দেশত্যাগের ঘটনা পরিকল্পিত ছিল না বলে দাবি করেছেন রাশিয়ায় পাড়ি জমানো সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। ৮ ডিসেম্বর আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর আজ সোমবার মস্কো থেকে দেওয়া প্রথম বিবৃতিতে এ দাবি করেছেন তিনি।
বিবৃতিতে বাশার আল-আসাদ বলেন, ‘সিরিয়া থেকে চলে যাওয়াটা পরিকল্পিত ছিল না এবং হামলার শিকার একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মস্কো তাঁকে অনুরোধ করেছিল।’
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সিরিয়া থেকে আমার প্রস্থান পরিকল্পিত ছিল না অথবা লড়াইয়ের শেষ সময়েও এটি ঘটেনি।’
সিরিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ৮ ডিসেম্বর (রোববার) সকালের দিকেই তিনি লাতাকিয়ায় চলে যান। এরপর সেদিন সন্ধ্যায় মস্কো তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করে। সিরিয়া বর্তমানে সন্ত্রাসীদের হাতে রয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করেছেন বাশার আল-আসাদ।
বাবা হাফেজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসেন বাশার আল-আসাদ। এরপর প্রায় তিন দশক ধরে শক্ত হাতে শাসন করেন সিরিয়া। দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর দুই সপ্তাহের কম সময়ের সরকারবিরোধী আন্দোলনে ৮ ডিসেম্বের বাশারের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে।
বিবৃতিতে আসাদ বলেন, সিরিয়াজুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ায় এবং ৭ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যার দিকে সন্ত্রাসীরা দামেস্কে পৌঁছানোর ফলে প্রেসিডেন্টের ভাগ্য এবং তাঁর দেশে অবস্থান ঘিরে সংকট তৈরি হয়। ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি ও আখ্যানের মাঝে এসব ঘটেছে। যার লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার মুক্তি আন্দোলনের নামে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে আবারও পুনরুজ্জীবিত করা।
রাশিয়া-ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনকে অসম্ভব বলে মনে করা হলেও ওই দিন সিরিয়ার ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্যুৎগতির অভিযানে দেশটিতে সরকারের পতন ঘটে। অতীতে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত আল-নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত ছিল হায়াত তাহরির আল-শাম।
বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সশস্ত্র সদস্যরা রাজধানীতে ঢুকে পড়ায় তিনি সেদিনই দামেস্ক ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন। দেশটির লাতাকিয়া প্রদেশে অবস্থিত রাশিয়ার সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত হামিমিম বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পরপরই তাঁকে মস্কোতে সরিয়ে নেওয়া হয়। আসাদ বলেন, তিনি দামেস্ক থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর লাতাকিয়া থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের তদারকি করছিলেন। সে সময় দেশের সব সামরিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
‘আমি রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোরবেলা পর্যন্ত দামেস্কে ছিলাম। সেখান থেকে আমার দায়িত্ব পালন করেছিলাম। সন্ত্রাসী বাহিনী যখন দামেস্কে অনুপ্রবেশ করে, তখন লড়াই অভিযানের তদারকি করার জন্য আমাদের রুশ মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে লাতাকিয়ায় চলে আসি। আমি সেদিন সকালেই হামিমিম ঘাঁটিতে পৌঁছাই।’
বিবৃতিতে বলা হয়, মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। এর একপর্যায়ে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি তীব্র ড্রোন হামলার মুখে পড়ে। সামরিক ঘাঁটির কমান্ড ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
এর আগে, সিরিয়ার সাবেক সরকারি পাঁচজন কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছিলেন, বিদ্রোহী বাহিনী দামেস্ক দখল করে আসাদের সরকারের পতন ঘটানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দেশের বাইরে চলে যান।
ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, এমনকি আগের দিন রাতে বাশার আল-আসাদ তাঁর ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাকে একটি ভাষণ প্রস্তুত করতে বলেছিলেন। কিন্তু দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে রাশিয়ার হামিমিম বিমানঘাঁটি এবং সেখান থেকে দেশের বাইরে যাওয়ার আগে তাঁর আর সেই ভাষণ দেওয়া হয়নি।
বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্র যখন রাষ্ট্র সন্ত্রাসের কবলে পড়ে এবং অর্থপূর্ণ ভূমিকা রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তখন সেখানে যে কারও অবস্থান উদ্দেশ্যহীন হয়ে যায়।’
দেশত্যাগের ঘটনা পরিকল্পিত ছিল না বলে দাবি করেছেন রাশিয়ায় পাড়ি জমানো সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। ৮ ডিসেম্বর আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর আজ সোমবার মস্কো থেকে দেওয়া প্রথম বিবৃতিতে এ দাবি করেছেন তিনি।
বিবৃতিতে বাশার আল-আসাদ বলেন, ‘সিরিয়া থেকে চলে যাওয়াটা পরিকল্পিত ছিল না এবং হামলার শিকার একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মস্কো তাঁকে অনুরোধ করেছিল।’
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সিরিয়া থেকে আমার প্রস্থান পরিকল্পিত ছিল না অথবা লড়াইয়ের শেষ সময়েও এটি ঘটেনি।’
সিরিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ৮ ডিসেম্বর (রোববার) সকালের দিকেই তিনি লাতাকিয়ায় চলে যান। এরপর সেদিন সন্ধ্যায় মস্কো তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করে। সিরিয়া বর্তমানে সন্ত্রাসীদের হাতে রয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করেছেন বাশার আল-আসাদ।
বাবা হাফেজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসেন বাশার আল-আসাদ। এরপর প্রায় তিন দশক ধরে শক্ত হাতে শাসন করেন সিরিয়া। দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর দুই সপ্তাহের কম সময়ের সরকারবিরোধী আন্দোলনে ৮ ডিসেম্বের বাশারের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে।
বিবৃতিতে আসাদ বলেন, সিরিয়াজুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ায় এবং ৭ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যার দিকে সন্ত্রাসীরা দামেস্কে পৌঁছানোর ফলে প্রেসিডেন্টের ভাগ্য এবং তাঁর দেশে অবস্থান ঘিরে সংকট তৈরি হয়। ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি ও আখ্যানের মাঝে এসব ঘটেছে। যার লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার মুক্তি আন্দোলনের নামে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে আবারও পুনরুজ্জীবিত করা।
রাশিয়া-ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনকে অসম্ভব বলে মনে করা হলেও ওই দিন সিরিয়ার ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্যুৎগতির অভিযানে দেশটিতে সরকারের পতন ঘটে। অতীতে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত আল-নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত ছিল হায়াত তাহরির আল-শাম।
বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সশস্ত্র সদস্যরা রাজধানীতে ঢুকে পড়ায় তিনি সেদিনই দামেস্ক ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন। দেশটির লাতাকিয়া প্রদেশে অবস্থিত রাশিয়ার সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত হামিমিম বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পরপরই তাঁকে মস্কোতে সরিয়ে নেওয়া হয়। আসাদ বলেন, তিনি দামেস্ক থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর লাতাকিয়া থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের তদারকি করছিলেন। সে সময় দেশের সব সামরিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
‘আমি রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোরবেলা পর্যন্ত দামেস্কে ছিলাম। সেখান থেকে আমার দায়িত্ব পালন করেছিলাম। সন্ত্রাসী বাহিনী যখন দামেস্কে অনুপ্রবেশ করে, তখন লড়াই অভিযানের তদারকি করার জন্য আমাদের রুশ মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে লাতাকিয়ায় চলে আসি। আমি সেদিন সকালেই হামিমিম ঘাঁটিতে পৌঁছাই।’
বিবৃতিতে বলা হয়, মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। এর একপর্যায়ে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি তীব্র ড্রোন হামলার মুখে পড়ে। সামরিক ঘাঁটির কমান্ড ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
এর আগে, সিরিয়ার সাবেক সরকারি পাঁচজন কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছিলেন, বিদ্রোহী বাহিনী দামেস্ক দখল করে আসাদের সরকারের পতন ঘটানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দেশের বাইরে চলে যান।
ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, এমনকি আগের দিন রাতে বাশার আল-আসাদ তাঁর ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাকে একটি ভাষণ প্রস্তুত করতে বলেছিলেন। কিন্তু দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে রাশিয়ার হামিমিম বিমানঘাঁটি এবং সেখান থেকে দেশের বাইরে যাওয়ার আগে তাঁর আর সেই ভাষণ দেওয়া হয়নি।
বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্র যখন রাষ্ট্র সন্ত্রাসের কবলে পড়ে এবং অর্থপূর্ণ ভূমিকা রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তখন সেখানে যে কারও অবস্থান উদ্দেশ্যহীন হয়ে যায়।’
আনোয়ার ইব্রাহিম একটি সংস্কারবাদী স্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন এবং দেশের ভঙ্গুর রাজনৈতিক ব্যবস্থায় দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে অনেকের দাবি, তিনি এসব প্রতিশ্রুতির কোনোটাও পূরণ করতে পারেননি।
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমানে চার দিনের ব্যক্তিগত সফরে স্কটল্যান্ডে অবস্থান করছেন। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে প্রেসউইক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর থেকে তাঁকে ঘিরে দেশটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেঅঞ্জলী শীল জানিয়েছেন, তাঁর বাবা, ভাই, মামা—সবাই আসামে বাস করেন এবং তাঁরা সেখানকার ভূমিপুত্র। তাঁদের কাছে কোনো চিঠি না এসে একমাত্র তাঁর কাছেই কেন চিঠি এল, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
৮ ঘণ্টা আগেভারতের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী সোনা কমস্টারের প্রয়াত নির্বাহী সঞ্জয় কাপুর মারা যাওয়ার পর তাঁর মা রানী কাপুর অভিযোগ করেছেন, তাঁকে একঘরে আটকে রেখে জোর করে কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর পুত্রবধূ প্রিয়া সাচদেব কাপুরসহ কিছু ব্যক্তি সোনা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য এসব করেছেন। তিনি
৯ ঘণ্টা আগে