Ajker Patrika

মিয়ানমারে বিদ্যালয়ে জান্তার বিমান হামলা, ১১ শিক্ষার্থীসহ নিহত অন্তত ১৭

অনলাইন ডেস্ক
হামলায় বিধ্বস্ত মিয়ানমারের স্কুল। ছবি: ইরাবতী
হামলায় বিধ্বস্ত মিয়ানমারের স্কুল। ছবি: ইরাবতী

একটি বিদ্যালয়ে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১১ জনই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৩০ জন। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির তথ্য অনুযায়ী, ৫০০ পাউন্ডের বোমা দিয়ে হামলা চালানো হয় স্কুলটিতে। স্কুলটি মূলত বিদ্রোহীদের ঘাঁটির খুব কাছে অবস্থিত। মেইকতিলা বিমানঘাঁটির একটি যুদ্ধবিমান উড়ে এসে ‘ও হতেইন তইন’ নামের গ্রামটিতে বোমাবর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে ইরাবতী।

গ্রামটির এক বাসিন্দা ইরাবতীকে বলেন, ‘আমরা যখন উড়োজাহাজের শব্দ পাই, ততক্ষণে বোমা ফেলা হয়ে গেছে। তাই, পালানোর আর কোনো সুযোগ ছিল না। শক্তিশালী একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। পুরো এলাকা কেঁপে উঠেছিল। ভাবিনি বেঁচে যাব!’

কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেলেও হতাহত আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই সংকটাপন্ন। তবে, অঞ্চলটিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা ততটা উন্নত নয় বলে তাদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

‘সাম মেসেজেস ফ্রম দেপায়িন’ নামের একটি স্থানীয় অধিকার সংগঠনের এক কর্মকর্তার অভিযোগ, দেপায়িন শহর জাতীয় ঐক্য সরকারের (ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট-এনইউজি) নিয়ন্ত্রণে থাকায় ইচ্ছাকৃতভাবে স্কুলটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী।

এর আগে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দেপায়িনের লেত ইয়াত কোনে গ্রামে আরেকটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়েছিল জান্তা সরকার। ওই হামলায় নিহত হয়েছিল ১৩ জন, যাদের মধ্যে সাতজনই ছিল শিশু।

গত এপ্রিলে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সামরিক সরকার মে মাসের শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল। তবে, তা যে মানা হচ্ছে না তা স্পষ্ট করল এই হামলা। জাতীয় ঐক্য সরকারের মানবাধিকার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৮ মার্চ থেকে ৯ মে পর্যন্ত সেনা সরকার ১৩টি রাজ্য ও অঞ্চলে মোট ৩৭২টি বিমান হামলা চালিয়েছে, যাতে ৩৩৪ জন নিহত এবং ৫৫২ জন আহত হয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত