Ajker Patrika

পশ্চিমবঙ্গে ফের লকডাউনের আশঙ্কা

কলকাতা প্রতিনিধি
Thumbnail image

বিশ্বে এখনো কমেনি করোনার প্রকোপ। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে নতুন করে বাড়ছে শঙ্কা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। 

করোনার ডেলটা ও ওমিক্রন ধরন থেকে বাঁচতে মাস্ক পরাকে বাধ্যতামূলক করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এরই মধ্যে কলকাতার অন্তত ৩০টি এলাকা এবং হাওড়ার ৪১টি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিমান ও রেল চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। লকডাউনের আশঙ্কা শুরু হয়েছে বিভিন্নমহলে। 

দিল্লিতে এরই মধ্যে প্রতি শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সোমবার সকাল ৫টা পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, ভারতে এসে যেন কেউ বিপদে না পড়েন এর জন্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। 

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। উত্তর ২৪ পরগনাতেই গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৭ জন। ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ শতাংশ বেড়ে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ৩৭ হাজারেরও বেশি। পশ্চিমবঙ্গে ছয় হাজারেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। 

ভারতের ১২৪ জন মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। পশ্চিমবঙ্গে মৃতের সংখ্যা ১৩। সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় টিকার দুই ডোজ নিয়েও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে দুইবার করোনা হয়েছে তাঁর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় বন্ধ। ১৫ থেকে ১৮ বছরের কিশোরদের টিকাকরণ চলছে। রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কলকাতাসহ গোটা রাজ্যে জারি হয়েছে রাত্রিকালীন জরুরি অবস্থা। সরকারি অফিস চলছে অর্ধেক কর্মী নিয়ে। একই চিত্র বেসরকারি অফিসেও। মাস্ক না পরে বাইরে বের হলেই পুলিশি ধর পাকর শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। 

এদিকে, ভারতে চিকিৎসা করতে এসে বহু মানুষ লকডাউনের আশঙ্কায় ভুগছেন। তাঁদের বিষয়টি প্রতিনিয়ত নজরে রাখছেন কলকাতা উপ-দূতাবাসের আধিকারিকরা। সীমান্ত এখনো খোলা রয়েছে। তবে চিকিৎসা ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে আসতে চাইছেন তাঁদের অনেককেই উড়োজাহাজে যাতায়াত করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। উড়োজাহাজের ভাড়াও অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন। 

কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান জানান, ভারতে এসে বাংলাদেশি নাগরিকরা যাতে কোনো বিপদে না পড়েন সেই বিষয়টি তাঁরা নিয়মিত লক্ষ্য রাখছেন। তাছাড়া ভারতীয়দের পর্যটক ভিসা দেওয়া এখনো বাংলাদেশ শুরু করেনি। সেই সঙ্গে দূতাবাস কর্মীদের মধ্যেও সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। 

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অবশ্য জানিয়েছেন, লকডাউন তিনি চান না। কারণ লকডাউনের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই বিধিনিষেধ চালু করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হচ্ছে। তবে করোনা আবহাওয়ার মধ্যেই বেশ কয়েকটি শহরের পৌর নির্বাচন হচ্ছে। তাছাড়া শহরের পানশালা (মদের বার) খুলে রেখে পাঠশালা (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) বন্ধ করার কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।       

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত