অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ইরানের নেতৃত্বের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন দেশটির পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য। তবে ইরান বলেছে, তারা এখনো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে কোনো চিঠি পায়নি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এই বিষয়ে গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে ইরানের দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা এখনো এমন কোনো চিঠি পাইনি।’ ট্রাম্প ইরানকে চিঠি পাঠানোর দাবির একদিন পর ইরানের পক্ষ থেকে এই অবস্থান প্রকাশ করা হলো। তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির দপ্তর থেকে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি যে, তারা কোনো চিঠি পেয়েছে কি না।
ইরানের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তেহরানের ওপর ওয়াশিংটনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো পরমাণু আলোচনা করবে না। তিনি বলেন, ‘যত দিন তারা সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি ও হুমকি অব্যাহত রাখবে, তত দিন আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সরাসরি আলোচনায় যাব না।’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার মধ্যে দেশটির তেল খাতও রয়েছে। এই কৌশলকে ট্রাম্প প্রশাসন ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ নীতি বলছে।
এই চিঠির বিষয়ে ৮৫ বছর বয়সী ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি কী প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, তা অনিশ্চিত। এর আগে, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির আলোচনার আগে খামেনিকে গোপনে চিঠি পাঠিয়েছিলেন।
গত আগস্টে এক ভাষণে খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, ‘শত্রুর’ সঙ্গে আলোচনায় ক্ষতি নেই। প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ানের জয়ের পর খামেনি এই বক্তব্য দেন। পেজেশকিয়ান বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে নতুন চুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
ইরানকে চিঠি পাঠানোর বিষয়ে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন এক সময় এল, যার কয়েক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সতর্ক করেছে যে, তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেবে না। এতে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, তেহরান প্রায় অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম এমন পর্যায়ের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে।
ট্রাম্প ফক্স নিউজে বলেন, ‘আমি তাদের (ইরান) চিঠি লিখেছি। বলেছি, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে, কারণ আমাদের যদি সামরিক পদক্ষেপ নিতে হয়, তাহলে সেটি খুবই ভয়ংকর হবে।’ হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, তিনি ইরানের নেতাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি একটি চুক্তি করতে চাই। আমি নিশ্চিত নই যে, সবাই আমার সঙ্গে একমত হবে। তবে আমরা এমন একটি চুক্তি করতে পারি, যা সামরিক জয়ের সমান হবে। কিন্তু সময় ফুরিয়ে আসছে। কিছু একটা ঘটবে, যেকোনোভাবে।’
ইরানকে হুমকি দিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ এটি ইরানের জন্য অনেক ভালো হবে এবং আমি মনে করি, তারা চিঠিটি পেতে চায়। অন্যথায়, আমাদের কিছু একটা করতে হবে। কারণ, তাদের (ইরান) হাতে তো আর পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে দেওয়া যায় না।’ তবে ট্রাম্প চিঠিতে ইরানকে কোনো প্রস্তাব দিয়েছেন কি না—সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।
ইরান দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি নড়বড়ে অবস্থায় থাকায় তেহরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের উত্তেজনা বাড়ছে, আর ইরানের কর্মকর্তারা ক্রমশ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির হুমকি দিচ্ছেন।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ইরান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র কর্মসূচি শুরু করেনি। তবে তারা এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা ভবিষ্যতে পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসন হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকেই বলে আসছে যে, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেওয়া যাবে না। তবে গত মাসে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান প্রায় অস্ত্র তৈরির পর্যায়ের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন আরও বাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ইরানের নেতৃত্বের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন দেশটির পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য। তবে ইরান বলেছে, তারা এখনো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে কোনো চিঠি পায়নি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এই বিষয়ে গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে ইরানের দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা এখনো এমন কোনো চিঠি পাইনি।’ ট্রাম্প ইরানকে চিঠি পাঠানোর দাবির একদিন পর ইরানের পক্ষ থেকে এই অবস্থান প্রকাশ করা হলো। তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির দপ্তর থেকে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি যে, তারা কোনো চিঠি পেয়েছে কি না।
ইরানের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তেহরানের ওপর ওয়াশিংটনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো পরমাণু আলোচনা করবে না। তিনি বলেন, ‘যত দিন তারা সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি ও হুমকি অব্যাহত রাখবে, তত দিন আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সরাসরি আলোচনায় যাব না।’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার মধ্যে দেশটির তেল খাতও রয়েছে। এই কৌশলকে ট্রাম্প প্রশাসন ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ নীতি বলছে।
এই চিঠির বিষয়ে ৮৫ বছর বয়সী ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি কী প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, তা অনিশ্চিত। এর আগে, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির আলোচনার আগে খামেনিকে গোপনে চিঠি পাঠিয়েছিলেন।
গত আগস্টে এক ভাষণে খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, ‘শত্রুর’ সঙ্গে আলোচনায় ক্ষতি নেই। প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ানের জয়ের পর খামেনি এই বক্তব্য দেন। পেজেশকিয়ান বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে নতুন চুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
ইরানকে চিঠি পাঠানোর বিষয়ে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন এক সময় এল, যার কয়েক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সতর্ক করেছে যে, তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেবে না। এতে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, তেহরান প্রায় অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম এমন পর্যায়ের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে।
ট্রাম্প ফক্স নিউজে বলেন, ‘আমি তাদের (ইরান) চিঠি লিখেছি। বলেছি, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে, কারণ আমাদের যদি সামরিক পদক্ষেপ নিতে হয়, তাহলে সেটি খুবই ভয়ংকর হবে।’ হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, তিনি ইরানের নেতাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি একটি চুক্তি করতে চাই। আমি নিশ্চিত নই যে, সবাই আমার সঙ্গে একমত হবে। তবে আমরা এমন একটি চুক্তি করতে পারি, যা সামরিক জয়ের সমান হবে। কিন্তু সময় ফুরিয়ে আসছে। কিছু একটা ঘটবে, যেকোনোভাবে।’
ইরানকে হুমকি দিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ এটি ইরানের জন্য অনেক ভালো হবে এবং আমি মনে করি, তারা চিঠিটি পেতে চায়। অন্যথায়, আমাদের কিছু একটা করতে হবে। কারণ, তাদের (ইরান) হাতে তো আর পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে দেওয়া যায় না।’ তবে ট্রাম্প চিঠিতে ইরানকে কোনো প্রস্তাব দিয়েছেন কি না—সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।
ইরান দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি নড়বড়ে অবস্থায় থাকায় তেহরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের উত্তেজনা বাড়ছে, আর ইরানের কর্মকর্তারা ক্রমশ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির হুমকি দিচ্ছেন।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ইরান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র কর্মসূচি শুরু করেনি। তবে তারা এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা ভবিষ্যতে পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসন হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকেই বলে আসছে যে, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেওয়া যাবে না। তবে গত মাসে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান প্রায় অস্ত্র তৈরির পর্যায়ের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন আরও বাড়িয়েছে।
গত ২০১৮ সালের পর থেকে মাসে অন্তত একবার গির্জায় যাওয়া লোকের সংখ্যা বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। এবং তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি, বিশেষ করে তরুণ পুরুষদের মধ্যে। ২০১৮ সালে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে মাত্র ৪ শতাংশ নিয়মিত গির্জায় যেতেন। তবে ২০২৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৬ শতাংশ হয়েছে।
২৪ মিনিট আগেকর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেলেও হতাহত আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই সংকটাপন্ন। তবে, অঞ্চলটিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা ততটা উন্নত নয় বলে তাদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেআবারও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হলেন এক গণমাধ্যমকর্মী। হাসান ইসলাইহ নামের ওই গণমাধ্যমকর্মী খান ইউনিসের আল নাসের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, হাসান ইসলাইহ ছাড়াও নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলায় আরও দুই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্পের মন্তব্য, দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে মার্কিন কূটনৈতিক মধ্যস্থতার একটি বিরল মুহূর্তকে তুলে ধরেছে। শান্তির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার উল্লেখ ট্রাম্পের নেতৃত্বে বৃহত্তর মার্কিন কৌশলের ইঙ্গিত দেয়।
৩ ঘণ্টা আগে