আইএসপিআর

চলতি বছরের মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে চীন ইসলামাবাদকে সামরিক সহায়তা দিয়েছে—ভারতের এমন দাবি সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘দায় এড়ানোর অপচেষ্টা’ বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির। আজ সোমবার ইসলামাবাদের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটিতে গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে এক প্রতিরক্ষা সম্মেলনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপপ্রধান লে. জেনারেল রাহুল সিং দাবি করেছিলেন, মে মাসের সংঘাতে পাকিস্তানকে ‘রিয়েল টাইম’ গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল চীন। তবে তিনি ওই দাবির কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।

এর আগে জুন মাসে আরব নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ পাকিস্তান-ভারত সংঘাতে সরাসরি চীনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন।

আজ সোমবার সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখার এক বিবৃতিতে মুনির বলেন, পাকিস্তানের অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস-এ বাইরের কোনো রাষ্ট্রের সহায়তা রয়েছে—এমন ধারণা দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বাস্তবতাবিবর্জিত। দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা ও আত্মনির্ভরতা থেকেই পাকিস্তান নিজস্ব সামরিক সক্ষমতা গড়ে তুলেছে। সেখানে বাইরের সাহায্যের গল্প আসলে ভারতের নিজস্ব ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য।

ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, এই অঞ্চলের মানুষ হিন্দুত্ববাদী আধিপত্যবাদে ক্লান্ত। ভারতের নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার হওয়ার দাবিও আর কেউ মেনে নিচ্ছে না।

মুনিরের ভাষ্যমতে, মে মাসে সংঘটিত যুদ্ধের সময় ভারত তাদের ঘোষিত সামরিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। বিষয়টি চাপা দিতেই এখন চীনকে টেনে আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, অপারেশন সিঁদুরে ভারতের পরিকল্পিত সামরিক উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থতাকে চাপা দিতেই তারা এমন কাল্পনিক যুক্তি দাঁড় করাচ্ছে।

২০২৫ সালের ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চার দিনব্যাপী ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণে এটি দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক সংঘাতে রূপ নেয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।

পাকিস্তান জানায়, ভারতের হামলার জবাবে তারা ‘অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস’ চালায়, যা ছিল একটি প্রতিরক্ষামূলক ও পাল্টা আঘাতমূলক ব্যবস্থা। অন্যদিকে ভারত দাবি করেছে, তারা সন্ত্রাসী ঘাঁটি ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় এবং শতাধিক সন্ত্রাসীকে হত্যা করে।

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে এপ্রিলের ২২ তারিখ একটি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। তবে ইসলামাবাদ এটি অস্বীকার করে। এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করে।

মুনির তাঁর ভাষণে ভবিষ্যৎ হুমকি সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জনবহুল এলাকা, সামরিক ঘাঁটি, বন্দর কিংবা অর্থনৈতিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালালে তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া হবে। উত্তেজনা বাড়ার দায় সম্পূর্ণভাবে আগ্রাসী পক্ষের ওপরই বর্তাবে।

ভারত সরকার এখনো মুনিরের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অবিশ্বাস্য কম খরচে বাংলাদেশিদের গোল্ডেন ভিসা দেবে দুবাই, সুবিধা কী

উপজেলা পর্যায়ে আদালত সম্প্রসারণে একমত সব দল

ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠন নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দিলেন টিউলিপ–রুশনারা

ফারজানা রুপা ও শাকিলকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জাতিসংঘকে ব্যাখ্যা দিল সরকার

চেক জালিয়াতির মামলায় সাংবাদিকের ৫ মাসের কারাদণ্ড

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত