Ajker Patrika

কাতার থেকে সরতে পারে হামাস কার্যালয়, আলোচনায় ২ দেশ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫: ৪৬
Thumbnail image

আরব দেশ কাতারে দীর্ঘদিন থেকে অবস্থান করে আসছিলেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা। তবে এবার সম্ভবত কাতার ছাড়তে হবে তাঁদের। এ ক্ষেত্রে গোষ্ঠীটির পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে দুটি দেশ। বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি নিয়ে হামাসকে চাপ দিতে গোষ্ঠীটির আশ্রয়দাতা দেশ কাতারের ওপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপ বাড়ছে। কিন্তু স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তিসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে হামাস এখনো অনড়। এই অবস্থায় কাতার অনেকটাই শাঁখের করাতের ওপর আছে বলেই মনে হচ্ছে।

মূলত কাতারের ওপর থেকে চাপ অপসারণ এবং একই সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তির বিষয়ে কোনো ধরনে ছাড় না দেওয়ার মনোভাব থেকেই হামাস কাতার থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

আরব বিশ্বের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস সম্প্রতি উপসাগরীয় অঞ্চলের দুটি দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছে যেন গোষ্ঠীটির শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় দেওয়া হয়। এই দুটি দেশের একটি হলো ওমান। অপর দেশটি কোনটি সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি প্রতিবেদনে। 

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নেওয়া এক আরব মধ্যস্থতাকারীকে উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, ‘আলোচনা এরই মধ্যে আবারও স্থগিত হয়ে গেছে। এমন কোনো লক্ষণ বা সম্ভাবনা নেই যে তা আবার শিগগির শুরু হবে। হামাস এবং আলোচকদের মধ্যে অবিশ্বাস বাড়ছে।’ বিষয়টির স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় নাম প্রকাশ করতে চাননি এই আরব কূটনীতিবিদ। 

অপর এক আরব মধ্যস্থতাকারী সতর্ক করে বলেছেন, ‘আলোচনা সম্পূর্ণভাবে বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বাস্তব।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হামাস নেতারা পশ্চিমা বিশ্বের শর্তে জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে রাজি না হলে কাতার থেকে বহিষ্কৃত হতে পারেন। আর এই আশঙ্কা থেকেই নতুন আশ্রয় খুঁজছে দেশটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত