অনলাইন ডেস্ক
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার অর্থনীতি এমনিতেই নাজুক। এরই মধ্যে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর নতুন সরকার এসে দেশটিকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় নতুন সরকার কর্মচারীদের বেতন দিতেও হিমশিম খাচ্ছে। সিরিয়ার এই সংকট নিরসনে এগিয়ে এসেছে সৌদি আরব ও কাতার। দেশ দুটি যৌথভাবে সিরিয়ার সরকারি কর্মচারীদের বেতনের জন্য অর্থ দেবে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, সৌদি আরব ও কাতার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের যৌথ আর্থিক সহায়তা দেবে। দামেস্কে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফারহান বিন ফয়সাল বলেন, ‘সৌদি আরব কাতারের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের আর্থিক সহায়তা দেবে।’ এর আগে সিরিয়া ও সৌদি আরব আর্থিক খাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছিল।
প্রিন্স ফয়সাল সিরিয়ার ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে তাঁর দেশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে সৌদি আরব সিরিয়ার অন্যতম প্রধান সহায়তাকারী হিসেবে থাকবে। তিনি জানান, উচ্চ পর্যায়ের একটি অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে রয়েছে, যারা ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে (সিরিয়ার পক্ষের সঙ্গে) আলোচনা করবে।’
তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সৌদি ব্যবসায়ীরা জ্বালানি, কৃষি, অবকাঠামো এবং অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করতে সিরিয়া সফর করবেন। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, সৌদি আরব ও কাতার সিরিয়ার স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং সিরিয়ার জনগণের সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছে।
উভয় দেশ সিরিয়ায় জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বাড়ানোর গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। এসপিএ আরও যোগ করেছে যে, তারা একটি ব্যাপক ও সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে টেকসই, কার্যকর সমর্থন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে।
শনিবার পরে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দামেস্কের উমাইয়া মসজিদ পরিদর্শন করেন। প্রিন্স ফয়সাল শনিবার তার সফরকালে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং ‘উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদল’ সিরিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘সিরিয়ার অর্থনীতিকে সমর্থন ও প্রতিষ্ঠান গঠনে অবদান রাখে এমন’ সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনা করে।
চলতি মাসের শুরুতে রিয়াদ সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন, যা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও সম্প্রতি সিরিয়ার ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে, শারা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরব গিয়েছিলেন।
গত মাসে সৌদি আরব ও কাতার, যারা নতুন কর্তৃপক্ষের অন্যতম প্রধান সহায়তাকারী, তারা প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলারের সিরিয়ার বিশ্বব্যাংকের ঋণ পরিশোধের ঘোষণা দিয়েছে। দামেস্ক আশা করছে যে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনের পথ খুলে দেবে। বছরের পর বছর যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা দেশটির অর্থনীতি, অবকাঠামো ও শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে,২০১১-২০২৪ সালের যুদ্ধের সময় সিরিয়ার ‘হারানো জিডিপি’ প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার। প্রিন্স ফয়সাল জানুয়ারিতে প্রথম সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার অর্থনীতি এমনিতেই নাজুক। এরই মধ্যে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর নতুন সরকার এসে দেশটিকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় নতুন সরকার কর্মচারীদের বেতন দিতেও হিমশিম খাচ্ছে। সিরিয়ার এই সংকট নিরসনে এগিয়ে এসেছে সৌদি আরব ও কাতার। দেশ দুটি যৌথভাবে সিরিয়ার সরকারি কর্মচারীদের বেতনের জন্য অর্থ দেবে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, সৌদি আরব ও কাতার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের যৌথ আর্থিক সহায়তা দেবে। দামেস্কে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফারহান বিন ফয়সাল বলেন, ‘সৌদি আরব কাতারের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের আর্থিক সহায়তা দেবে।’ এর আগে সিরিয়া ও সৌদি আরব আর্থিক খাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছিল।
প্রিন্স ফয়সাল সিরিয়ার ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে তাঁর দেশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে সৌদি আরব সিরিয়ার অন্যতম প্রধান সহায়তাকারী হিসেবে থাকবে। তিনি জানান, উচ্চ পর্যায়ের একটি অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে রয়েছে, যারা ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে (সিরিয়ার পক্ষের সঙ্গে) আলোচনা করবে।’
তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সৌদি ব্যবসায়ীরা জ্বালানি, কৃষি, অবকাঠামো এবং অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করতে সিরিয়া সফর করবেন। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, সৌদি আরব ও কাতার সিরিয়ার স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং সিরিয়ার জনগণের সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছে।
উভয় দেশ সিরিয়ায় জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বাড়ানোর গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। এসপিএ আরও যোগ করেছে যে, তারা একটি ব্যাপক ও সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে টেকসই, কার্যকর সমর্থন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে।
শনিবার পরে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দামেস্কের উমাইয়া মসজিদ পরিদর্শন করেন। প্রিন্স ফয়সাল শনিবার তার সফরকালে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং ‘উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদল’ সিরিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘সিরিয়ার অর্থনীতিকে সমর্থন ও প্রতিষ্ঠান গঠনে অবদান রাখে এমন’ সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনা করে।
চলতি মাসের শুরুতে রিয়াদ সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন, যা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও সম্প্রতি সিরিয়ার ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে, শারা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরব গিয়েছিলেন।
গত মাসে সৌদি আরব ও কাতার, যারা নতুন কর্তৃপক্ষের অন্যতম প্রধান সহায়তাকারী, তারা প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলারের সিরিয়ার বিশ্বব্যাংকের ঋণ পরিশোধের ঘোষণা দিয়েছে। দামেস্ক আশা করছে যে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনের পথ খুলে দেবে। বছরের পর বছর যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা দেশটির অর্থনীতি, অবকাঠামো ও শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে,২০১১-২০২৪ সালের যুদ্ধের সময় সিরিয়ার ‘হারানো জিডিপি’ প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার। প্রিন্স ফয়সাল জানুয়ারিতে প্রথম সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেন।
ইংল্যান্ডের এসেক্সের হ্যাভারিং-অ্যাট-বাওয়ার গ্রামে কয়েক সপ্তাহ ধরে একটি বাজপাখির ত্রাসে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল। ইতিমধ্যে স্কুলটির মাঠে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজ থেকে ছয় মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ তাঁদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইয়ল-এর সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টাকে প্রতিহত করেছিল। নির্বাচনের মাধ্যমে এবার জনগণ ইউন সক ইয়লের দলকে শাস্তি দিল এবং বিরোধী দলকে আবার ক্ষমতায় আনল।
৪ ঘণ্টা আগেনেদারল্যান্ডসের একটি জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে একটি বিরল উনিশ শতকের কনডম। এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এতে খোদাই করা রয়েছে তিনজন ধর্মযাজকের সঙ্গে একজন নানের সঙ্গম মুহূর্তের নগ্ন ছবি।
৫ ঘণ্টা আগেক্রিমিয়ার কের্চ সেতুতে আবারও সাহসী হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির নিরাপত্তা সংস্থা (এসবিইউ) জানিয়েছে, কয়েক মাসের গোপন পরিকল্পনার পর এই হামলা চালানো হয়। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টা ৪৪ মিনিটে পানির নিচে স্থাপন করা বিস্ফোরক দিয়ে সেতুটির কাঠামোগত স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে