Ajker Patrika

পশ্চিম তীরে ইহুদি সেটলারদের হামলা, খ্রিষ্টধর্মীয় নেতা ও কূটনীতিকদের নিন্দা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৫৪
পশ্চিম তীরের তায়বেহ শহরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্রিষ্টধর্মীয় নেতা ও কূটনীতিকেরা। ছবি: এএফপি
পশ্চিম তীরের তায়বেহ শহরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্রিষ্টধর্মীয় নেতা ও কূটনীতিকেরা। ছবি: এএফপি

পশ্চিম তীরের খ্রিষ্টান অধ্যুষিত তায়বেহ শহরে সম্প্রতি ইহুদি সেটলারদের হামলা বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন খ্রিষ্টধর্মীয় নেতা ও কূটনীতিকেরা।

গতকাল সোমবার ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ড পশ্চিম তীরের ওই শহরে যান যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, জাপান, জর্ডান, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ২০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা।

সে সময় তাঁরা ইহুদি সেটলারদের তাঁদের কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানান বলে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সফরকালে তায়বেহ শহরের এক গির্জার কাছে সম্প্রতি সেটলারদের আগুন লাগানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান গ্রিক অর্থোডক্স চার্চের ধর্মীয় নেতা তৃতীয় থিওফিলো এবং লাতিন চার্চের ধর্মীয় গুরু পিয়েরবাতিস্তা পিজ্জাবালা।

তাঁরা বলেন, আগুন লাগার সময় ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানানো হলেও তাতে সাড়া দেয়নি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

এক পৃথক বিবৃতিতে গ্রিক অর্থোডক্স চার্চ ও লাতিন চার্চের ধর্মীয় নেতা এবং জেরুজালেমের গির্জার প্রধানেরা ওই ঘটনার তদন্ত দাবি করেন এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান, ইহুদি সেটলারদের যাতে জবাবদিহির আওতায় আনা হয়।

খ্রিষ্টধর্মীয় নেতারা বলেন, সেটলাররা ওই এলাকায় ফিলিস্তিনিদের জমিতে তাদের গবাদিপশু চরাচ্ছে। গত মাসে তারা একাধিক ফিলিস্তিনি বাড়িতে আগুন দেয় এবং একটি সাইনবোর্ড টাঙায়, যাতে লেখা ছিল—‘এখানে তোমাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’

দোহার থেকে আল-জাজিরার সংবাদদাতা নিদা ইব্রাহিম জানান, এসব ঘটনাকে খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে ‘কাঠামোগত হামলা’ হিসেবে অভিহিত করেন ধর্মীয় নেতারা।

ইব্রাহিম বলেন, ‘অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রায় ৫০ হাজার খ্রিষ্টান বাস করে। সংখ্যায় কম হলেও আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন মানুষ তারা।

‘তারা মনে করে, কেবল খ্রিষ্টান নয়, ফিলিস্তিনি হওয়ার জন্যও তারা হামলার শিকার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত