Ajker Patrika

আরব আমিরাতে মোবাইল, চুলের কাটিং ও অভিভাবকের পোশাক নিয়ে নতুন নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১১: ১৩
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিদ্যালয়গুলোতে কঠোর নিয়মকানুন করে নির্দেশিকা জারি। ছবি: সংগৃহীত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিদ্যালয়গুলোতে কঠোর নিয়মকানুন করে নির্দেশিকা জারি। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যালয়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার, শিক্ষার্থীদের চুলের কাটিং, অভিভাবকদের পোশাকসহ বিভিন্ন বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সরকার।

গালফ নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো প্রকার অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এ ধরনের কোনো সরঞ্জাম পাওয়া গেলে বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং বিদ্যালয়ের নীতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইপ্যাড ব্যবহারও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় সব শিক্ষা উপকরণ, যেমন—সম্পূর্ণরূপে চার্জ করা ল্যাপটপ (ব্যক্তিগত অথবা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরবরাহকৃত), অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে।

বিদ্যালয়গুলো ই-মেইল ও এসএমএসের মাধ্যমে অভিভাবকদের প্রয়োজনীয় নিয়ম ও চাহিদা সম্পর্কে এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সব শিক্ষার্থীর জন্য বিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।

বিদ্যালয় প্রশাসন স্পষ্ট করে জানিয়েছে, কোনো প্রকার যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া অনুপস্থিতি প্রতিটি ক্লাসে নথিভুক্ত করা হবে। একটানা তিনটি ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে তা এক দিনের অনুপস্থিতি হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের অনুপস্থিতি শিক্ষার্থীর আচরণগত রেকর্ডে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এ ছাড়া, বিদ্যালয়ে আসা অভিভাবকদের অবশ্যই শালীন পোশাক পরিধান করতে হবে, বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে হবে এবং রিসেপশনে তাঁদের বিস্তারিত তথ্য নিবন্ধন করতে হবে।

এ ছাড়া বিদ্যালয়ের নির্ধারিত জাতীয় স্কুল ইউনিফর্ম যথাযথভাবে পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শুধু শারীরিক শিক্ষা ক্লাসের সময় নির্ধারিত স্পোর্টস ইউনিফর্ম পরার অনুমতি দেওয়া হবে। হুডি বা অন্য কোনো ধরনের অননুমোদিত পোশাক পরে বিদ্যালয়ে আসা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

বিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার ওপরও জোর দিয়েছে, যার মধ্যে যথাযথভাবে চুল কাটা এবং অপ্রচলিত চুলের স্টাইল পরিহার করার বিষয়টিও রয়েছে।

নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যালয়ের কার্যক্রম একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী পরিচালিত হবে। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত এবং শুক্রবার চতুর্থ ক্লাসের পর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিদ্যালয় ছুটি হবে।

অভিভাবকদের তাঁদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে আনা-নেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিবহন পদ্ধতি (স্কুলবাস অথবা ব্যক্তিগত গাড়ি) নির্ধারণ এবং নির্ধারিত সময়ে ও স্থানে তাদের আনা-নেওয়া করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সুষ্ঠু গাড়ি ব্যবস্থাপনা এবং সুশৃঙ্খলভাবে বিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য প্রতিটি এলাকার জন্য নির্দিষ্ট প্রবেশ ও বের হওয়ার ফটক নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিদ্যালয়গুলোতে দ্বিতীয় বিরতির সময় জোহরের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং নামাজের জন্য নির্দিষ্ট স্থান রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কিছু বিদ্যালয়ে চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর চ্যাটবট ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গলাধাক্কার পর ছোট্ট মেয়েটিকে লাঠি দিয়ে পেটালেন কফিশপের কর্মচারী

বিশ্বব্যাংকে সিরিয়ার ঋণ পরিশোধ করে দিচ্ছে সৌদি আরব

মাত্র তিনজনের জন্য লাখ লাখ মানুষ মরছে, কাদের কথা বললেন ট্রাম্প

জুয়ার বিজ্ঞাপনের প্রচার: আলোচিত টিকটকার জান্নাতের স্বামী তোহা কারাগারে

‘চরিত্র হননের চেষ্টা’: গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর দুদককে পাল্টা আক্রমণ টিউলিপের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত