Ajker Patrika

ইসরায়েলি বর্বরতায় প্রাণ হারাল আরও ৭৮ ফিলিস্তিনি

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৫, ১০: ১৪
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত একটি এলাকা। ছবি: আনাদোলু
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত একটি এলাকা। ছবি: আনাদোলু

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় থামছেই না ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা। সোমবারও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফের বর্বরতায় আরও অন্তত ৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছে।

দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা। এ ঘটনায় বিতর্কিত ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’ পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৩৮।

শুধু রাফাহেই নয়, হামলা হয়েছে পুরো উপত্যকায়। খান ইউনিসে একটি শরণার্থীশিবিরে বিমান থেকে হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। ওই হামলায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৯ জন। হামলা চালানো হয়েছে বুরেজি শরণার্থী শিবিরেও। একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নিহত হয়েছে চারজন।

গাজার উত্তরের একাধিক এলাকায়ও ইসরায়েলি বাহিনী নতুন করে হামলা শুরু করেছে। তবে, থেমে নেই হামাসও। গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর একটি ট্যাংক লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে তারা। এতে তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। অবশ্য এই হামলার পর বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাক পাল্টা গুলি চালিয়েছে তারা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ওই এলাকায় হেলিকপ্টার দিয়ে হতাহত সেনাদের উদ্ধার করতে দেখা গেছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজ্জুম জানিয়েছেন, তুফাহ ও শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় একের পর এক আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওয়াফা বলছে, গাজা সিটিতে গতকাল সোমবার অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে।

কাতারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েল-মার্কিন সমর্থিত বিতর্কিত মানবিক সংস্থা গাজা হিউম্যানিটিরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণকেন্দ্রগুলোর আশপাশে হতাহতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এদিকে, অচল হয়ে পড়েছে যুদ্ধবিরতির আলোচনাও। সব মিলিয়ে গাজায় জ্বালানি ও খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে।

এমন প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো গাজায় জরুরি ত্রাণ প্রবেশের আহ্বান জানাচ্ছে। তবে খাদ্য ও জ্বালানির প্রবেশাধিকার প্রায় অচল। মার্চের শুরু থেকে জ্বালানি প্রবেশ বন্ধ থাকায় পানি পরিশোধন কেন্দ্র ও পাম্পিং স্টেশনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে গাজায় পানির সংকটও প্রকট হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত