আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বা বিশ্ব আদালতে চলছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আনা গাজায় গণহত্যার অভিযোগের শুনানি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্ক এই গণহত্যার প্রমাণ দেবে এবং দোষী সাব্যস্ত হবে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে খবরটি জানিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার নথি সরবরাহ করে যাবে তুরস্ক। আর সেগুলোর বেশির ভাগই ভিজ্যুয়াল নথি। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ইসরায়েল দোষী সাব্যস্ত হবে। আমরা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করি।’
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে একটি পোস্টে এরদোয়ানকে জবাব দিয়ে বলেছেন, ‘অতীতে আর্মেনিয়ায় গণহত্যা চালানো দেশ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এখন ভিত্তিহীন দাবি নিয়ে ইসরায়েলকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছেন। ইসরায়েল আপনার বর্বর মিত্রদের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার জন্য দাঁড়িয়েছে, ধ্বংসের উদ্দেশ্যে নয়।’
ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলে নৃশংস হামলা বন্ধের দাবিতে গত ডিসেম্বরের শেষে আইসিজেতে মামলাটি দায়ের করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। গত ৩০ ডিসেম্বর মামলার আবেদন জমা দেওয়ার দিন আইসিজেকে দ্রুত এ বিষয়ে শুনানির অনুরোধ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে ১১ জানুয়ারি শুনানি শুরুর দিন ধার্য করেন বিশ্ব আদালত।
শুনানির দ্বিতীয় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার আনা গাজায় গণহত্যার অভিযোগকে ‘স্থূল ও বিকৃত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। তারা বলেছে, ইসরায়েলের ধ্বংস চায় যে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাস—তারই মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকা ঘটনাগুলোকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। গণহত্যা যদি হয়েই থাকে, তবে সেটা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় ২৩ হাজার বেসামরিক মানুষ হত্যার মাধ্যমে গণহত্যার অভিযোগ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, যেখানে ১০ হাজারের বেশি শিশু। এই মামলার আবেদনপত্রের সঙ্গে ৮৪ পৃষ্ঠার একটি নথি সংযুক্ত করে দক্ষিণ আফ্রিকা দাবি করেছে, ইসরায়েল ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে।
জাতিসংঘের ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনকে ভিত্তি করে মামলাটি দায়ের করে বলা হয়েছে, গাজায় অভিযান চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের পাশাপাশি গণহত্যা এবং এ-সম্পর্কিত অপরাধে সংশ্লিষ্টতারও প্রমাণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯১৫ সালে অটোমান তুর্কি বাহিনীর হাতে লাখ লাখ আর্মেনিয়ানের নিহত হওয়াকে ২০২১ সালে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর্মেনিয়ানদের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিহতের সংখ্যা ১৫ লাখ। তুরস্ক স্বীকার করে যে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও তার ঠিক পরপর অটোমান সাম্রাজ্যের শেষ সময় আর্মেনিয়ানদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু তারা এর বর্ণনায় ‘গণহত্যা’ শব্দটির ব্যবহার প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বা বিশ্ব আদালতে চলছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আনা গাজায় গণহত্যার অভিযোগের শুনানি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্ক এই গণহত্যার প্রমাণ দেবে এবং দোষী সাব্যস্ত হবে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে খবরটি জানিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার নথি সরবরাহ করে যাবে তুরস্ক। আর সেগুলোর বেশির ভাগই ভিজ্যুয়াল নথি। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ইসরায়েল দোষী সাব্যস্ত হবে। আমরা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করি।’
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে একটি পোস্টে এরদোয়ানকে জবাব দিয়ে বলেছেন, ‘অতীতে আর্মেনিয়ায় গণহত্যা চালানো দেশ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এখন ভিত্তিহীন দাবি নিয়ে ইসরায়েলকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছেন। ইসরায়েল আপনার বর্বর মিত্রদের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার জন্য দাঁড়িয়েছে, ধ্বংসের উদ্দেশ্যে নয়।’
ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলে নৃশংস হামলা বন্ধের দাবিতে গত ডিসেম্বরের শেষে আইসিজেতে মামলাটি দায়ের করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। গত ৩০ ডিসেম্বর মামলার আবেদন জমা দেওয়ার দিন আইসিজেকে দ্রুত এ বিষয়ে শুনানির অনুরোধ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে ১১ জানুয়ারি শুনানি শুরুর দিন ধার্য করেন বিশ্ব আদালত।
শুনানির দ্বিতীয় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার আনা গাজায় গণহত্যার অভিযোগকে ‘স্থূল ও বিকৃত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। তারা বলেছে, ইসরায়েলের ধ্বংস চায় যে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাস—তারই মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকা ঘটনাগুলোকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। গণহত্যা যদি হয়েই থাকে, তবে সেটা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় ২৩ হাজার বেসামরিক মানুষ হত্যার মাধ্যমে গণহত্যার অভিযোগ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, যেখানে ১০ হাজারের বেশি শিশু। এই মামলার আবেদনপত্রের সঙ্গে ৮৪ পৃষ্ঠার একটি নথি সংযুক্ত করে দক্ষিণ আফ্রিকা দাবি করেছে, ইসরায়েল ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে।
জাতিসংঘের ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনকে ভিত্তি করে মামলাটি দায়ের করে বলা হয়েছে, গাজায় অভিযান চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের পাশাপাশি গণহত্যা এবং এ-সম্পর্কিত অপরাধে সংশ্লিষ্টতারও প্রমাণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯১৫ সালে অটোমান তুর্কি বাহিনীর হাতে লাখ লাখ আর্মেনিয়ানের নিহত হওয়াকে ২০২১ সালে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর্মেনিয়ানদের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিহতের সংখ্যা ১৫ লাখ। তুরস্ক স্বীকার করে যে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও তার ঠিক পরপর অটোমান সাম্রাজ্যের শেষ সময় আর্মেনিয়ানদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু তারা এর বর্ণনায় ‘গণহত্যা’ শব্দটির ব্যবহার প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
হামাসের প্রয়াত শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের স্ত্রী সামার আবু জামার গাজা থেকে পালিয়ে তুরস্কে গিয়ে আবারও বিয়ে করেছেন। গাজা থেকে পাওয়া একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াইনেট’ এই তথ্য জানিয়েছে।
৩ মিনিট আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হত্যার পরিকল্পনা করার অভিযোগে সত্তরোর্ধ্ব এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। ওই নারী কেন্দ্রীয় ইসরায়েলের বাসিন্দা এবং দীর্ঘদিন ধরে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেদিল্লির উপকণ্ঠে গাজিয়াবাদের অভিজাত এলাকায় একটি জমকালো দোতলা বাড়ি। বাইরে কূটনৈতিক নম্বরপ্লেটযুক্ত চারটি গাড়ি এবং একটি নেমপ্লেটে লেখা ‘গ্র্যান্ড ডুচি অব ওয়েস্টার্কটিকা’ ও ‘এইচইএইচভি জৈন অনারারি কনসাল’—এই বিবরণগুলোই বলে দেয় এটি একটি দূতাবাস।
২ ঘণ্টা আগেজলবায়ু পরিবর্তনকে ‘মানবতার জন্য একটি জরুরি ও অস্তিত্বের জন্য হুমকি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত। বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার সন্ধ্যায় নেদারল্যান্ডসের হেগে জলবায়ু ইস্যুতে পরামর্শমূলক মতামত উপস্থাপনে এই রায় প্রদান করেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।
২ ঘণ্টা আগে