অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েল রাষ্ট্রের বৈধতার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছিলেন, নিজেদের ফ্যাসিবাদের কারণেই ইসরায়েল রাষ্ট্রের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ। এর জবাব দেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল গণতান্ত্রিক দেশ—এটা স্পষ্ট করে বলতে হবে। আমাদের এই ধারণা পোক্ত করতে প্রতিটি আলোচনায়ই জোর দেওয়া হবে।’
গাজায় ইসরায়েলের চলমান ধ্বংসযজ্ঞের বৈধতা দিতে এভাবে বারবারই এগিয়ে এসেছে জার্মানি। ওলাফ শোলজ যখন ওপরের কথাটি বলেছিলেন, তত দিনে গাজার ইসরায়েলি হামলায় মৃত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ১১ হাজার। তাই জার্মান চ্যান্সেলরের মন্তব্যকে নিছক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ হিসেবে দেখা যায় না।
আধুনিক জার্মান প্রজাতন্ত্র প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তার নাৎসি সংশ্লিষ্ট অতীত এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হলোকাস্টে জার্মানির ভূমিকা সংশোধনের চেষ্টা করে আসছে। ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে জার্মানি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ‘স্ট্যাটসরাসন’ নামক শব্দের প্রবর্তন করেছে, যে শব্দটি অর্থগতভাবেই প্রকাশ করে যে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিধান জার্মানির রাষ্ট্রীয় নীতির অন্তর্ভুক্ত।
গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ পেরিয়ে গেছে ৬০ দিনের বেশি। এর মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি জার্মান সমর্থন অব্যাহতভাবে বেড়েছে। গত মঙ্গলবার জার্মানির স্যাক্সনি-আনহাল্ট প্রদেশের কর্মকর্তারা ঘোষণা করেছেন, পূর্ব জার্মান রাজ্যটিতে বসবাসকারী যেসব ব্যক্তি তাঁদের নাগরিকত্বকে স্বাভাবিকীকরণের (ন্যাচারালাইজেশন) আবেদন করেছেন, তাঁদের অবশ্যই ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে লিখিতভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। অন্যথায় তাদের জার্মান নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যাত হবে।
গাজায় চলমান সংঘাতে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে জার্মানির কঠোর অবস্থানকেই নির্দেশ করছে এ ঘটনা। কিন্তু জার্মানির এই নীতির কারণ কী? ‘জার্মানি অ্যান্ড ইসরায়েল: হোয়াইট ওয়াশিং অ্যান্ড স্টেট বিল্ডিং’ নামক বইয়ের লেখক এবং ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের লেকচারার ড্যানিয়েল মারওয়েকির মতে, হলোকাস্টের ভূমিকার ক্ষতিপূরণ হিসেবেই জার্মানরা ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছে।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা আল জাজিরাকে তিনি বলেছেন, জার্মান রাজনীতিবিদেরা আজ যখন ইসরায়েল সম্পর্কে কথা বলেন, তাঁরা সেটা নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে করেন। প্রায় সব নেতৃস্থানীয় জার্মান রাজনীতিবিদ মনে করেন, অতীতের কারণে ইসরায়েলকে রক্ষা করা জার্মানির জন্য নৈতিকভাবে সঠিক কাজ।
১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনে যুক্তরাজ্যের শাসনের অবসানের মাধ্যমে ইসরায়েলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে জার্মানি ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কের সূচনা হয়। ১৯৫২ সালে পশ্চিম জার্মান চ্যান্সেলর কনরাড অ্যাডেনাউয়ার ইসরায়েলকে পণ্য ও পরিষেবার মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে চালানো গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চুক্তি করেন। এরপর ১৯৬৫ সালে পশ্চিম জার্মানি ও ইসরায়েল আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীরের পতন এবং স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর পুনরেকত্রিত জার্মানি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কে একটি দ্বিমুখী পন্থা অনুসরণ করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন ড্যানিয়েল মারওয়েকি। তাঁর মতে, হলোকাস্ট ও ইহুদিবিদ্বেষের ওপর ভিত্তি করা এই দ্বিমুখী পন্থার নাম ‘জার্মান মেমোরি কালচার’। আর এই প্রবণতাই জার্মান সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তবে সব জার্মানই কিন্তু ‘স্ট্যাটসরাসন’ নীতির সঙ্গে একমত নন। জার্মানিতে ফিলিস্তিনিদের অধিকার সম্পর্কে সোচ্চার নাগরিকদের মতে, ইসরায়েলের প্রতি রাষ্ট্রের সমর্থন ফিলিস্তিনপন্থী কণ্ঠস্বর নীরব করার জন্য কাজ করছে। তাঁদের মতে, এ উদাহরণ অসংখ্য। উদাহরণস্বরূপ, জার্মান পার্লামেন্ট বুন্ডেসটাগ ২০১৯ সালে ইসরায়েলবিরোধী অহিংস বয়কট, ইসরায়েলকে বর্জন এবং নিষেধাজ্ঞা দেওয়াকে ইহুদিবিরোধী বলে আখ্যা দিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে।
এর তিন বছর পর বার্লিনের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে চালিত সোসাইটি ফর এ ডেমোক্রেটিক কালচারকে (ভিডিকে) এক জার্মান আদালত একটি গোপন দলিল প্রকাশ করতে বাধ্য করেছিল। সেখানে জার্মান-ফিলিস্তিনি শিক্ষাবিদ আনা ইউনেসকে একজন ইহুদি-বিদ্বেষী এবং ‘সন্ত্রাসবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। আর এই কাজে ২০১৪ সালের পুরোনো তথ্যও খুঁজে বের করা হয়েছিল।
এরই মধ্যে অনেক মানসিক অশান্তি ভোগ করা আনা ইউনেস আল জাজিরাকে বলেছেন আরও অনেকগুলো মিথ্যা তথ্য সম্পর্কে। তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বোমা হামলায় জার্মানির অব্যাহত সমর্থন দেওয়া দেখে তিনি বাকরুদ্ধ। জার্মান নীতিকে তিনি ফিলিস্তিনকে সমর্থন ও বৈধতা না দেওয়ার এক দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, গাজার গণহত্যায় জার্মানির সমর্থন শুধু এটিই দেখাচ্ছে যে ফিলিস্তিনিদের জীবন, মুসলিমদের জীবন, আরবদের জীবন এবং ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের সব অশ্বেতাঙ্গের জীবনের তেমন কোনো মূল্য নেই।
তবে ‘শক্তিশালীদের’ কাছ থেকে এমন বার্তা পেলেও কোনো কিছুই ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে তাঁর কণ্ঠকে রোধ করতে পারবে না বলে জানান পূর্ব জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী আনা ইউনেস।
গত মাসে জার্মানিতে চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৩১ শতাংশ উত্তরদাতাই গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে চ্যান্সেলর শোলজের আপসহীন সমর্থনের পক্ষে আছেন। এমনকি যারা ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছেন, তাঁরাও ফিলিস্তিনিদের কষ্টকে উপেক্ষা করতে রাজি নন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইসরায়েলপন্থী সমাবেশে যোগ দেওয়া এক জার্মান নাগরিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আল জাজিরাকে বলেন, ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার এবং নিজেদের রক্ষা করার অধিকার যেন সব আলোচনার ঊর্ধ্বে! ইসরায়েলের বিভিন্ন নীতি নিয়ে অনেকের মনেই নানা ধরনের উদ্বেগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় প্রত্যেক জার্মানেরই কোনো না কোনো পূর্বপুরুষ বা আত্মীয় আছেন, যাঁরা ৬ কোটি ইহুদি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যেকোনো পক্ষের বেসামরিকদের হত্যা করাই স্পষ্টত অন্যায়। কেউ যদি কেবল একটি পক্ষ বেছে নেয়, তবে সেই পক্ষ যাই করুক না কেন, আমরা পর্যবসিত হব কষ্ট ও হতাশায়।’
ইসরায়েল রাষ্ট্রের বৈধতার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছিলেন, নিজেদের ফ্যাসিবাদের কারণেই ইসরায়েল রাষ্ট্রের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ। এর জবাব দেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল গণতান্ত্রিক দেশ—এটা স্পষ্ট করে বলতে হবে। আমাদের এই ধারণা পোক্ত করতে প্রতিটি আলোচনায়ই জোর দেওয়া হবে।’
গাজায় ইসরায়েলের চলমান ধ্বংসযজ্ঞের বৈধতা দিতে এভাবে বারবারই এগিয়ে এসেছে জার্মানি। ওলাফ শোলজ যখন ওপরের কথাটি বলেছিলেন, তত দিনে গাজার ইসরায়েলি হামলায় মৃত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ১১ হাজার। তাই জার্মান চ্যান্সেলরের মন্তব্যকে নিছক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ হিসেবে দেখা যায় না।
আধুনিক জার্মান প্রজাতন্ত্র প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তার নাৎসি সংশ্লিষ্ট অতীত এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হলোকাস্টে জার্মানির ভূমিকা সংশোধনের চেষ্টা করে আসছে। ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে জার্মানি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ‘স্ট্যাটসরাসন’ নামক শব্দের প্রবর্তন করেছে, যে শব্দটি অর্থগতভাবেই প্রকাশ করে যে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিধান জার্মানির রাষ্ট্রীয় নীতির অন্তর্ভুক্ত।
গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ পেরিয়ে গেছে ৬০ দিনের বেশি। এর মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি জার্মান সমর্থন অব্যাহতভাবে বেড়েছে। গত মঙ্গলবার জার্মানির স্যাক্সনি-আনহাল্ট প্রদেশের কর্মকর্তারা ঘোষণা করেছেন, পূর্ব জার্মান রাজ্যটিতে বসবাসকারী যেসব ব্যক্তি তাঁদের নাগরিকত্বকে স্বাভাবিকীকরণের (ন্যাচারালাইজেশন) আবেদন করেছেন, তাঁদের অবশ্যই ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে লিখিতভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। অন্যথায় তাদের জার্মান নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যাত হবে।
গাজায় চলমান সংঘাতে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে জার্মানির কঠোর অবস্থানকেই নির্দেশ করছে এ ঘটনা। কিন্তু জার্মানির এই নীতির কারণ কী? ‘জার্মানি অ্যান্ড ইসরায়েল: হোয়াইট ওয়াশিং অ্যান্ড স্টেট বিল্ডিং’ নামক বইয়ের লেখক এবং ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের লেকচারার ড্যানিয়েল মারওয়েকির মতে, হলোকাস্টের ভূমিকার ক্ষতিপূরণ হিসেবেই জার্মানরা ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছে।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা আল জাজিরাকে তিনি বলেছেন, জার্মান রাজনীতিবিদেরা আজ যখন ইসরায়েল সম্পর্কে কথা বলেন, তাঁরা সেটা নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে করেন। প্রায় সব নেতৃস্থানীয় জার্মান রাজনীতিবিদ মনে করেন, অতীতের কারণে ইসরায়েলকে রক্ষা করা জার্মানির জন্য নৈতিকভাবে সঠিক কাজ।
১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনে যুক্তরাজ্যের শাসনের অবসানের মাধ্যমে ইসরায়েলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে জার্মানি ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কের সূচনা হয়। ১৯৫২ সালে পশ্চিম জার্মান চ্যান্সেলর কনরাড অ্যাডেনাউয়ার ইসরায়েলকে পণ্য ও পরিষেবার মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে চালানো গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চুক্তি করেন। এরপর ১৯৬৫ সালে পশ্চিম জার্মানি ও ইসরায়েল আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীরের পতন এবং স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর পুনরেকত্রিত জার্মানি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কে একটি দ্বিমুখী পন্থা অনুসরণ করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন ড্যানিয়েল মারওয়েকি। তাঁর মতে, হলোকাস্ট ও ইহুদিবিদ্বেষের ওপর ভিত্তি করা এই দ্বিমুখী পন্থার নাম ‘জার্মান মেমোরি কালচার’। আর এই প্রবণতাই জার্মান সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তবে সব জার্মানই কিন্তু ‘স্ট্যাটসরাসন’ নীতির সঙ্গে একমত নন। জার্মানিতে ফিলিস্তিনিদের অধিকার সম্পর্কে সোচ্চার নাগরিকদের মতে, ইসরায়েলের প্রতি রাষ্ট্রের সমর্থন ফিলিস্তিনপন্থী কণ্ঠস্বর নীরব করার জন্য কাজ করছে। তাঁদের মতে, এ উদাহরণ অসংখ্য। উদাহরণস্বরূপ, জার্মান পার্লামেন্ট বুন্ডেসটাগ ২০১৯ সালে ইসরায়েলবিরোধী অহিংস বয়কট, ইসরায়েলকে বর্জন এবং নিষেধাজ্ঞা দেওয়াকে ইহুদিবিরোধী বলে আখ্যা দিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে।
এর তিন বছর পর বার্লিনের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে চালিত সোসাইটি ফর এ ডেমোক্রেটিক কালচারকে (ভিডিকে) এক জার্মান আদালত একটি গোপন দলিল প্রকাশ করতে বাধ্য করেছিল। সেখানে জার্মান-ফিলিস্তিনি শিক্ষাবিদ আনা ইউনেসকে একজন ইহুদি-বিদ্বেষী এবং ‘সন্ত্রাসবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। আর এই কাজে ২০১৪ সালের পুরোনো তথ্যও খুঁজে বের করা হয়েছিল।
এরই মধ্যে অনেক মানসিক অশান্তি ভোগ করা আনা ইউনেস আল জাজিরাকে বলেছেন আরও অনেকগুলো মিথ্যা তথ্য সম্পর্কে। তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বোমা হামলায় জার্মানির অব্যাহত সমর্থন দেওয়া দেখে তিনি বাকরুদ্ধ। জার্মান নীতিকে তিনি ফিলিস্তিনকে সমর্থন ও বৈধতা না দেওয়ার এক দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, গাজার গণহত্যায় জার্মানির সমর্থন শুধু এটিই দেখাচ্ছে যে ফিলিস্তিনিদের জীবন, মুসলিমদের জীবন, আরবদের জীবন এবং ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের সব অশ্বেতাঙ্গের জীবনের তেমন কোনো মূল্য নেই।
তবে ‘শক্তিশালীদের’ কাছ থেকে এমন বার্তা পেলেও কোনো কিছুই ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে তাঁর কণ্ঠকে রোধ করতে পারবে না বলে জানান পূর্ব জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী আনা ইউনেস।
গত মাসে জার্মানিতে চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৩১ শতাংশ উত্তরদাতাই গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে চ্যান্সেলর শোলজের আপসহীন সমর্থনের পক্ষে আছেন। এমনকি যারা ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছেন, তাঁরাও ফিলিস্তিনিদের কষ্টকে উপেক্ষা করতে রাজি নন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইসরায়েলপন্থী সমাবেশে যোগ দেওয়া এক জার্মান নাগরিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আল জাজিরাকে বলেন, ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার এবং নিজেদের রক্ষা করার অধিকার যেন সব আলোচনার ঊর্ধ্বে! ইসরায়েলের বিভিন্ন নীতি নিয়ে অনেকের মনেই নানা ধরনের উদ্বেগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় প্রত্যেক জার্মানেরই কোনো না কোনো পূর্বপুরুষ বা আত্মীয় আছেন, যাঁরা ৬ কোটি ইহুদি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যেকোনো পক্ষের বেসামরিকদের হত্যা করাই স্পষ্টত অন্যায়। কেউ যদি কেবল একটি পক্ষ বেছে নেয়, তবে সেই পক্ষ যাই করুক না কেন, আমরা পর্যবসিত হব কষ্ট ও হতাশায়।’
সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকদের পাট বা ভুট্টা জাতীয় উঁচু ফসল চাষ না করার অনুরোধ জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সীমান্তবর্তী জেলার জেলা প্রশাসকদের এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে। বিএসএফের
৭ ঘণ্টা আগে২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ায় প্রায় ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের অর্ধেকেরও বেশি বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন। এমন হাজারো বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের মধ্যে একজন মাহা জানুদ। যিনি সিরিয়ার প্রথম নারী ফুটবল কোচ
৭ ঘণ্টা আগেসামনে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দেশটির এ অবস্থান তুলে ধরেন। ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে ৫৫ তম বিজিবি–বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রথম ট্রান্সজেন্ডার অভিনেত্রী হিসেবে এবার অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছেন কার্লা সোফিয়া গাসকন। এরপরই তাঁর পুরোনো ও বিতর্কিত কয়েকটি টুইট নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। ওই টুইটগুলোতে তিনি ধর্ম, ইসলাম, জর্জ ফ্লয়েড, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং অস্কারের বৈচিত্র্য নীতি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন।
৮ ঘণ্টা আগে