Ajker Patrika

নির্মমভাবে বিক্ষোভ দমন করছে ইরান: অ্যামনেস্টি 

নির্মমভাবে বিক্ষোভ দমন করছে ইরান: অ্যামনেস্টি 

ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে ২২ বছরের তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে করা বিক্ষোভ দমনে ইচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক বল প্রয়োগ করছে ইরানের সরকার। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এমনই দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আটকের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অ্যামনেস্টি এমন এক সময়ে এই দাবি করল যখন ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) দাবি করছে, দুই সপ্তাহ ধরে চলমান বিক্ষোভে এখনো পর্যন্ত ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরও থামছে না সরকার। এবার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আটক করছে প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছেন খেলোয়াড়, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বও।

অ্যামনেস্টি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইরানি কর্তৃপক্ষ তাদের ক্ষমতার প্রতি যেকোনো চ্যালেঞ্জ নস্যাৎ করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিক্ষোভকে নির্মমভাবে দমন করতে দমন-নিপীড়নের সুনিপুণ যন্ত্রগুলো একত্র করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্মিলিত পদক্ষেপ না নিলে আরও অনেকেই হত্যা, পঙ্গুত্ব, নির্যাতন, যৌন নির্যাতন ও কারাবন্দীর শিকার হতে পারেন।’

অ্যামনেস্টির মতে, ছবি এবং ভিডিও পর্যালোচনা করার পর এটি নিশ্চিত যে, ‘নিহতদের অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর সরাসরি গোলাবারুদের আঘাতে মারা গেছেন।’ অ্যামনেস্টি দাবি করেছে, প্রশাসনিক দলিলও তাঁদের হাতে আছে। ফাঁস হওয়া দলিল থেকে জানা গেছে, এ বিক্ষোভ ‘কঠোরভাবে মোকাবিলা’ করার জন্য সব প্রদেশে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারদের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। গত ২১ সেপ্টেম্বর এমন নির্দেশ দেওয়া হয়।

ফাঁস হওয়া আরও একটি দলিলের বরাত দিয়ে অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, প্রয়োজনে বিক্ষোভকারীদের হত্যা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে এ অনুমতি দিয়েছেন মারাত্মক সংঘর্ষ হওয়া মাজান্দারান প্রদেশের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার। এতে বলা হয়েছে, ‘দাঙ্গাবাজ ও বিপ্লব বিরোধীদের যেকোনো অশান্তিমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করতে দয়া দেখাবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত মৃত্যু না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত প্রতিহত করুন।’

এর আগে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মাশা আমিনি নামের কুর্দি তরুণীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিন দিন পর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠে, পুলিশের নির্যাতনের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, ইরানের তেল রপ্তানি প্রতিহত করতে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, ইরানের তেল রপ্তানিতে সহযোগিতা করার জন্য বেশ কয়েকটি কোম্পানি ও একটি তেল ট্যাংকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বেশির ভাগ সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং ও ভারতের কোম্পানি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত