অনলাইন ডেস্ক
গত শুক্রবার (২৩ মে) দুপুর তিনটার দিকে, গাজার খান ইউনুসের নাসের হাসপাতালে কর্মরত শিশু চিকিৎসক ডা. আলা আল-নাজ্জার যখন নিজের সাত সন্তানের পোড়া দেহাবশেষ গ্রহণ করেন। তাঁর আরও দুই সন্তান তখন চাপা পড়েছিল ধ্বংসস্তূপের নিচে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় আলার দশ সন্তানের মধ্যে ৯ জনই নিহত হয় সেদিন। মৃত্যুর সঙ্গে এখন পাঞ্জা লড়ছে তাঁর একমাত্র জীবিত সন্তান আদম এবং স্বামী হামদি।
এদিকে অল্প কিছু দূরেই একটি উদ্বাস্তু শিবিরে পরিবারের সঙ্গে একটি অস্থায়ী ঘরে থাকত ১১ বছর বয়সী ইয়াকিন হাম্মাদ। সেখানেই আরেকটি ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহত হয় ইয়াকিন। এলাকার সবচেয়ে অল্প বয়সী সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে পরিচিত ছিল সে। হামলাটির মুহূর্তে পানি দিচ্ছিল উদ্বাস্তু শিবিরের এক কোনায় জেগে ওঠা কিছু চারা গাছে। একই হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ইয়াকিনের ১৬ বছর বয়সী চাচাতো ভাই আইয়াদ এখন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে।
মর্মান্তিক এই দুটি ঘটনা শুধু গাজার দুই পরিবারের গল্প নয়। এটি পুরো গাজার জন্যই এক ভয়াবহ বাস্তবতার চিত্র। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত ১৯ মাসে গাজায় নিহত শিশুদের সংখ্যা ১৬ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে—যা ইউক্রেনে নিহত শিশুদের সংখ্যার তুলনায় প্রায় ২৪ গুণ বেশি। অথচ ইউক্রেনের জনসংখ্যা গাজার ২০ গুণ।
ডা. আলা নাজ্জারের একমাত্র জীবিত সন্তান ১১ বছরের আদম বর্তমানে ৬০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে ভেন্টিলেটরে বেঁচে থাকার লড়াই করছে। আলার স্বামী হামদিও পেশায় একজন চিকিৎসক। বেঁচে থাকলেও তিনি মস্তিষ্কে বড় আঘাত পেয়েছেন, আর ছররার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে তাঁর শরীর।
ডা. আলার ভাই আলি আল-নাজ্জার ইতালির একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আদমকে গাজা থেকে সরিয়ে একটি উন্নত হাসপাতালে নিয়ে যান। আমি ইতালিয়ান সরকারকে অনুরোধ করছি—তাকে বাঁচান।’
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি জানিয়েছেন, আদমকে চিকিৎসার জন্য ইতালি নিতে তারা প্রস্তুত।
গাজার যে হাসপাতালে এখন আদম মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা লড়ছে, সেই একই হাসপাতালে করিডরের অন্য পাশে শুয়ে আছে আইয়াদ। তার বাবা হোসেন একজন রেড ক্রিসেন্ট প্যারামেডিক। হোসেন জানান, তিনি হাসপাতালে ডিউটিতে থাকা অবস্থায় খবর পান, তাঁর ছেলে আহত হয়েছে এবং ভাগনি ইয়াকিন মারা গেছে।
হাসান বলেন, ‘কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই এই হামলা। বাচ্চারা ফুল গাছে পানি দিচ্ছিল—ওদের কেন লক্ষ্য বানানো হলো?’ কম বয়সী ইনফ্লুয়েন্সার ইয়াকিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক মাধ্যমে শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে থাকেন সকলে। তার সম্পর্কে একজন লিখেছেন, ‘ও ছিল প্রাণবন্ত, সব সময় হাসিমুখ। শেষবার দেখেছিলাম মাসখানেক আগে, কাজের চাপে আর দেখা হয়নি। এখন শেষবার দেখলাম কাফনে মোড়া দেহ।’
আইয়াদের অবস্থাও সংকটাপন্ন। তার এক চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, কাঁধ ভেঙে গেছে, শরীরজুড়ে ছররার আঘাত। তার বাবা হাসান বলেন, ‘ছেলেকে এই অবস্থায় দেখে বুক ফেটে যাচ্ছিল। গাজার সব শিশুর গল্পই যেন একইরকম। নিরপরাধ, অথচ এই যুদ্ধের বলি। ওরা কেবল সংখ্যা নয়—প্রত্যেকেরই আছে জীবন, স্বপ্ন, পরিবার।’
গাজা শহরের অন্য এক প্রান্তে, ফাহমি আল-জারজাওয়ি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয় ৬ বছর বয়সী ওয়ারদ খলিলের মা ও দুই ভাইবোন। ওয়ারদের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, সে আগুনের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে। পরদিন আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে বলে, ‘চোখ খুলে দেখি চারপাশে আগুন। মা মরে গেছে। আমি আগুনের মধ্য দিয়ে হেঁটে এসেছি, ছাদ আমার ওপর ভেঙে পড়েছে।’
এই সবকিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গাজায় এখন চলছে দুর্ভিক্ষ। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে খাদ্য সহায়তা বন্ধ থাকায় শিশুদের মৃত্যুর হার বেড়েছে। গত সপ্তাহে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় ২৯ জন শিশু ও বৃদ্ধ মারা গেছে ক্ষুধায়। আইপিসি বলছে, আগামী মার্চ নাগাদ পাঁচ বছরের নিচে গাজার ৭১ হাজার শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগবে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, ৯ হাজারেরও বেশি শিশুকে ইতিমধ্যে অপুষ্টির চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘গাজার শিশুদের দরকার সুরক্ষা, খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং সবকিছুর আগে একটি অতি দ্রুত যুদ্ধবিরতি। আর দরকার সারা বিশ্বের সম্মিলিত পদক্ষেপ—এখনই।’
গত শুক্রবার (২৩ মে) দুপুর তিনটার দিকে, গাজার খান ইউনুসের নাসের হাসপাতালে কর্মরত শিশু চিকিৎসক ডা. আলা আল-নাজ্জার যখন নিজের সাত সন্তানের পোড়া দেহাবশেষ গ্রহণ করেন। তাঁর আরও দুই সন্তান তখন চাপা পড়েছিল ধ্বংসস্তূপের নিচে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় আলার দশ সন্তানের মধ্যে ৯ জনই নিহত হয় সেদিন। মৃত্যুর সঙ্গে এখন পাঞ্জা লড়ছে তাঁর একমাত্র জীবিত সন্তান আদম এবং স্বামী হামদি।
এদিকে অল্প কিছু দূরেই একটি উদ্বাস্তু শিবিরে পরিবারের সঙ্গে একটি অস্থায়ী ঘরে থাকত ১১ বছর বয়সী ইয়াকিন হাম্মাদ। সেখানেই আরেকটি ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহত হয় ইয়াকিন। এলাকার সবচেয়ে অল্প বয়সী সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে পরিচিত ছিল সে। হামলাটির মুহূর্তে পানি দিচ্ছিল উদ্বাস্তু শিবিরের এক কোনায় জেগে ওঠা কিছু চারা গাছে। একই হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ইয়াকিনের ১৬ বছর বয়সী চাচাতো ভাই আইয়াদ এখন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে।
মর্মান্তিক এই দুটি ঘটনা শুধু গাজার দুই পরিবারের গল্প নয়। এটি পুরো গাজার জন্যই এক ভয়াবহ বাস্তবতার চিত্র। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত ১৯ মাসে গাজায় নিহত শিশুদের সংখ্যা ১৬ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে—যা ইউক্রেনে নিহত শিশুদের সংখ্যার তুলনায় প্রায় ২৪ গুণ বেশি। অথচ ইউক্রেনের জনসংখ্যা গাজার ২০ গুণ।
ডা. আলা নাজ্জারের একমাত্র জীবিত সন্তান ১১ বছরের আদম বর্তমানে ৬০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে ভেন্টিলেটরে বেঁচে থাকার লড়াই করছে। আলার স্বামী হামদিও পেশায় একজন চিকিৎসক। বেঁচে থাকলেও তিনি মস্তিষ্কে বড় আঘাত পেয়েছেন, আর ছররার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে তাঁর শরীর।
ডা. আলার ভাই আলি আল-নাজ্জার ইতালির একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আদমকে গাজা থেকে সরিয়ে একটি উন্নত হাসপাতালে নিয়ে যান। আমি ইতালিয়ান সরকারকে অনুরোধ করছি—তাকে বাঁচান।’
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি জানিয়েছেন, আদমকে চিকিৎসার জন্য ইতালি নিতে তারা প্রস্তুত।
গাজার যে হাসপাতালে এখন আদম মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা লড়ছে, সেই একই হাসপাতালে করিডরের অন্য পাশে শুয়ে আছে আইয়াদ। তার বাবা হোসেন একজন রেড ক্রিসেন্ট প্যারামেডিক। হোসেন জানান, তিনি হাসপাতালে ডিউটিতে থাকা অবস্থায় খবর পান, তাঁর ছেলে আহত হয়েছে এবং ভাগনি ইয়াকিন মারা গেছে।
হাসান বলেন, ‘কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই এই হামলা। বাচ্চারা ফুল গাছে পানি দিচ্ছিল—ওদের কেন লক্ষ্য বানানো হলো?’ কম বয়সী ইনফ্লুয়েন্সার ইয়াকিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক মাধ্যমে শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে থাকেন সকলে। তার সম্পর্কে একজন লিখেছেন, ‘ও ছিল প্রাণবন্ত, সব সময় হাসিমুখ। শেষবার দেখেছিলাম মাসখানেক আগে, কাজের চাপে আর দেখা হয়নি। এখন শেষবার দেখলাম কাফনে মোড়া দেহ।’
আইয়াদের অবস্থাও সংকটাপন্ন। তার এক চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, কাঁধ ভেঙে গেছে, শরীরজুড়ে ছররার আঘাত। তার বাবা হাসান বলেন, ‘ছেলেকে এই অবস্থায় দেখে বুক ফেটে যাচ্ছিল। গাজার সব শিশুর গল্পই যেন একইরকম। নিরপরাধ, অথচ এই যুদ্ধের বলি। ওরা কেবল সংখ্যা নয়—প্রত্যেকেরই আছে জীবন, স্বপ্ন, পরিবার।’
গাজা শহরের অন্য এক প্রান্তে, ফাহমি আল-জারজাওয়ি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয় ৬ বছর বয়সী ওয়ারদ খলিলের মা ও দুই ভাইবোন। ওয়ারদের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, সে আগুনের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে। পরদিন আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে বলে, ‘চোখ খুলে দেখি চারপাশে আগুন। মা মরে গেছে। আমি আগুনের মধ্য দিয়ে হেঁটে এসেছি, ছাদ আমার ওপর ভেঙে পড়েছে।’
এই সবকিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গাজায় এখন চলছে দুর্ভিক্ষ। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে খাদ্য সহায়তা বন্ধ থাকায় শিশুদের মৃত্যুর হার বেড়েছে। গত সপ্তাহে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় ২৯ জন শিশু ও বৃদ্ধ মারা গেছে ক্ষুধায়। আইপিসি বলছে, আগামী মার্চ নাগাদ পাঁচ বছরের নিচে গাজার ৭১ হাজার শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগবে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, ৯ হাজারেরও বেশি শিশুকে ইতিমধ্যে অপুষ্টির চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘গাজার শিশুদের দরকার সুরক্ষা, খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং সবকিছুর আগে একটি অতি দ্রুত যুদ্ধবিরতি। আর দরকার সারা বিশ্বের সম্মিলিত পদক্ষেপ—এখনই।’
রাশিয়ার এত বিপুলসংখ্যক অত্যাধুনিক বিমান দেশের এতটা গভীরে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করার সক্ষমতা ইউক্রেনের আক্রমণ কৌশলের উন্নয়ন এবং রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের গোপন এজেন্টদের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
১১ মিনিট আগে‘সৌন্দর্যের উদ্দেশ্য রয়েছে’—এই মন্ত্র নিয়ে চলা মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার আয়োজকদের বিরুদ্ধে এবার সম্পূর্ণ বিপরীত এক অভিযোগ উঠেছে। এবারের আসরে অংশ নেওয়া মিস ইংল্যান্ড মিলা ম্যাগি অভিযোগ করেছেন, তাঁকে প্রতিযোগিতায় ব্যবহার করা হয়েছে কেবল ‘উইন্ডো ড্রেসিং’ হিসেবে এবং প্রতিযোগিতার নামে বিনিয়োগকারীদের মনোরঞ
১১ ঘণ্টা আগেগাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ এখন এক ভয়াবহ মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। রোববার সকালেই ত্রাণ বিতরণের সময় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। অন্তত ৪০ জন ক্ষুধার্ত মানুষকে গুলি করে মেরেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
১১ ঘণ্টা আগেইরানের সরকার বেকায়দায় ফেলতে, এমনকি প্রয়োজন বোধে সরকারের পতন ঘটাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে দেশটির এক কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা। এই বিষয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠী কোমলা পার্টি ইরান কুর্দিস্তানের শীর্ষ নেতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগে