Ajker Patrika

গাজায় পাঁচ ফিলিস্তিনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে হামাস

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

গুপ্তচরবৃত্তি ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে পাঁচ ফিলিস্তিনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে গাজার ক্ষমতাসীন হামাস। স্থানীয় সময় রোববার ভোরে ফায়ারিং স্কোয়াডে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে গাজায় হামাস পরিচালিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, দুজনকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এবং তিনজনকে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে এ সাজা দেওয়া হয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে যাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে তাঁরা ইসরায়েলকে এমন তথ্য দিয়েছিলেন যা ফিলিস্তিনিদের হত্যা করতে সহায়তা করেছিল। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে রায় চূড়ান্ত ছিল। ফলে রায় বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক ছিল। রায় কার্যকর করার আগে তাঁদের সবাইকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।’ 

হামাসের এ দাবির সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে রয়টার্স যাচাই করতে পারেনি। রয়টার্স আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সাধারণত গোয়েন্দা বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করে থাকে। 

ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ মৃত্যুদণ্ডের নিন্দা করেছে। তারা মৃত্যুদণ্ডের অনুশীলন বন্ধ করতে হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে। হামাস প্রকৃতপক্ষে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে সীমিত স্ব-শাসনের অনুশীলন করে থাকে। 

ফিলিস্তিনি সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস (পিসিএইচআর) বলেছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে। 

ফিলিস্তিনি আইন বলছে, ফাঁসি কার্যকর করা যাবে কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। কিন্তু গাজায় তাঁর কোনো কার্যকর শাসন নেই। 

পিসিএইচআরের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৮০ ফিলিস্তিনিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত