Ajker Patrika

গাজা ইসরায়েলি আগ্রাসনের ১১ মাস: ক্ষীণ হচ্ছে যুদ্ধবিরতির আশা

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন যুদ্ধের ১২ তম মাস শুরু হয়েছে গতকাল রোববার। এই দিন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় প্রায় ৪০ হাজার ৯৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উদ্বাস্তু হয়েছেন গাজার প্রায় সব বাসিন্দা। পুরো উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে; কিন্তু এখনো এ যুদ্ধ থামার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। 

এখনো প্রতিদিনই গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল রোববার গাজা বেসামরিক জরুরি সেবা বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ মোরসি ও তাঁর পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়েছেন। এদিকে গতকাল পশ্চিম তীর ও জর্ডানের মধ্যকার সীমান্তে অ্যালেনবি সেতু ক্রসিং এলাকায় গুলিতে ইসরায়েলি বাহিনীর তিন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে ট্রাকচালক এ হামলা চালিয়েছেন তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। 

এ পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতাকারীদের বিরামহীন চেষ্টার পরও যুদ্ধবিরতির কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না। কারণ, যুদ্ধবিরতি নিয়ে দুই পক্ষই নিজেদের শর্তে অনড়। ফলে প্রায় এক বছর চলা এ হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ কবে থামবে, তা অনিশ্চিত। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এই হামলায় এক হাজারের বেশি ইসরায়েলি নিহত হন। হামাসের হাতে বন্দী হন ২ শর বেশি ইসরায়েলি নাগরিক। এই হামলার পরপরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেদিন থেকে গাজায় পাল্টা নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ইসরায়েলি হামলায় আহত, নয়তো পঙ্গু হয়েছেন প্রায় ৯৫ হাজার ফিলিস্তিনি। 

যুদ্ধ ১২ তম মাসে গড়ানো নিয়ে এক্সে দেওয়া পোস্টে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পি লাজ্জারনি লিখেছেন, ‘১১ মাস। যথেষ্ট হয়েছে। এটা আর কেউ নিতে পারছে না। মানবতাকে অবশ্যই সমুন্নত রাখতে হবে। এখনই এ যুদ্ধ বন্ধ করুন।’ 

গাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে, যুদ্ধ প্রতিদিনই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। গত শুক্রবারও এক তার্কিশ-আমেরিকান নিহত হয়েছেন। তিনি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনাকে বেদনাদায়ক বলেছেন। আর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সিরেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে থামাতে মুসলিম দেশগুলোকে জোটবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি; কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। শুধু পশ্চিম তীরেই ১৯৬৭ সালের পর প্রায় ৫ লাখ মানুষের অবৈধ বসতি গড়েছে ইসরায়েল। এই বসতি গড়ার প্রক্রিয়া থেমে নেই। সেখানে ৭ অক্টোবরের পর ৬৯০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এদিকে লেবাননের হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে। লেবাননেও পাল্টা হামলা হচ্ছে। 

এ পরিস্থিতিতে গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ বন্ধে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা আহ্বান জানালেও আপাতত যুদ্ধবিরতির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। নিজেদের শর্তে দুই পক্ষই অনড় অবস্থানে বলে জানা গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত বৃহস্পতিবার জানান, যুদ্ধবিরতির ৯০ শতাংশ শর্ত নিয়ে দুই পক্ষই ঐকমত্যে পৌঁছেছে। যুদ্ধবিরতির চুক্তি চূড়ান্ত করতে ইসরায়েল ও হামাসকে এদিন আহ্বান জানান তিনি। 

তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে ঐকমত্য নিয়ে উল্টো কথা বলেছেন নেতানিয়াহু। তিনি শুক্রবার বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি। হামাসের শর্ত, ইসরায়েলি সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নিলেই কেবল তারা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে রাজি হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার

রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় লিফলেট বিতরণ করল আ.লীগ

‘মধ্যমপন্থী’ দল গড়ছেন অভ্যুত্থানের নেতারা, আলোচনায় ইলিশ প্রতীক

লিবিয়ার সৈকতে ২০ জনের গলিত লাশ, সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, বিচার চাইল বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত