Ajker Patrika

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর’ অস্ত্রের ব্যবহার বাড়াচ্ছে হিজবুল্লাহ, বড় সংঘাতের আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৪, ১৫: ৫৮
Thumbnail image

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে গত বছরের ৮ অক্টোবর থেকে সক্রিয় হয় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এর পর থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষে জড়িয়েছে গোষ্ঠীটি। প্রথম দিককার সংঘাতে হিজবুল্লাহ সামান্য পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করলেও ইদানীং গোষ্ঠীটি ব্যাপক আকারে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, হিজবুল্লাহর সঙ্গে বড় ধরনের সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে ইসরায়েল। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নানামাত্রিক লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছে। গোষ্ঠীটি বিপুলসংখ্যক বিস্ফোরক ড্রোন, বিভিন্ন ধরনে রকেট ব্যবহার করছে। এই প্রথমবারের মতো হিজবুল্লাহর রকেট ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগারে এ ধরনের নতুন একটি মাইলফলক সংযোজন। 

ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার এক শীর্ষ কমান্ডারের মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে হিজবুল্লাহ মাত্র দুই দিনে ২৫০টিরও বেশি রকেট ছুড়েছে ইসরায়েলে। এ ছাড়া, বুধবার বেশ কয়েকটি ড্রোন ও রকেটের সাহায্যে ইসরায়েলি বাহিনীর ৯টি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠীটি। এসব রকেট হামলায় ইসরায়েলের বিস্তীর্ণ এলাকা পুড়ে গেছে। 

ইসরায়েল হিজবুল্লাহর এমন আগ্রাসী আচরণের জন্য ইরানকে দায়ী করেছে। তবে হিজবুল্লাহ কীভাবে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্যবস্তু করার সক্ষমতা অর্জন করল, সে বিষয়ে জানতে চাইলে দেশটির সরকার কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ এখনো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি সর্বময় যুদ্ধে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে চায়। কিন্তু তারা তাদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে দেখিয়ে দিতে চায়, তারাও কম নয়। 

সূত্রটি বলেছে, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যে ক্রমবর্ধমান হারে এই আক্রমণ শুরু করেছে। মূলত গোষ্ঠীটি ধীরে ধীরে তার সক্ষমতা প্রদর্শন করতে চায়। এর মধ্যে একটি হলো, অ্যান্টি এয়ারক্রাফট ওয়েপনের ব্যবহার। গত ৬ জুন হিজবুল্লাহ প্রথমবারের মতো কোনো ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্যবস্তু করে আক্রমণ চালায়। তবে গোষ্ঠীটি ঠিক কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে চায়নি ওই সূত্র। 

হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে তারা অন্তত চারবার ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্যবস্তু করে আক্রমণ চালিয়েছে এবং তাদের লেবাননের আকাশসীমা ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সেথ জি জোনস বলেছেন, ‘প্রচলিত যুদ্ধের জন্য প্রতিরোধক্ষমতা জোরদার করার প্রচেষ্টায় হিজবুল্লাহ তাদের কী ধরনের সক্ষমতা রয়েছে তা প্রদর্শন করছে।’ 

সেথ আরও বলেন, ‘এখন প্রশ্ন হলো, হিজবুল্লাহর কাছে কী ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আছে এবং ইরান ও সিরিয়ার কাছ থেকে তারা আরও কী পেতে পারে? আমার আশঙ্কা, গুরুতর সক্ষমতার কোনো গুরুতর ইঙ্গিত ইসরায়েলিদের আরও কঠোর আঘাত হানার দিকে মনোযোগী করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত