ইকুয়েডরের রাজধানী কিটোতে মেক্সিকোর দূতাবাসে অভিযান চালিয়ে এক বিতর্কিত রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উত্তপ্ত আঞ্চলিক রাজনীতি। এ ঘটনার জেরে ইকুয়েডরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থগিত করেছে মেক্সিকো। আর ইকুয়েডরের নিন্দা জানিয়েছে ব্রাজিলসহ লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
দুর্নীতি মামলায় দুবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল ইকুয়েডরের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ গ্লাস। গত ডিসেম্বরে মেক্সিকোতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার পর থেকে কিটোতে মেক্সিকোর দূতাবাসেই ছিলেন গ্লাস। গতকাল সকালে গ্লাসের রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ মঞ্জুর করে মেক্সিকো। সেদিনই পুলিশ জোর করে মেক্সিকো দূতাবাসে ঢুকে জর্জ গ্লাসকে গ্রেপ্তার করে।
সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর বলেন, গ্রেপ্তার করার আগে পুলিশ জোর করে কিটোতে মেক্সিকো দূতাবাসে প্রবেশ করেছিল। লোপেজ এই গ্রেপ্তারকে আন্তর্জাতিক আইন এবং মেক্সিকোর সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিসিয়া বার্সেনাকে ইকুয়েডরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করার নির্দেশ দেন। পোস্টটির কিছুক্ষণ পরেই বার্সেনা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
তবে জর্জ গ্লাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলমান থাকায় তার রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণের আবেদনকে অবৈধ বলছেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়ার সরকার। তারপরও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দার হাত থেকে মুক্তি মিলছে না ইকুয়েডরের। কারণ আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, কোনো দেশের দূতাবাসকে সেই দেশের সার্বভৌম অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গতকাল শনিবার লাতিন আমেরিকার দেশগুলো দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়া গ্লাসের গ্রেপ্তারের তীব্র সমালোচনা করেছে। এই তালিকায় আছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে এবং কলম্বিয়া।
সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলোয় প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে যে, ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পুলিশের বহর জর্জ গ্লাসকে রাজধানী কিটোর বিমানবন্দরে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর ইকুয়েডরের বৃহত্তম শহর গুয়াকিলের একটি কারাগারে যাওয়ার পথে বিমানে উঠেছিলেন গ্লাস।
এ ঘটনার প্রতিবাদে কিউবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকেই সামাজিক প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেছেন। ছবিতে মেক্সিকো দূতাবাসের দেয়ালে পুলিশের অভিযানে সৃষ্ট ক্ষতের ছবিও রয়েছে।
ব্রাজিল সরকার ইকুয়েডরের এই পদক্ষেপকে বিদেশি দূতাবাসে অভিযান নিষিদ্ধ করার জন্য বিদ্যমান আন্তর্জাতিক নিয়মের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে নিন্দা করেছে। মেক্সিকোর প্রতি সমর্থন জানিয়ে ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মেক্সিকো দূতাবাসে ইকুয়েডরের পদক্ষেপের যৌক্তিকতা যাই হোক না কেন, তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে ব্রাজিল।’
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, কূটনৈতিক মিশন রক্ষাকারী কনভেনশনের যে কোনো লঙ্ঘনের নিন্দা করে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, বিশ্বে যেভাবে বর্বরতা বাড়ছে তার মধ্যে লাতিন আমেরিকাকে আন্তর্জাতিক আইনের অনুশাসন বাঁচিয়ে রাখতে হবে। পৃথক বিবৃতিতে পেট্রোর সরকার বলেছে যে, আটক গ্লাসের জন্য মানবাধিকার অনুসারে আইনি সুরক্ষা চাইবে তারা।
ইকুয়েডরের রাজধানী কিটোতে মেক্সিকোর দূতাবাসে অভিযান চালিয়ে এক বিতর্কিত রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উত্তপ্ত আঞ্চলিক রাজনীতি। এ ঘটনার জেরে ইকুয়েডরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থগিত করেছে মেক্সিকো। আর ইকুয়েডরের নিন্দা জানিয়েছে ব্রাজিলসহ লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
দুর্নীতি মামলায় দুবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল ইকুয়েডরের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ গ্লাস। গত ডিসেম্বরে মেক্সিকোতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার পর থেকে কিটোতে মেক্সিকোর দূতাবাসেই ছিলেন গ্লাস। গতকাল সকালে গ্লাসের রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ মঞ্জুর করে মেক্সিকো। সেদিনই পুলিশ জোর করে মেক্সিকো দূতাবাসে ঢুকে জর্জ গ্লাসকে গ্রেপ্তার করে।
সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর বলেন, গ্রেপ্তার করার আগে পুলিশ জোর করে কিটোতে মেক্সিকো দূতাবাসে প্রবেশ করেছিল। লোপেজ এই গ্রেপ্তারকে আন্তর্জাতিক আইন এবং মেক্সিকোর সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিসিয়া বার্সেনাকে ইকুয়েডরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করার নির্দেশ দেন। পোস্টটির কিছুক্ষণ পরেই বার্সেনা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
তবে জর্জ গ্লাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলমান থাকায় তার রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণের আবেদনকে অবৈধ বলছেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়ার সরকার। তারপরও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দার হাত থেকে মুক্তি মিলছে না ইকুয়েডরের। কারণ আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, কোনো দেশের দূতাবাসকে সেই দেশের সার্বভৌম অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গতকাল শনিবার লাতিন আমেরিকার দেশগুলো দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়া গ্লাসের গ্রেপ্তারের তীব্র সমালোচনা করেছে। এই তালিকায় আছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে এবং কলম্বিয়া।
সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলোয় প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে যে, ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পুলিশের বহর জর্জ গ্লাসকে রাজধানী কিটোর বিমানবন্দরে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর ইকুয়েডরের বৃহত্তম শহর গুয়াকিলের একটি কারাগারে যাওয়ার পথে বিমানে উঠেছিলেন গ্লাস।
এ ঘটনার প্রতিবাদে কিউবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকেই সামাজিক প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেছেন। ছবিতে মেক্সিকো দূতাবাসের দেয়ালে পুলিশের অভিযানে সৃষ্ট ক্ষতের ছবিও রয়েছে।
ব্রাজিল সরকার ইকুয়েডরের এই পদক্ষেপকে বিদেশি দূতাবাসে অভিযান নিষিদ্ধ করার জন্য বিদ্যমান আন্তর্জাতিক নিয়মের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে নিন্দা করেছে। মেক্সিকোর প্রতি সমর্থন জানিয়ে ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মেক্সিকো দূতাবাসে ইকুয়েডরের পদক্ষেপের যৌক্তিকতা যাই হোক না কেন, তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে ব্রাজিল।’
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, কূটনৈতিক মিশন রক্ষাকারী কনভেনশনের যে কোনো লঙ্ঘনের নিন্দা করে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, বিশ্বে যেভাবে বর্বরতা বাড়ছে তার মধ্যে লাতিন আমেরিকাকে আন্তর্জাতিক আইনের অনুশাসন বাঁচিয়ে রাখতে হবে। পৃথক বিবৃতিতে পেট্রোর সরকার বলেছে যে, আটক গ্লাসের জন্য মানবাধিকার অনুসারে আইনি সুরক্ষা চাইবে তারা।
দীর্ঘ ২৯ বছর সরকারি বাস চালিয়েছেন তিনি। মাত্র ৭ ডলার (প্রায় ৮০০ টাকা) সমপরিমাণ ভাড়া আত্মসাতের দায়ে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, সেই সঙ্গে তাঁর ৮৪ হাজার ডলার (প্রায় ৯২ লাখ টাকা) পেনশনও বাতিল করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভারতের উত্তর-পূর্ব দিল্লির সীলমপুরে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর হত্যার ঘটনায় ফের আলোচনায় জিকরা নামের এক তরুণী। তিনি নিজেকে ‘লেডি ডন’ বলে পরিচয় দেন। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর কার্যকলাপ এবং অপরাধ জগতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পরিচিত এই তরুণী।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র ক্রিমিয়া অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে। মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আলোচনার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম..
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর সাম্প্রতিক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে বিশেষ করে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আমেরিকান ইমিগ্রেশন ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এআইএলএ) একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সংস্থাটি কর্তৃক সংগৃহীত ৩২৭টি সাম্প্রতিক ভিসা বাতিলের প্রায় অর্ধেকই ভারতীয়...
৩ ঘণ্টা আগে