Ajker Patrika

এবার গাজাবাসীকে নিরাপদে সরে যেতে মাত্র ৩ ঘণ্টা সময় দিল ইসরায়েল

আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৬: ৫৬
এবার গাজাবাসীকে নিরাপদে সরে যেতে মাত্র ৩ ঘণ্টা সময় দিল ইসরায়েল

এবার গাজাবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য মাত্র তিন ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল ইসরায়েল। গাজার স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত ১টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে গাজাবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হবে। এরপর যেকোনো সময় অভিযান শুরু করতে পারে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী আজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার একটু আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা এক পোস্টে এই সময়সীমা বেঁধে দেয়। ওই পোস্টে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত করিডরে কোনো ধরনের হামলা বা অভিযান চালাবে না। 

আইডিএফ এক্সে প্রকাশিত পোস্টে বলেছে, ‘গাজা শহর ও উত্তর গাজার বাসিন্দাদের বলছি, বিগত দিনগুলোতেও আমরা আপনাদের নিজ নিজ নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণাঞ্চলে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। এবারও আমরা আপনাদের জানাতে চাই যে আইডিএফ রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত ১টা পর্যন্ত এই করিডরে কোনো অভিযান চালাব না।’ 

ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী আরও বলেছে, ‘এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দয়া করে উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণ গাজায় নিজেদের সরিয়ে নিন।’ আইডিএফ আরও জানিয়েছে, তাদের কাছে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের পরিবার ও জানমালের গুরুত্ব বহন করে। তারা আরও আহ্বান জানিয়েছে, ‘দয়া করে আমাদের নির্দেশনা অনুসরণ করুন এবং দক্ষিণ দিকে সরে যান। এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকুন যে হামাস নেতারা এরই মধ্যে নিজেদের ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ফেলেছে।’ 

এর আগে ১৩ অক্টোবর গাজাবাসীর প্রতি এক ভয়াবহ আলটিমেটাম দেয় ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী। জাতিসংঘের মাধ্যমে তারা জানায়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার কেন্দ্রস্থল বলে পরিচিত ওয়াদি গাজা থেকে সেখানকার ১১ লাখ অধিবাসীকে সরে যেতে হবে। তবে বিষয়টি একপ্রকার অসম্ভব বিবেচনা করে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, ইসরায়েল যে দাবি করেছে, তাতে ওই অঞ্চলের অন্তত ১১ লাখ অধিবাসীকে সরে যেতে হবে, যা গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ এই আল্টিমেটাম প্রত্যাহারের জন্য জোরালো দাবি জানাচ্ছে ইসরায়েলের কাছে। 

এদিকে ইসরায়েলকে রক্ষায় ভূমধ্যসাগরে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরি পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে ইরান, ইরানের মিত্র বলে পরিচিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের অন্যান্য স্বাধীনকামী গোষ্ঠী যেন হামাসের পক্ষ নিতে না পারে, সেই লক্ষ্যে রণতরিটি পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, শিগগিরই ভূমধ্যসাগরে থাকা আরেক মার্কিন বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডের সঙ্গে টহলে যোগ দেবে ইউএসএস ডুইট ডি আইজেনহাওয়ার ও অন্য তিনটি জাহাজ; যাতে ইসরায়েলের ওপর যেকোনো ধরনের আক্রমণ প্রতিহত করা যায় এবং এই অঞ্চলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসকে কোনো ধরনের সহযোগিতা দেওয়া থেকে অন্যান্য পক্ষকে নিষ্ক্রিয় রাখা যায়। 

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে পাঁচ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান, স্থল এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টেলিগ্রামে সংগঠিত হচ্ছে আ.লীগ, হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে টাকা নিচ্ছেন ওবায়দুল কাদের

আগামী ১১ দিন নৈরাজ্যের আশঙ্কা, ঠেকাতে এসপিদের এসবির চিঠি

প্রাথমিকে পাঠদান: বাইরের ২০ কাজের চাপে শিক্ষক

প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হলেন মাহফুজ আনাম, নূরুল কবীরসহ ১২ জন

‘মামলা করি কী হইবে, পুলিশ থাকিয়াও হামার জীবনে নিরাপত্তা নাই’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত