আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঠিকমতো হিন্দি বলতে না পারায় ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের এক ব্যক্তিকে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, যেহেতু তিনি ঠিকমতো হিন্দি বলতে পারেন না, তাই তিনি ‘বাংলাদেশের’ নাগরিক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরামের বাসিন্দা ৫৪ বছরের অসিত সরকার। কিছুদিন আগে তিনি কাজের সন্ধানে মহারাষ্ট্রে যান, এরপর প্রায় তিন মাস ধরে মহারাষ্ট্রের থানে জেলার একটি কারাগারে বন্দী আছেন। অভিযোগ, তাঁকে ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ তিনি হিন্দিতে তাঁর ঠিকানা সঠিকভাবে বলতে পারেননি।
অসিত সরকারের পরিবার জানিয়েছে, ৫৪ বছর বয়সী অসিত সরকার এ বছরের জানুয়ারিতে তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে কাজের সন্ধানে মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তাঁরা তিনজন ভিওয়ান্ডির সোনালি এলাকার একটি কারখানায় চাকরি পেয়েছিলেন। সূত্রমতে, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে নারপোলি পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অসিতসহ সাত পরিযায়ী শ্রমিককে ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক করে।
পুলিশ তাদের ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে নথি দেখাতে বলে। অসিতের স্ত্রী লিপি বলেন, ‘তাঁরা সবাই নথি দেখিয়েছিল। ছয়জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমার স্বামীকে আলাদা করে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর অপরাধ ছিল, তিনি হিন্দিতে তাঁর বাড়ির ঠিকানা সঠিকভাবে বলতে পারেননি। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বাংলায় উত্তর দেন, যার ফলে পুলিশ মনে করে তিনি বাংলাদেশি।’
অসিতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হলেও তাঁর ছেলেরা গ্রেপ্তার এড়াতে সক্ষম হন। তাঁদের মধ্যে ২২ বছর বয়সী আকাশ বাড়ি ফিরেছেন এবং বাবার মুক্তির জন্য দ্বারে দ্বারে সাহায্য চেয়ে ঘুরছেন। তিনি বলেন, মহারাষ্ট্র পুলিশ তাঁকেও গ্রেপ্তার করার জন্য থানেতে খুঁজেছে। তিনি বলেন, ‘আমি কোনোমতে পালিয়ে এসেছি। তখন থেকে কেউই আমাদের বাবার সঙ্গে জেলে দেখা করতে দেয়নি।’
লিপি বলেন, ‘আমার স্বামী ভালোভাবে হিন্দি জানেন না। এর জন্য তিনি বিদেশি হয়ে যেতে পারেন না। আমাদের কাছে রেশন কার্ড থেকে শুরু করে ভোটার আইডি এবং আধার কার্ড—সব ভারতীয় নথি আছে। তবু কেউ আমাদের সাহায্য করছে না।’
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা রুমানা খাতুন অসিতের কারাবাসকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন এবং মহারাষ্ট্রে এই পরিযায়ী শ্রমিকের দুর্দশার জন্য ভাষার বৈষম্যকে দায়ী করেছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি সুভাষ চাকি বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের লক্ষ্য করার অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলা বললেই কাউকে বাংলাদেশি তকমা দেওয়া যায় না। এটা হয়রানি।’
তবে বিজেপি দাবি করেছে, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং বালুরঘাট সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। মজুমদার বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করব যে পরিবারটি আইনি সহায়তা পাবে এবং অসিত সরকারের জামিনের জন্য চেষ্টা করব।’
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ডেপুটি লেবার কমিশনার বলদেব মণ্ডল বলেন, অসিতের পরিবারকে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিতে বলা হয়েছে, যাতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব, যাতে ওই ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হয়।’
ঠিকমতো হিন্দি বলতে না পারায় ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের এক ব্যক্তিকে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, যেহেতু তিনি ঠিকমতো হিন্দি বলতে পারেন না, তাই তিনি ‘বাংলাদেশের’ নাগরিক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরামের বাসিন্দা ৫৪ বছরের অসিত সরকার। কিছুদিন আগে তিনি কাজের সন্ধানে মহারাষ্ট্রে যান, এরপর প্রায় তিন মাস ধরে মহারাষ্ট্রের থানে জেলার একটি কারাগারে বন্দী আছেন। অভিযোগ, তাঁকে ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ তিনি হিন্দিতে তাঁর ঠিকানা সঠিকভাবে বলতে পারেননি।
অসিত সরকারের পরিবার জানিয়েছে, ৫৪ বছর বয়সী অসিত সরকার এ বছরের জানুয়ারিতে তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে কাজের সন্ধানে মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তাঁরা তিনজন ভিওয়ান্ডির সোনালি এলাকার একটি কারখানায় চাকরি পেয়েছিলেন। সূত্রমতে, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে নারপোলি পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অসিতসহ সাত পরিযায়ী শ্রমিককে ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক করে।
পুলিশ তাদের ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে নথি দেখাতে বলে। অসিতের স্ত্রী লিপি বলেন, ‘তাঁরা সবাই নথি দেখিয়েছিল। ছয়জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমার স্বামীকে আলাদা করে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর অপরাধ ছিল, তিনি হিন্দিতে তাঁর বাড়ির ঠিকানা সঠিকভাবে বলতে পারেননি। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বাংলায় উত্তর দেন, যার ফলে পুলিশ মনে করে তিনি বাংলাদেশি।’
অসিতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হলেও তাঁর ছেলেরা গ্রেপ্তার এড়াতে সক্ষম হন। তাঁদের মধ্যে ২২ বছর বয়সী আকাশ বাড়ি ফিরেছেন এবং বাবার মুক্তির জন্য দ্বারে দ্বারে সাহায্য চেয়ে ঘুরছেন। তিনি বলেন, মহারাষ্ট্র পুলিশ তাঁকেও গ্রেপ্তার করার জন্য থানেতে খুঁজেছে। তিনি বলেন, ‘আমি কোনোমতে পালিয়ে এসেছি। তখন থেকে কেউই আমাদের বাবার সঙ্গে জেলে দেখা করতে দেয়নি।’
লিপি বলেন, ‘আমার স্বামী ভালোভাবে হিন্দি জানেন না। এর জন্য তিনি বিদেশি হয়ে যেতে পারেন না। আমাদের কাছে রেশন কার্ড থেকে শুরু করে ভোটার আইডি এবং আধার কার্ড—সব ভারতীয় নথি আছে। তবু কেউ আমাদের সাহায্য করছে না।’
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা রুমানা খাতুন অসিতের কারাবাসকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন এবং মহারাষ্ট্রে এই পরিযায়ী শ্রমিকের দুর্দশার জন্য ভাষার বৈষম্যকে দায়ী করেছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি সুভাষ চাকি বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের লক্ষ্য করার অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলা বললেই কাউকে বাংলাদেশি তকমা দেওয়া যায় না। এটা হয়রানি।’
তবে বিজেপি দাবি করেছে, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং বালুরঘাট সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। মজুমদার বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করব যে পরিবারটি আইনি সহায়তা পাবে এবং অসিত সরকারের জামিনের জন্য চেষ্টা করব।’
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ডেপুটি লেবার কমিশনার বলদেব মণ্ডল বলেন, অসিতের পরিবারকে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিতে বলা হয়েছে, যাতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব, যাতে ওই ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হয়।’
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ২ হাজার ৫০০-এর বেশি স্থানে তাদের বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে লাখো মানুষ অংশ নেবে। তাদের দাবি, ট্রাম্পের ‘স্বৈরাচারী মনোভাব ও কর্তৃত্ববাদী শাসন’ রুখতেই এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে। তাদের ওয়েবসাইটে লেখা, ‘প্রেসিডেন্ট মনে করেন, তিনিই সর্বেসর্বা।
৭ ঘণ্টা আগেসর্বশেষ সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠকটি কেমন ছিল, তা একটি শব্দ দিয়েই বর্ণনা করা যায়। আর তা হলো ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বা জেলেনস্কির ভাষায় ‘তীক্ষ্ণ’ (pointed)। তিনি নিজেই এক্সে এভাবে লিখেছেন। এই শব্দের অর্থ বিশ্লেষণ না করলেও বোঝা যায়, জেলেনস্কি আসলে এর মাধ্যমে কী বোঝাতে চেয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তান অভিযোগ করেছে, পাকিস্তান আবারও তাদের সীমান্তে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এর মাধ্যমে দুই দিনের যুদ্ধবিরতিও ভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ তালেবান সরকারের।
১০ ঘণ্টা আগেরাজনাথ সিং বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের সময় যা ঘটেছিল, তা ছিল ট্রেলার। পাকিস্তানের প্রতি ইঞ্চি মাটি এখন ভারতের ব্রহ্মসের আওতায়।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের মধ্যে ছিল একটি কঠোর বার্তা—ভারতের সামরিক প্রতিক্রিয়া কেবল সীমান্তে প্রতিরক্ষামূলক নয়, বরং প্রয়োজনে আক্রমণাত্মক এবং সুনির্দিষ্টও হতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগে