Ajker Patrika

গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলার পর আম্মানে বাইডেন-সিসি বৈঠক বাতিল

আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ১১: ৩৩
গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলার পর আম্মানে বাইডেন-সিসি বৈঠক বাতিল

জর্ডানের রাজধানী আম্মানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ ইস্যুতে আলোচনার কথা ছিল জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর। কিন্তু ইসরায়েল গাজার হাসপাতালে হামলা করে ৫০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করায় বৈঠক বাতিল করেছেন বাদশাহ আবদুল্লাহ। এই বৈঠকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তিনিও এই বৈঠকে যোগ দেবেন না। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বৈঠক বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই বৈঠক তখনই অনুষ্ঠিত হবে, যখন যাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান যুদ্ধ ও গণহত্যা বন্ধে একমত হতে পারবে। তিনি এ সময় বলেন, ইসরায়েল তার সামরিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই অঞ্চলকে খাদের কিনারে ঠেলে দিচ্ছে। 

আজ বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ইসরায়েল সফরের কথা রয়েছে। সেখান থেকে তাঁর জর্ডানের রাজধানী আম্মানে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে তিনি মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে কথা ছিল। কিন্তু বাইডেন ইসরায়েলে পৌঁছানোর আগেই বাদশাহ আবদুল্লাহর তরফ থেকে বৈঠক বাতিল করা হলো। 

বাদশাহ আবদুল্লাহ গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার তীব্র সমালোচনা করেছেন। এই হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘এটি মানবতার জন্য একটি লজ্জা।’ এ সময় তিনি ইসরায়েলি নেতৃত্বকে গাজায় সামরিক অভিযান চালানো বন্ধের আহ্বান জানান। 

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার রাতে এই হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। নিহতদের অধিকাংশই রোগী এবং বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শরণার্থী। জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘এটি ভয়াবহ অন্যায় এবং এই হামলার মাধ্যমে আবারও দেখিয়ে দেওয়া হলো, বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণের কোনো দাম দেওয়া হচ্ছে না।’ 

ইসরায়েলের হামলার পর হতাহতের বিষয়টি জানিয়ে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, হাসপাতালটি রোগীদের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি আশ্রয়হীনদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘হাসপাতালটি অসুস্থ ও আহতদের ঠাঁই দেওয়ার পাশাপাশি গাজার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষকেও আশ্রয় দিয়েছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত