Ajker Patrika

বিশ্ব আদালতে গণহত্যার অভিযোগকে ‘স্থূল ও বিকৃত’ বলে প্রত্যাখ্যান করল ইসরায়েল

আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭: ৩০
বিশ্ব আদালতে গণহত্যার অভিযোগকে ‘স্থূল ও বিকৃত’ বলে প্রত্যাখ্যান করল ইসরায়েল

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বা বিশ্ব আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার আনা গাজায় গণহত্যার অভিযোগকে ‘স্থূল ও বিকৃত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। নেদারল্যান্ডসের হেগে গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আর আজ শুক্রবার শুনানির দ্বিতীয় দিনে চলছে ইসরায়েলের পাল্টা বক্তব্য। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে খবরটি জানান হয়েছে।

গতকাল শুনানিতে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিচারকদের আহ্বান জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে গাজায় ২৩ হাজারেরও বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। আরও বলা হয়, ইসরায়েলের লক্ষ্যই ছিল গাজাবাসীকে নিশ্চিহ্ন করা।

তবে শুনানির দ্বিতীয় দিনে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলেছে, ইসরায়েলের ধ্বংস চায় যে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাস—তারই মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানগুলোকে হামাস এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনি উপদেষ্টা তাল বেকার।

শুনানিতে তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ঘটনাগুলোকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। গণহত্যা যদি হয়েই থাকে, তবে সেটা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয়েছে।

আদালতের কাছে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ চেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সে প্রসঙ্গে তাল বেকার বলেন, এর মাধ্যমে আবেদনকারী ইসরায়েলের আত্মরক্ষার সহজাত অধিকারকে নস্যাৎ করতে চেয়েছেন। পাশাপাশি তারা ইসরায়েলকে প্রতিরক্ষাবিহীন অবস্থায় রাখতে চায়।

ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলে নৃশংস হামলা বন্ধের দাবিতে গত ডিসেম্বরের শেষে আইসিজেতে মামলাটি দায়ের করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার বেসামরিক মানুষ হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে, যেখানে ১০ হাজারের বেশি শিশু। এই মামলার আবেদনপত্রের সঙ্গে ৮৪ পৃষ্ঠার একটি নথি সংযুক্ত করে দক্ষিণ আফ্রিকা দাবি করেছে, ইসরায়েল ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে।

জাতিসংঘের ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনকে ভিত্তি করে মামলাটি দায়ের করে বলা হয়েছে, গাজায় অভিযান চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের পাশাপাশি গণহত্যা এবং এ-সম্পর্কিত অপরাধে সংশ্লিষ্টতারও প্রমাণ রয়েছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর মামলার আবেদন জমা দেওয়ার দিন আইসিজেকে দ্রুত এ বিষয়ে শুনানির অনুরোধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে ১১ জানুয়ারি শুনানি শুরুর দিন ধার্য করেন বিশ্ব আদালত। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের দাবিতে এই মামলা নিষ্পত্তি হতে বছরও লেগে যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত