ফিলিস্তিনিদের নিজ বাসভূমি থেকে না সরিয়েই যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের একটি ‘সামগ্রিক’ পরিকল্পনা করছে মিসর। এমনটাই জানিয়েছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। গতকাল রোববার তিনি নিশ্চিত করেন যে, তাঁর দেশ গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে একটি ‘সামগ্রিক’ পরিকল্পনা প্রস্তুত করছে। ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত না করেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরের রাজধানী কায়রোতে ওয়ার্ল্ড জিউয়িশ কংগ্রেসের প্রধান রোনাল্ড লডারের সঙ্গে বৈঠকের সময় সিসি এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মিসরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সিসি ও লডারের আলোচনার মূল বিষয় ছিল গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন, বন্দী ও জিম্মি বিনিময়ের মাধ্যমে উত্তেজনা কমানো এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি করা।
প্রেসিডেন্ট সিসি জোর দিয়ে বলেন, ‘গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করা জরুরি এবং এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, গাজার ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূমি থেকে বাস্তুচ্যুত হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি যাতে টিকে থাকে, সে জন্য সব পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।’ পাশাপাশি, তিনি সতর্ক করেন যে, এই সংঘাত আরও বিস্তৃত হলে তা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জন্য ক্ষতিকর হবে।
সিসি আরও জোর দিয়ে বলেন, ‘ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানের একমাত্র বাস্তবসম্মত পথ হলো ১৯৬৭ সালের ৪ জুনের সীমারেখার ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুসালেম।’ এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, এই রাজনৈতিক সমাধানই স্থায়ী ও টেকসই শান্তি নিশ্চিত করতে পারে।
বৈঠকের পর ওয়ার্ল্ড জিউয়িশ কংগ্রেসের প্রধান রোনাল্ড লডার বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মিসরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে তিনি কায়রোর সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী। তিনি মিসরকে এই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার প্রচেষ্টার জন্য প্রশংসা করেন এবং গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার গাজা দখল করে এর জনসংখ্যাকে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দিয়েছেন এবং এই অঞ্চলকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেছেন। তবে আরব বিশ্বসহ বহু দেশ এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ এটি কার্যত জাতিগত নিধনের শামিল বলে তারা মনে করে।
এই বিতর্কিত প্রস্তাবটি এমন সময় এসেছে যখন ১৯ জানুয়ারি গাজায় কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়েছে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৮ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। যুদ্ধের ফলে গাজার অবস্থা চরম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এসব ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনো নিহতের লাশ বের হচ্ছে প্রতিনিয়তই।
ফিলিস্তিনিদের নিজ বাসভূমি থেকে না সরিয়েই যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের একটি ‘সামগ্রিক’ পরিকল্পনা করছে মিসর। এমনটাই জানিয়েছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। গতকাল রোববার তিনি নিশ্চিত করেন যে, তাঁর দেশ গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে একটি ‘সামগ্রিক’ পরিকল্পনা প্রস্তুত করছে। ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত না করেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরের রাজধানী কায়রোতে ওয়ার্ল্ড জিউয়িশ কংগ্রেসের প্রধান রোনাল্ড লডারের সঙ্গে বৈঠকের সময় সিসি এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মিসরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সিসি ও লডারের আলোচনার মূল বিষয় ছিল গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন, বন্দী ও জিম্মি বিনিময়ের মাধ্যমে উত্তেজনা কমানো এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি করা।
প্রেসিডেন্ট সিসি জোর দিয়ে বলেন, ‘গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করা জরুরি এবং এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, গাজার ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূমি থেকে বাস্তুচ্যুত হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি যাতে টিকে থাকে, সে জন্য সব পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।’ পাশাপাশি, তিনি সতর্ক করেন যে, এই সংঘাত আরও বিস্তৃত হলে তা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জন্য ক্ষতিকর হবে।
সিসি আরও জোর দিয়ে বলেন, ‘ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানের একমাত্র বাস্তবসম্মত পথ হলো ১৯৬৭ সালের ৪ জুনের সীমারেখার ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুসালেম।’ এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, এই রাজনৈতিক সমাধানই স্থায়ী ও টেকসই শান্তি নিশ্চিত করতে পারে।
বৈঠকের পর ওয়ার্ল্ড জিউয়িশ কংগ্রেসের প্রধান রোনাল্ড লডার বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মিসরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে তিনি কায়রোর সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী। তিনি মিসরকে এই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার প্রচেষ্টার জন্য প্রশংসা করেন এবং গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার গাজা দখল করে এর জনসংখ্যাকে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দিয়েছেন এবং এই অঞ্চলকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেছেন। তবে আরব বিশ্বসহ বহু দেশ এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ এটি কার্যত জাতিগত নিধনের শামিল বলে তারা মনে করে।
এই বিতর্কিত প্রস্তাবটি এমন সময় এসেছে যখন ১৯ জানুয়ারি গাজায় কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়েছে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৮ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। যুদ্ধের ফলে গাজার অবস্থা চরম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এসব ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনো নিহতের লাশ বের হচ্ছে প্রতিনিয়তই।
পাকিস্তানে বসবাসরত অবৈধ বা অনথিভুক্ত আফগান নাগরিকদের দেশত্যাগে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর বহু আফগান দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিলের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে পাকিস্তান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইস্টার সানডে উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
১১ ঘণ্টা আগে