Ajker Patrika

সেনাদের গুলিতে ৩ জিম্মি নিহতের পর বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল

আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮: ৪২
সেনাদের গুলিতে ৩ জিম্মি নিহতের পর বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজায় জিম্মি উদ্ধার করতে অভিযানে নেমেছিল ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। কিন্তু যেসব জিম্মিকে উদ্ধারে গিয়েছিল, তাঁদের তিনজনকে গুলি করে হত্যা করেছে তারা। গতকাল শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার গাজা সিটির কাছে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইসরায়েলে বন্দীদের মুক্তির জন্য হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি বা যেকোনো চুক্তির দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘যে তিন জিম্মি নিজ সেনাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁরা সেনাদের দিকে আসছিলেন। তখন তাঁদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে গুলি ছোড়া হয়।’ 

পরবর্তী সময় মরদেহের কাছে গিয়ে সন্দেহ হলে, সেগুলো ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, নিহত ব্যক্তিরা ইসরায়েলি। তাঁদের গত ৭ অক্টোবর হামাস গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল। 

সেনাবাহিনী জিম্মিদের হত্যার কথা স্বীকার করার পরই গতকাল রাতে ইসরায়েলে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজধানী তেল আবিবে অবস্থিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হয় শত শত মানুষ। তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। সেখানে জড়ো হওয়া জিম্মিদের আত্মীয়স্বজনেরা দাবি জানায়, এখনো যারা গাজায় আটকে আছেন, তাঁদের উদ্ধারে যেন হামাসের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হয়। 

গত ২৪ নভেম্বর হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। যা সাত দিন স্থায়ী ছিল। এই সাত দিনে ১১০ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হওয়া অনেককে প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায়। একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘প্রতিদিন, একজন জিম্মি মারা যাচ্ছে।’ 

ইতাই এসভিরস্কি নামের এক জিম্মির বোন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমি ভয়ে মরে যাচ্ছি। আমরা এখনই চুক্তি (যুদ্ধবিরতি) চাই।’ 

এ ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই সপ্তাহের শুরুতে মোসাদপ্রধান ডেভিড বার্নিয়াকে কাতার ভ্রমণে নিষেধ করেছেন বলে জানা গেছে। 

এদিকে নিউজ সাইট ওয়ালা জানিয়েছে, নেতানিয়াহু ঘটনার পর থেকেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন এবং এই সপ্তাহান্তে ইউরোপে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সঙ্গে দেখা করার জন্য বার্নিয়া পাঠাতে সম্মত হয়েছেন। তাঁরা আরেকটি জিম্মি বিনিময় চুক্তি নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু করতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত