আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিগত কয়েক মাস ধরেই ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার তথাকথিত ‘বাংলাদেশিদের’ বাংলাদেশে পুশইন করছে। এতে কোনো আইনের তোয়াক্কাই করছে না দেশটি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুশইনের শিকার এসব ব্যক্তি ‘বাংলাভাষী’ ও ‘মুসলিম।’ তবে কেন্দ্র সরকারের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিল্লি থেকে আটক করে বাংলাদেশে পুশইন করা একটি পরিবারের বিষয়ে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত ২৬ জুন এই এক শিশু সন্তানসহ ওই দম্পতিকে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়।
এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করছেন, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলাভাষী অভিবাসী শ্রমিকদের ‘বাংলাদেশি’ বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। গত মাসে মমতা বাংলাভাষী অভিবাসী শ্রমিকদের আটক এবং বাংলাদেশে পাঠানোর কড়া প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, বাংলায় কথা বলার কারণে শ্রমিকদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এটা বরদাশত করা হবে না।
পশ্চিমবঙ্গ অভিবাসী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য সামিরুল ইসলাম ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, ‘একটি পরিবারের তিন সদস্যসহ মোট ৬ জন অভিবাসী শ্রমিকের ঘটনায় রাজ্য সরকার আদালতে যাবে। প্রতিদিনই বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, যেখানে বাংলাভাষী অভিবাসী শ্রমিকদের নিশানা লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। সব প্রমাণপত্র দেখানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
সামিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘প্রায় ২২ লাখ অভিবাসী শ্রমিক অন্য রাজ্যে কাজ করেন। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে তাঁদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ কেন? পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১.৫ লাখ অভিবাসী শ্রমিক কাজ করছেন।’
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের ওই দম্পতি গত পাঁচ বছর ধরে ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানী দিল্লিতে কাজ করছিলেন। গত মাসে তাদের সেখান থেকেই তথাকথিত ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে আটক করে দিল্লি পুলিশ। পরে তাঁদের পাঁচ বছরের ছেলেসহ বাংলাদেশে ‘পুশইন’ করা হয় তথা জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশের দাবি, তারা বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী।’
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ২৬ বছরে দানিশ শেখ, তাঁর স্ত্রী ২৪ বছর বয়সী সোনালি খাতুন এবং তাদের পাঁচ বছরের ছেলে সাবিরকে ১৮ জুন দিল্লির রোহিণী এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। শেখ পরিবারের আত্মীয়দের দাবি, দানিশ, তাঁর স্ত্রী সোনালি ও তাঁদের নাবালক ছেলে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মুরারই থানার অন্তর্গত পইকড় গ্রামের বাসিন্দা এবং পরিবারের সবাই জীবিকার তাগিদে দিল্লিতে বসবাস করতেন।
দিল্লির এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের পর ওই পরিবারকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে’ এবং তাঁদের কাছে ‘বৈধ কোনো নথিপত্র’ ছিল না।
বিগত কয়েক মাস ধরেই ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার তথাকথিত ‘বাংলাদেশিদের’ বাংলাদেশে পুশইন করছে। এতে কোনো আইনের তোয়াক্কাই করছে না দেশটি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুশইনের শিকার এসব ব্যক্তি ‘বাংলাভাষী’ ও ‘মুসলিম।’ তবে কেন্দ্র সরকারের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিল্লি থেকে আটক করে বাংলাদেশে পুশইন করা একটি পরিবারের বিষয়ে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত ২৬ জুন এই এক শিশু সন্তানসহ ওই দম্পতিকে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়।
এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করছেন, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলাভাষী অভিবাসী শ্রমিকদের ‘বাংলাদেশি’ বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। গত মাসে মমতা বাংলাভাষী অভিবাসী শ্রমিকদের আটক এবং বাংলাদেশে পাঠানোর কড়া প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, বাংলায় কথা বলার কারণে শ্রমিকদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এটা বরদাশত করা হবে না।
পশ্চিমবঙ্গ অভিবাসী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য সামিরুল ইসলাম ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, ‘একটি পরিবারের তিন সদস্যসহ মোট ৬ জন অভিবাসী শ্রমিকের ঘটনায় রাজ্য সরকার আদালতে যাবে। প্রতিদিনই বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, যেখানে বাংলাভাষী অভিবাসী শ্রমিকদের নিশানা লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। সব প্রমাণপত্র দেখানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
সামিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘প্রায় ২২ লাখ অভিবাসী শ্রমিক অন্য রাজ্যে কাজ করেন। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে তাঁদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ কেন? পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১.৫ লাখ অভিবাসী শ্রমিক কাজ করছেন।’
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের ওই দম্পতি গত পাঁচ বছর ধরে ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানী দিল্লিতে কাজ করছিলেন। গত মাসে তাদের সেখান থেকেই তথাকথিত ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে আটক করে দিল্লি পুলিশ। পরে তাঁদের পাঁচ বছরের ছেলেসহ বাংলাদেশে ‘পুশইন’ করা হয় তথা জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশের দাবি, তারা বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী।’
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ২৬ বছরে দানিশ শেখ, তাঁর স্ত্রী ২৪ বছর বয়সী সোনালি খাতুন এবং তাদের পাঁচ বছরের ছেলে সাবিরকে ১৮ জুন দিল্লির রোহিণী এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। শেখ পরিবারের আত্মীয়দের দাবি, দানিশ, তাঁর স্ত্রী সোনালি ও তাঁদের নাবালক ছেলে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মুরারই থানার অন্তর্গত পইকড় গ্রামের বাসিন্দা এবং পরিবারের সবাই জীবিকার তাগিদে দিল্লিতে বসবাস করতেন।
দিল্লির এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের পর ওই পরিবারকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে’ এবং তাঁদের কাছে ‘বৈধ কোনো নথিপত্র’ ছিল না।
আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী বা স্বনির্ভর হলে ভরণপোষণ বা অ্যালিমনি না দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত পর্যবেক্ষণ করে মন্তব্য করেছে, স্থায়ী ভরণপোষণ বা পার্মানেন্ট অ্যালিমনি মূলত সামাজিক ন্যায়বিচারের একটি ব্যবস্থা। আর্থিকভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের মধ্যে আর্থিক সমতা আনার বা বিত্তশালী হওয়ার হাতিয়ার..
২ ঘণ্টা আগে১৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেছেন ভারতীয় বন কর্মকর্তা (আইএফএস) পারভিন কাসওয়ান। ভিডিওতে দেখা যায়, রাজস্থানের মাউন্ট আবুর কাছে একটি চিতা (লেপার্ড) খাবারের খোঁজে আবর্জনার স্তূপে ঘাঁটাঘাঁটি করছে।
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রমেই পুরোনো আমলের রাজা–বাদশাহদের মতো আচরণ করছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিচ্ছেন। এমন অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অন্তত ৭০ লাখ মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেসৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন এক প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে, যেখানে দেশটির ওপর আক্রমণ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আক্রমণ বলে গণ্য হবে। এ চুক্তিটি অনেকটা গত মাসে কাতারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের করা এক চুক্তির মতো। যেখানে ঘোষিত হয়েছে, উপসাগরীয় দেশটির ওপর যেকোনো আক্রমণই আমেরিকার ‘শান্তি ও
৩ ঘণ্টা আগে