অনলাইন ডেস্ক
ভারতে সবচেয়ে বেশিবার বদলি হওয়া আইএএস অফিসার অশোক খেমকা অবসরে যাচ্ছেন। আজ বুধবার শেষ হচ্ছে তাঁর তিন দশকের কর্মজীবন। ১৯৯১ ব্যাচের হরিয়ানার ক্যাডেট ভারতজুড়ে পরিচিত তাঁর সততার জন্য।
এই সরকারি কর্মকর্তা জাতীয় স্তরে পরিচিতি পান ২০১২ সালে। ওই বছর কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর জামাতা রবার্ট ভদ্রর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি জমির লেনদেনের মিউটেশন বাতিল করেন। উল্লেখ্য, মিউটেশন হলো জমির মালিকানা পরিবর্তনের প্রক্রিয়ার একটি অংশ।
২০১২ সালের অক্টোবরে, অশোক খেমকা হরিয়ানার ভূমি রেকর্ড ও অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন দপ্তরের মহা–পরিচালক ছিলেন। সে সময় তিনি গুরগাঁও জেলার শিখোপুর গ্রামে একটি ৩ দশমিক ৫ একর জমির মিউটেশন বাতিল করেন। ওই জমি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ডিএলএফ এবং স্কাইলাইট হসপিটালিটি নামের একটি সংস্থার মধ্যে কেনাবেচা হয়েছিল। স্কাইলাইট হসপিটালিটির মালিক ছিলেন রবার্ট ভদ্র।
খেমকার ভাষ্য ছিল, এই জমি কেনাবেচায় আর্থিক লেনদেন স্পষ্ট ছিল না। স্কাইলাইট হসপিটালিটি জমি কিনে এক মাসের মধ্যে ডিএলএফের কাছে বিক্রি করে ব্যাপক লাভ করে, অথচ বিনিয়োগ ছিল যৎসামান্য। জমিটি কেনাবেচায় হরিয়ানা সরকারের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালার বেশ কিছু শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছিল এবং মিউটেশন প্রক্রিয়ার সময় যথাযথ যাচাই হয়নি। যে কারণে, জমিটির মিউটেশন তিনি বাতিল করে দেন। এই ঘটনার কয়েক দিন পরই তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে অন্যত্র বদলি করা হয়। হরিয়ানা সরকার তাঁর বিরুদ্ধে একটি তদন্তও শুরু করে, যদিও তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পাওয়া মেলেনি।
কিন্তু এরপরই শুরু হয় একের পর এক বদলি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানই তাঁর কর্মজীবনে বড় বাধা হয়ে ওঠে। তিন দশকের কর্মজীবনে ৫৭ বার বদলি হয়েছেন খেমকা—যা রাজ্যের আমলাতন্ত্রে কোনো একজনকে বদলির রেকর্ড। প্রতি ছয় মাসে একবার বদলি হতে হয়েছে এই আমলাকে।
১৯৬৫ সালের ৩০ এপ্রিল কলকাতায় জন্ম নেওয়া অশোক খেমকা ভারতের উচ্চশিক্ষিত আমলাদের একজন। ১৯৮৮ সালে তিনি আইআইটি খড়গপুর থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর দেশের স্বনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে পিএইচডি এবং ব্যবসা প্রশাসন ও অর্থনীতিতে এমবিএ সম্পন্ন করেন। চাকরিতে যোগদানের পরও থেমে থাকেননি খেমকা। সরকারি দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
পরিবহ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসরে যাচ্ছেন খেমকা। গত বছর ডিসেম্বরে এই পদ পান তিনি। এর আগে ২০১৫ সালে পরিবহন কমিশনার হিসেবে এই দপ্তরে কাজ করেছেন। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার প্রথম মেয়াদের চার মাসের মাথায় ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয় খেমকাকে।
২০২৩ সালে অশোক খেমকা হরিয়ানার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী (বর্তমানে বিজেপি সরকারের হাউজিং ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী) মনোহরলাল খট্টরকে চিঠি লিখে ভিজিল্যান্স দপ্তরের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে অবিচল থাকতে নিজের ক্যারিয়ারকে একপ্রকার বলিই দিয়েছেন তিনি।
চিঠিটিতে তিনি লেখেন, ‘কাজের ভারসাম্যহীন বণ্টন জনস্বার্থের সহায়ক নয়। চাকরির শেষ প্রান্তে এসে আমি ভিজিল্যান্স দপ্তরের দায়িত্ব নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে চাই। যদি সুযোগ দেওয়া হয়, আমি নিশ্চিত করব যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি প্রকৃত যুদ্ধ শুরু হবে—যেখানে যত বড় প্রভাবশালীই হোন না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
সেসময় খেমকা আর্কাইভস দপ্তরে কর্মরত ছিলেন, যেখানে তেমন কোনো কাজ ছিল না বলে মনে করতেন তিনি।
প্রায় দুই বছর আগে সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতির পর অশোক খেমকা এক টুইটে আক্ষেপ করে লেখেন, ‘আমার ব্যাচমেটদের কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব পদে পদোন্নতির জন্য অভিনন্দন! এই আনন্দের মুহূর্তে নিজের পিছিয়ে পড়ার কষ্টও অনুভূত হচ্ছে। সৎ লোকেরাই সব সময় ভুক্তভোগী হয়। যাক! কোনো আফসোস নেই। নতুন সংকল্প নিয়ে আবারও এগিয়ে যাব।’
গত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেমকাকে মূলত ‘লো–প্রোফাইল’ বা কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত দপ্তরগুলোতেই পদায়ন করা হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি চারবার শুধু রাজ্য সরকারের আর্কাইভস দপ্তরেই কাজ করেছে। চারবারের তিনবারই বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে। প্রথমবার তাঁকে এই দপ্তরে পাঠানো হয় কংগ্রেস সরকারের আমলে—২০১৩ সালে।
ভারতে সবচেয়ে বেশিবার বদলি হওয়া আইএএস অফিসার অশোক খেমকা অবসরে যাচ্ছেন। আজ বুধবার শেষ হচ্ছে তাঁর তিন দশকের কর্মজীবন। ১৯৯১ ব্যাচের হরিয়ানার ক্যাডেট ভারতজুড়ে পরিচিত তাঁর সততার জন্য।
এই সরকারি কর্মকর্তা জাতীয় স্তরে পরিচিতি পান ২০১২ সালে। ওই বছর কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর জামাতা রবার্ট ভদ্রর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি জমির লেনদেনের মিউটেশন বাতিল করেন। উল্লেখ্য, মিউটেশন হলো জমির মালিকানা পরিবর্তনের প্রক্রিয়ার একটি অংশ।
২০১২ সালের অক্টোবরে, অশোক খেমকা হরিয়ানার ভূমি রেকর্ড ও অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন দপ্তরের মহা–পরিচালক ছিলেন। সে সময় তিনি গুরগাঁও জেলার শিখোপুর গ্রামে একটি ৩ দশমিক ৫ একর জমির মিউটেশন বাতিল করেন। ওই জমি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ডিএলএফ এবং স্কাইলাইট হসপিটালিটি নামের একটি সংস্থার মধ্যে কেনাবেচা হয়েছিল। স্কাইলাইট হসপিটালিটির মালিক ছিলেন রবার্ট ভদ্র।
খেমকার ভাষ্য ছিল, এই জমি কেনাবেচায় আর্থিক লেনদেন স্পষ্ট ছিল না। স্কাইলাইট হসপিটালিটি জমি কিনে এক মাসের মধ্যে ডিএলএফের কাছে বিক্রি করে ব্যাপক লাভ করে, অথচ বিনিয়োগ ছিল যৎসামান্য। জমিটি কেনাবেচায় হরিয়ানা সরকারের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালার বেশ কিছু শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছিল এবং মিউটেশন প্রক্রিয়ার সময় যথাযথ যাচাই হয়নি। যে কারণে, জমিটির মিউটেশন তিনি বাতিল করে দেন। এই ঘটনার কয়েক দিন পরই তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে অন্যত্র বদলি করা হয়। হরিয়ানা সরকার তাঁর বিরুদ্ধে একটি তদন্তও শুরু করে, যদিও তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পাওয়া মেলেনি।
কিন্তু এরপরই শুরু হয় একের পর এক বদলি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানই তাঁর কর্মজীবনে বড় বাধা হয়ে ওঠে। তিন দশকের কর্মজীবনে ৫৭ বার বদলি হয়েছেন খেমকা—যা রাজ্যের আমলাতন্ত্রে কোনো একজনকে বদলির রেকর্ড। প্রতি ছয় মাসে একবার বদলি হতে হয়েছে এই আমলাকে।
১৯৬৫ সালের ৩০ এপ্রিল কলকাতায় জন্ম নেওয়া অশোক খেমকা ভারতের উচ্চশিক্ষিত আমলাদের একজন। ১৯৮৮ সালে তিনি আইআইটি খড়গপুর থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর দেশের স্বনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে পিএইচডি এবং ব্যবসা প্রশাসন ও অর্থনীতিতে এমবিএ সম্পন্ন করেন। চাকরিতে যোগদানের পরও থেমে থাকেননি খেমকা। সরকারি দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
পরিবহ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসরে যাচ্ছেন খেমকা। গত বছর ডিসেম্বরে এই পদ পান তিনি। এর আগে ২০১৫ সালে পরিবহন কমিশনার হিসেবে এই দপ্তরে কাজ করেছেন। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার প্রথম মেয়াদের চার মাসের মাথায় ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয় খেমকাকে।
২০২৩ সালে অশোক খেমকা হরিয়ানার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী (বর্তমানে বিজেপি সরকারের হাউজিং ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী) মনোহরলাল খট্টরকে চিঠি লিখে ভিজিল্যান্স দপ্তরের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে অবিচল থাকতে নিজের ক্যারিয়ারকে একপ্রকার বলিই দিয়েছেন তিনি।
চিঠিটিতে তিনি লেখেন, ‘কাজের ভারসাম্যহীন বণ্টন জনস্বার্থের সহায়ক নয়। চাকরির শেষ প্রান্তে এসে আমি ভিজিল্যান্স দপ্তরের দায়িত্ব নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে চাই। যদি সুযোগ দেওয়া হয়, আমি নিশ্চিত করব যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি প্রকৃত যুদ্ধ শুরু হবে—যেখানে যত বড় প্রভাবশালীই হোন না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
সেসময় খেমকা আর্কাইভস দপ্তরে কর্মরত ছিলেন, যেখানে তেমন কোনো কাজ ছিল না বলে মনে করতেন তিনি।
প্রায় দুই বছর আগে সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতির পর অশোক খেমকা এক টুইটে আক্ষেপ করে লেখেন, ‘আমার ব্যাচমেটদের কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব পদে পদোন্নতির জন্য অভিনন্দন! এই আনন্দের মুহূর্তে নিজের পিছিয়ে পড়ার কষ্টও অনুভূত হচ্ছে। সৎ লোকেরাই সব সময় ভুক্তভোগী হয়। যাক! কোনো আফসোস নেই। নতুন সংকল্প নিয়ে আবারও এগিয়ে যাব।’
গত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেমকাকে মূলত ‘লো–প্রোফাইল’ বা কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত দপ্তরগুলোতেই পদায়ন করা হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি চারবার শুধু রাজ্য সরকারের আর্কাইভস দপ্তরেই কাজ করেছে। চারবারের তিনবারই বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে। প্রথমবার তাঁকে এই দপ্তরে পাঠানো হয় কংগ্রেস সরকারের আমলে—২০১৩ সালে।
প্রেমিকের ফোনে অন্য নারীর বার্তা দেখার পর তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছেন এক মার্কিন তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। ম্যাডিসন রুকার্ট নামে ২৩ বছরের ওই তরুণী ঘুমের মধ্যেই তাঁর প্রেমিক জোনাথন মিলারকে গুলি করে হত্যা করেন। এই ঘটনায় ম্যাডিসনের ৩৫ বছরের সাজা হয়েছে।
১৭ মিনিট আগেভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বিবদমান কাশ্মীর সীমান্তের (নিয়ন্ত্রণ রেখা—লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি) কাছে টহল দিচ্ছিল ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান। সেই বিমানগুলো ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
২৮ মিনিট আগেবিদেশে জন্ম নেওয়া ৮৬ লাখ অস্ট্রেলিয়ানের মধ্যে শুধু চীনেই জন্মগ্রহণকারীর সংখ্যা ৭ লাখ ১২০। এর আগে ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৬১ হাজার। করোনা মহামারির সময় (২০২০ ও ২০২১ সাল) সীমান্ত বন্ধ থাকায় চীনে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ান শিশুর সংখ্যা তুলনামূলক বেশ কম ছিল।
২ ঘণ্টা আগেডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ১০০ দিন হলো। সম্প্রতি তিনি বেশ জমকালোভাবেই তাঁর ১০০তম দিন পূর্তি উদ্যাপন করেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কোনো কিছুই তাঁকে ‘থামাতে পারবে না।’
২ ঘণ্টা আগে