অনলাইন ডেস্ক
গাজার বেইত হানুনে একটি স্কুলে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই স্কুলটি বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আজ রোববার ভোরে এই হামলায় বহু লোক আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে স্কুলটি ঘিরে ফেলে এবং ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে। এতে স্কুলে আশ্রয় নেওয়া এক পরিবারের দুই শিশুসহ চার সদস্য নিহত হন।
আল জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ জানান, আহতরা স্কুলের মাঠ ও অন্যান্য শ্রেণিকক্ষে আটকে আছেন। তারা কেউ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না, কারণ বেইত হানুনের হাসপাতালগুলো অচল। কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। বেইত হানুনের একটি তাঁবুতে হামলায় বহু মানুষ নিহত ও আহত হন। এ ছাড়া গাজার দক্ষিণাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলায় আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
শেখ রাদওয়ান, জেইতুন ও খান ইউনিসসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘরেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, কামাল আদওয়ান হাসপাতালের আশপাশে বোমা হামলায় আরও দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গতকাল শনিবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। মোহাম্মদ জাবের আল-করিনাওয়ি নামের এই সাংবাদিক তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি বুরেইজ শরণার্থীশিবিরে বসবাস করতেন। একই দিনে আল মাশহাদ মিডিয়ার সাংবাদিক মোহাম্মদ বালুশাও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।
এই দুই হত্যাকাণ্ডের পর গাজায় নিহত ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১৯৬ জনে পৌঁছেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থাগুলো ইসরায়েলকে সাংবাদিক হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছে। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মৃত্যুর শিকার সাংবাদিকদের এক-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন।
আরএসএফ-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছর ৫৫০ জন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে, ৫৫ জনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে এবং ৯৫ জন সাংবাদিক এখনো নিখোঁজ। মোট ৫৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যা বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিহত সাংবাদিকদের এক-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলি বোমা হামলার শিকার। গাজায় ১৬ জন এবং লেবাননে ২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। অক্টোবর ২০২৩ থেকে গাজায় সাংবাদিকদের ওপর সরাসরি হামলার ঘটনা বেড়েছে। অন্তত ৩৫ জন সাংবাদিককে দায়িত্বপালনের সময় ইসরায়েলি বাহিনী টার্গেট করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৯৭৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গাজার প্রায় বেশির ভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং এই অঞ্চলটি পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চললেও এখন পর্যন্ত এতে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
গাজার বেইত হানুনে একটি স্কুলে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই স্কুলটি বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আজ রোববার ভোরে এই হামলায় বহু লোক আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে স্কুলটি ঘিরে ফেলে এবং ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে। এতে স্কুলে আশ্রয় নেওয়া এক পরিবারের দুই শিশুসহ চার সদস্য নিহত হন।
আল জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ জানান, আহতরা স্কুলের মাঠ ও অন্যান্য শ্রেণিকক্ষে আটকে আছেন। তারা কেউ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না, কারণ বেইত হানুনের হাসপাতালগুলো অচল। কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। বেইত হানুনের একটি তাঁবুতে হামলায় বহু মানুষ নিহত ও আহত হন। এ ছাড়া গাজার দক্ষিণাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলায় আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
শেখ রাদওয়ান, জেইতুন ও খান ইউনিসসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘরেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, কামাল আদওয়ান হাসপাতালের আশপাশে বোমা হামলায় আরও দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গতকাল শনিবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। মোহাম্মদ জাবের আল-করিনাওয়ি নামের এই সাংবাদিক তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি বুরেইজ শরণার্থীশিবিরে বসবাস করতেন। একই দিনে আল মাশহাদ মিডিয়ার সাংবাদিক মোহাম্মদ বালুশাও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।
এই দুই হত্যাকাণ্ডের পর গাজায় নিহত ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১৯৬ জনে পৌঁছেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থাগুলো ইসরায়েলকে সাংবাদিক হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছে। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মৃত্যুর শিকার সাংবাদিকদের এক-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন।
আরএসএফ-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছর ৫৫০ জন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে, ৫৫ জনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে এবং ৯৫ জন সাংবাদিক এখনো নিখোঁজ। মোট ৫৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যা বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিহত সাংবাদিকদের এক-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলি বোমা হামলার শিকার। গাজায় ১৬ জন এবং লেবাননে ২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। অক্টোবর ২০২৩ থেকে গাজায় সাংবাদিকদের ওপর সরাসরি হামলার ঘটনা বেড়েছে। অন্তত ৩৫ জন সাংবাদিককে দায়িত্বপালনের সময় ইসরায়েলি বাহিনী টার্গেট করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৯৭৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গাজার প্রায় বেশির ভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং এই অঞ্চলটি পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চললেও এখন পর্যন্ত এতে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের (ডব্লিউডব্লিউই) সাবেক প্রধান নির্বাহী লিন্ডা ম্যাকমাহন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট তাঁর নিয়োগ নিশ্চিত করেছে। তাঁকে এমন এক দপ্তরের নেতৃত্বে বসানো হলো, যেটি ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে...
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায় পরিণত করার পরিকল্পনার মোকাবিলায় মিসর একটি বিকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে। এই প্রস্তাব অনুসারে, গাজার শাসনভার আর হামাসের থাকবে না। বরং, আরব, মুসলিম ও পশ্চিমা দেশগুলো নিয়ন্ত্রিত...
১ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। বিশ্বের ৬২ শতাংশ মুসলিম এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বসবাস করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বাস ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরান এবং তুরস্কে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে উন্নত প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ চিপ উৎপাদক কোম্পানি তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের কশাঘাত থেকে বাঁচতেই এই উদ্যোগ নিচ্ছে টিএসএমসি।
৩ ঘণ্টা আগে