যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যেসব সংশোধনী এনেছে হামাস, তা তাদের আগের অবস্থানের চেয়ে খুব একটা আলাদা নয়। গত ৬ মে হামাস মধ্যস্থতাকারীদের কাছে যে প্রস্তাব বা প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছিল, এবারের সংশোধনীও ঠিক সেটার মতোই। হামাসের একটি সূত্র গতকাল বুধবার লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়েদিনকে এ তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি জানিয়েছে, হামাস একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে। এ ছাড়া, রাফাহ ক্রসিং ও ফিলাডেলফিয়া করিডর থেকেও ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছে। এর সঙ্গে হামাস তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির প্রতিটি ধাপের মধ্যে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে।
সূত্রমতে, এখন পর্যন্ত তারা মনে করছে—প্রধান সমস্যা হলো যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে মুক্তির জন্য হামাস বেশ কয়েকজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দীকে মুক্তি দিতে বলেছে। কিন্তু ইসরায়েল তাতে ভেটো দিয়েছে। আর হামাস এ বিষয়ে তার অবস্থানে অনড়।
এ ছাড়া অপর একটি বেসরকারি সূত্র আল-মায়াদিনকে বলেছে, ইসরায়েল ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজা থেকে যেসব ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গেছে, তাদের কোথায় রাখা হয়েছে সেই অবস্থান জানাতে হবে বলে দাবি করেছে হামাস। এ ছাড়া, যেসব ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, তাদের আর কখনো গ্রেপ্তার করবে না ইসরায়েল, সেই মর্মে একটি আইনি নিশ্চয়তা চেয়েছে হামাস।
হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) সেক্রেটারি জেনারেল জিয়াদ আল-নাখালাহের নেতৃত্বে একটি যৌথ প্রতিনিধিদল গত মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে, তারা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে কাতার ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ফিলিস্তিনি পক্ষগুলোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
হামাস—পিআইজে ইঙ্গিত দিয়েছে যে, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয় এবং গাজার ওপর চলমান আগ্রাসন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাধিকার দেয়। তারা আরও বলেছে, এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে এমন একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইতিবাচকভাবে জড়িত হতে প্রস্তুত তারা।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, তাদের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে হামাস। তবে গোষ্ঠীটি এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে, তারা প্রস্তাবে নতুন করে খুব একটা পরিবর্তন আনেনি। এদিকে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো বলছে, তারা পক্ষগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যে দূরত্ব আছে তা কমাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা হামদান অস্বীকার করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাস কোনো নতুন ধারণা দিয়েছে। প্যান-আরব সম্প্রচারমাধ্যম আল-আরবি টিভির সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি হামাসের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েলই প্রত্যাখ্যান করছে। এ সময় তিনি মার্কিন প্রশাসনকে ইসরায়েলের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করার বিষয়ে অভিযোগ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যেসব সংশোধনী এনেছে হামাস, তা তাদের আগের অবস্থানের চেয়ে খুব একটা আলাদা নয়। গত ৬ মে হামাস মধ্যস্থতাকারীদের কাছে যে প্রস্তাব বা প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছিল, এবারের সংশোধনীও ঠিক সেটার মতোই। হামাসের একটি সূত্র গতকাল বুধবার লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়েদিনকে এ তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি জানিয়েছে, হামাস একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে। এ ছাড়া, রাফাহ ক্রসিং ও ফিলাডেলফিয়া করিডর থেকেও ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছে। এর সঙ্গে হামাস তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির প্রতিটি ধাপের মধ্যে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে।
সূত্রমতে, এখন পর্যন্ত তারা মনে করছে—প্রধান সমস্যা হলো যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে মুক্তির জন্য হামাস বেশ কয়েকজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দীকে মুক্তি দিতে বলেছে। কিন্তু ইসরায়েল তাতে ভেটো দিয়েছে। আর হামাস এ বিষয়ে তার অবস্থানে অনড়।
এ ছাড়া অপর একটি বেসরকারি সূত্র আল-মায়াদিনকে বলেছে, ইসরায়েল ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজা থেকে যেসব ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গেছে, তাদের কোথায় রাখা হয়েছে সেই অবস্থান জানাতে হবে বলে দাবি করেছে হামাস। এ ছাড়া, যেসব ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, তাদের আর কখনো গ্রেপ্তার করবে না ইসরায়েল, সেই মর্মে একটি আইনি নিশ্চয়তা চেয়েছে হামাস।
হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) সেক্রেটারি জেনারেল জিয়াদ আল-নাখালাহের নেতৃত্বে একটি যৌথ প্রতিনিধিদল গত মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে, তারা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে কাতার ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ফিলিস্তিনি পক্ষগুলোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
হামাস—পিআইজে ইঙ্গিত দিয়েছে যে, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয় এবং গাজার ওপর চলমান আগ্রাসন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাধিকার দেয়। তারা আরও বলেছে, এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে এমন একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইতিবাচকভাবে জড়িত হতে প্রস্তুত তারা।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, তাদের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে হামাস। তবে গোষ্ঠীটি এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে, তারা প্রস্তাবে নতুন করে খুব একটা পরিবর্তন আনেনি। এদিকে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো বলছে, তারা পক্ষগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যে দূরত্ব আছে তা কমাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা হামদান অস্বীকার করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাস কোনো নতুন ধারণা দিয়েছে। প্যান-আরব সম্প্রচারমাধ্যম আল-আরবি টিভির সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি হামাসের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েলই প্রত্যাখ্যান করছে। এ সময় তিনি মার্কিন প্রশাসনকে ইসরায়েলের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করার বিষয়ে অভিযোগ করেন।
আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওয়ালা ফাথি তাঁর তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। দেইর আল-বালাহ থেকে তিনি বিবিসিকে বলেন, গাজার মানুষেরা ‘এমন এক বিপর্যয় এবং দুর্ভিক্ষের অভিজ্ঞতা লাভ করছে, যা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমার শিশুটি আমার গর্ভেই থাকুক। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমাকে যেন তাকে জন্ম দিতে...
৭ মিনিট আগেএই বিরোধ তীব্র হয় ২০০৮ সালে। কম্বোডিয়া বিতর্কিত এলাকার ১১ শতকের একটি মন্দিরকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নিবন্ধন করার চেষ্টা করলে থাইল্যান্ডের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ে। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে অনেকবার সংঘর্ষ হয়েছে, যেখানে উভয় পক্ষের সৈনিক ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘর্ষ আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নতুন এক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। আসিয়ান সংগঠনটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্রুত বিকাশমান অঞ্চলে অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এই অঞ্চলটিতে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীন প্রভাব...
২ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জনই বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সেনাসদস্য।
৪ ঘণ্টা আগে