Ajker Patrika

উত্তেজনার মধ্যে স্টিলথ যুদ্ধবিমান নির্মাণে অনুমোদন দিল ভারত

অনলাইন ডেস্ক
‘অ্যারো ইন্ডিয়া-২০২৫’ প্রদর্শনীতে ভারতের স্টিলথ প্রযুক্তির একটি মডেল। ছবি: এনডিটিভি
‘অ্যারো ইন্ডিয়া-২০২৫’ প্রদর্শনীতে ভারতের স্টিলথ প্রযুক্তির একটি মডেল। ছবি: এনডিটিভি

সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতের পর নতুন এক সমরাস্ত্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবার দেশটির সবচেয়ে উন্নত স্টিলথ ফাইটার জেট তৈরির নীতিগত কাঠামো অনুমোদন করেছে। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

স্টিলথ যুদ্ধবিমান হচ্ছে এমন এক ধরনের যুদ্ধবিমান যা শত্রুপক্ষের রাডার, ইনফ্রারেড সেন্সর, সোনার এবং অন্যান্য নজরদারি প্রযুক্তির চোখ ফাঁকি দিতে সক্ষম। এর ডিজাইন, প্রযুক্তি এবং উপাদানগুলো একে আক্ষরিক অর্থেই ‘অদৃশ্য’ করে তোলে—অর্থাৎ শত্রু এটিকে সহজে শনাক্ত করতে পারে না।

সিএনএন জানিয়েছে, ভারতের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে দেশটির সরকারের মালিকানাধীন অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এডিএ)। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংস্থাটি শিগগিরই প্রকল্পের প্রোটোটাইপ তৈরির জন্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে প্রাথমিক আগ্রহ আহ্বান করবে। প্রস্তাবিত স্টিলথ ফাইটার জেটকে দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে।

এই প্রকল্পটি ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাজ-সরঞ্জাম রাশিয়ান ও সাবেক সোভিয়েত যুদ্ধবিমানের ওপর নির্ভরশীল—যা কমে এখন ৪২ থেকে ৩১-এ দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী চীন দ্রুত তার বিমানবাহিনীর শক্তি বাড়াচ্ছে। পাকিস্তানের কাছে ইতিমধ্যে চীনের উন্নত যুদ্ধবিমান জে-১০ রয়েছে।

চলতি মে মাসেই পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চার দিন ধরে সংঘর্ষ চলে। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষই যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও কামান ব্যবহার করেছে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে।

এই প্রথমবার উভয় দেশই সংঘাতে ব্যাপকভাবে ড্রোন ব্যবহার করেছে। রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলা ১৫ জন নিরাপত্তা কর্মকর্তা, প্রতিরক্ষা শিল্পের নির্বাহী ও বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার দুই শক্তিধর এখন ড্রোন প্রযুক্তির প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, স্টিলথ ফাইটার প্রকল্পে ভারত একটি দেশীয় কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারত্ব করবে। আগ্রহী কোম্পানিগুলো স্বতন্ত্রভাবে অথবা যৌথভাবে দরপত্রে অংশ নিতে পারবে। এটি বেসরকারি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত উভয় ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এর আগে গত মার্চে ভারতের একটি প্রতিরক্ষা কমিটি সামরিক বিমান তৈরিতে বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছিল যেন, বিমানবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো যায় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেডের ওপর চাপ কিছুটা কমানো যায়।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিংহ এর আগে হালকা যুদ্ধবিমান ‘তেজস’ সরবরাহে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকসের ধীর গতির সমালোচনা করেছিলেন। তবে সংস্থাটি এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিক থেকে ইঞ্জিন সরবরাহে বিলম্বকে দায়ী করেছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ভিসায় ছয় দেশ

এর জবাব দেশে দিইনি, জাপানে দিলে বিপদ হবে: পদত্যাগ প্রশ্নে ড. ইউনূস

চারটি গুলির পর নিরস্ত্র মেজর সিনহার গলায় পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়: অ্যাটর্নি জেনারেল

‘বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেও পাকিস্তানের কোনো লাভ হবে না’

বাজে হারের পরও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত