Ajker Patrika

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করার পক্ষে কী প্রমাণ দিল ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বুধবার ভারতের জম্মু অঞ্চলের পুঞ্চ জেলার প্রধান শহরে একটি আর্টিলারি শেল আঘাত হানার পর ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। ছবি: এএফপি
বুধবার ভারতের জম্মু অঞ্চলের পুঞ্চ জেলার প্রধান শহরে একটি আর্টিলারি শেল আঘাত হানার পর ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। ছবি: এএফপি

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে দেশটির বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। বুধবার (৭ মে) মধ্যরাত ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই পাল্টা হামলা চালানো হয় পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু কাশ্মীর অঞ্চলে।

তবে পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার পেছনে কী প্রমাণ ছিল ভারতের কাছে? যেই প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে প্রতিশোধমূলক আক্রমণ চালাল দেশটি? চলুন, জানি পুরো বিষয়টির আদ্যোপান্ত।

গত ২২ এপ্রিল ট্যুরিস্ট মৌসুমের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এই হামলাকে বলা হচ্ছে কয়েক দশকের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, চার থেকে ছয়জন সশস্ত্র ব্যক্তি সামরিক পোশাকে একটি নিকটবর্তী জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে এবং কাছ থেকে নির্বিচার গুলি চালায়।

বুধবার ভারতের জম্মু অঞ্চলের পুঞ্চ জেলার প্রধান শহরে একটি আর্টিলারি শেল আঘাত হানার পর ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। ছবি: এএফপি
বুধবার ভারতের জম্মু অঞ্চলের পুঞ্চ জেলার প্রধান শহরে একটি আর্টিলারি শেল আঘাত হানার পর ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। ছবি: এএফপি

প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর পর ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে ‘অপারেশন সিন্দুর’ পরিচালনা করেছে। এই অপারেশন কাশ্মীর সীমান্তবর্তী ভারতের আকাশসীমা থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত হেনেছে। আঘাত হানা স্থাপনাগুলো সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ও অবকাঠামো ছিল। এসব এলাকা থেকে ভারতের ওপর আরও সন্ত্রাসী হামলা পরিকল্পনা ও পরিচালনা করা হচ্ছিল।

তারা আরও জানায়, ভারতীয় সেনাবাহিনী মোট নয়টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। বুধবার রাজধানী দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা সন্ত্রাসী ক্যাম্পগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে এবং বিমান হামলার কিছু আকাশচিত্র প্রদর্শন করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, ‘অপারেশন সিন্দুরের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং এগুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনায় জড়িত থাকার প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে। যেসব স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, সেগুলো বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। এটা ছিল অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করা একটি কাজ। এখন যেসব ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলোর ছবি আমরা আপনাদের দেখাব।’

বুধবার জম্মুর উপকণ্ঠে আখনুরের কাছে একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ধ্বংসাবশেষ থেকে ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন দমকলকর্মীরা। ছবি: এএফপি
বুধবার জম্মুর উপকণ্ঠে আখনুরের কাছে একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ধ্বংসাবশেষ থেকে ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন দমকলকর্মীরা। ছবি: এএফপি

তিনি আরও জানান, ভারতের এই সীমান্তবর্তী অভিযানে ‘নির্ভুল প্রযুক্তি’ ব্যবহার করা হয়েছে। সুনিপণ যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে কোনো অতিরিক্ত ক্ষয়ক্ষতি না হয়। প্রতিটি লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে একটি নির্দিষ্ট ভবন বা ভবনগোছের ওপর। এতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারত্বের প্রমাণ মেলে। ভারত অনেক সহনশীলতা দেখিয়েছে এই প্রতিক্রিয়ায়। তবে এটা স্পষ্ট করে বলা দরকার, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের কোনো ‘দুঃসাহসিকতা’র জবাব দিতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত, যদি তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়।

ভারতের পক্ষ থেকে যেসব জায়গায় হামলা চালানোর কথা বলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান-অধিকৃত মুজাফফরাবাদ, কোটলি, রাওয়ালকোট, চাকস্বাড়ি, ভিম্বার, নীলম উপত্যকা, ঝেলম ও চকওয়াল এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরের বাহাওয়ালপুর।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ভারতের এই বিমান হামলাকে ‘যুদ্ধের ঘোষণাস্বরূপ’ বলে আখ্যায়িত করে জানিয়েছেন, ইসলামাবাদের ‘উপযুক্ত ও কড়া জবাব’ দেওয়ার অধিকার রয়েছে।

দ্য ইনডিপেনডেন্ট প্রকাশিত মানচিত্রে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় সামরিক হামলার লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
দ্য ইনডিপেনডেন্ট প্রকাশিত মানচিত্রে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় সামরিক হামলার লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

পেহেলগাম হামলার পরদিন ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে। তখন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ভারতের শাস্তিমূলক পদক্ষেপকে ‘অপরিপক্ব’ ও ‘তড়িঘড়ি’ বলে অভিহিত করেন। একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভারত কোনো প্রমাণ দেয়নি। তারা প্রতিক্রিয়ায় কোনো পরিপক্বতা দেখায়নি। এটি একেবারে কাঁচা পদক্ষেপ। ঘটনাটির পরপরই তারা উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।’

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সৈয়দ আসিম মুনির জানিয়েছেন, ভারতের হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ভারতের বিমান হামলাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাঁরা শুধু পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত ভূখণ্ডে অবস্থিত সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করেছে। পাকিস্তানের সামরিক অবকাঠামোতে কোনো আঘাত হানা হয়নি।

ভারতের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের পদক্ষেপ ছিল সুপরিকল্পিত, নিয়ন্ত্রিত এবং উত্তেজনা প্রশমিত করার উদ্দেশ্যে। কোনো পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। লক্ষ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে এবং হামলা পরিচালনায় ভারত যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে। পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলায় ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি নাগরিক হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই হামলায় জড়িতদের জবাবদিহি করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ভারতের ওয়াশিংটন দূতাবাস বিমান হামলার পর এক বিবৃতিতে জানায়, পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার দৃঢ় তথ্যপ্রমাণ রয়েছে ভারতের কাছে। এসবের মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিগত ইনপুট, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সাক্ষ্য এবং অন্যান্য প্রমাণ—যেগুলো এই হামলায় পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসীদের স্পষ্ট জড়িত থাকার বিষয়টি নির্দেশ করে।

বুধবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে শহরে একটি সন্দেহজনক ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার স্থানে দাঁড়িয়ে আছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা ও উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: এএফপি
বুধবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে শহরে একটি সন্দেহজনক ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার স্থানে দাঁড়িয়ে আছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা ও উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: এএফপি

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কর্মকাণ্ডের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ভারতের বিরুদ্ধে আরও হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। তাই আমাদের পক্ষে প্রতিরোধ এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া ছিল বাধ্যতামূলক। আজ সকালে, যেমনটি আপনারা জানেন, ভারত তার আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছে এবং সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধ ও প্রতিহত করেছে।

বিক্রম মিশ্রি আরও বলেন, এই বিমান হামলাগুলো মূলত সন্ত্রাসী অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এবং যেসব সন্ত্রাসী ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য প্রস্তুত ছিল, তাদের নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় নিহতদের বেশির ভাগ ছিলেন পর্যটক। এই হামলার পর থেকে ভারতের পাল্টা প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

এনডিটিভি ও দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সূত্রের বরাতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, হামলাটি সম্ভবত পাঁচজন জঙ্গি চালিয়েছে—তিনজন পাকিস্তানি এবং দুজন কাশ্মীরি। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজনদের মধ্যে রয়েছে অনন্তনাগের আদিল হুসেইন ঠোকার এবং পাকিস্তানের হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান এবং আলি ভাই ওরফে তালহা ভাই।

পুলিশ দাবি করেছে, এই ব্যক্তিরা পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার সদস্য। যদিও সংগঠনটি দায় অস্বীকার করেছে। এখন পর্যন্ত এই হামলার ঘটনায় ভারত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

গত সপ্তাহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, পেহেলগাম হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসী ও তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ও চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বুধবার ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরের কাছে ওয়ুয়ানে বিমানবাহিনীর একটি অংশ দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: এএফপি
বুধবার ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরের কাছে ওয়ুয়ানে বিমানবাহিনীর একটি অংশ দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: এএফপি

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রকাশের পরপরই ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেওয়া হয়, যেখানে লেখা ছিল—‘ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জয় হিন্দ।’ সঙ্গে #PahalgamTerrorAttack শব্দবন্ধ ব্যবহার করা হয়।

বিক্রম মিশ্রি বলেন, পেহেলগাম হামলার দায় সংক্ষেপে স্বীকার করে পরে মুছে ফেলে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ বা টিআরএফ। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা এবং জইশ-ই-মুহাম্মদ অতীতেও ভারতের বিরুদ্ধে বহু প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে। তারাই টিআরএফের মাধ্যমে কাজ করছিল।

মিশ্রি বলেন, পেহেলগাম হামলার তদন্তে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগাযোগের তথ্য উঠে এসেছে। রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের দায় স্বীকার এবং পরে লস্করের পরিচিত সামাজিক মাধ্যম হ্যান্ডেল থেকে সেটি পুনরায় পোস্ট করা—এসবই অনেক কিছু বলে দেয়।

তিনি আরও জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে থাকা অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে হামলাকারীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়াও এগিয়ে চলেছে। এই হামলার ধরন পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদের ইতিহাসের সঙ্গে মিলে যায়, যা বিস্তৃতভাবে প্রমাণিত এবং প্রশ্নাতীত। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সারা বিশ্বের সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসীরা সেখানে অবাধে ঘোরাফেরা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে একদিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গাজায় ইসরায়েলের হামলা। ছবি: আনাদোলু
গাজায় ইসরায়েলের হামলা। ছবি: আনাদোলু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল সোমবার গর্ব করে জানিয়েছেন, তাঁর দেশের সেনাবাহিনী গত রোববার গাজা উপত্যকায় ১৫৩ টন বোমা বর্ষণ করেছে। যা কার্যত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের স্বীকারোক্তি। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের শীতকালীন অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে নেতানিয়াহু এই কথা বলেন। এসময় তিনি একাধিকবার বিরোধী এমপিদের বাধার মুখে পড়েন। তাঁরা সরকারের নীতি ও গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির সময় আমাদের দুই সৈনিক শহীদ হয়েছে…আমরা তাদের ওপর ১৫৩ টন বোমা বর্ষণ করেছি এবং গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ডজনখানেক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছি।’

গাজার সরকারি জনসংযোগ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রসমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল মোট ৮০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এতে ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে শুধু রোববারই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ জন। আহত হয়েছেন আরও ২৩৬ জন।

তেল আবিব দাবি করেছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে হামাস এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

গত ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থাপিত এক ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনার ভিত্তিতে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করা হয়। এর প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

পরিকল্পনায় গাজা পুনর্গঠন এবং হামাসবিহীন একটি নতুন শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথাও বলা হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৬৮ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার ২০০ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দীপাবলিতে ভারতীয়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশি হাইকমিশনের ভিডিও প্রকাশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভিডিও থেকে নেওয়া
ভিডিও থেকে নেওয়া

কালীপূজা ও দীপাবলি উপলক্ষে ভারতীয়দের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অ্যানিমেশন ভিডিও শেয়ার করে এ শুভেচ্ছা জানান।

ভিডিওটি শেয়ার করে রিয়াজ হামিদুল্লাহ লেখেন, ‘আমি এটি শেয়ার করছি কারণ এটি বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের লালিত মূল্যবোধের পাশাপাশি সংস্কৃতিগত বহুত্ববাদ ও সহনশীলতার প্রতিফলন ঘটায়। একই সঙ্গে এটি বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকেও তুলে ধরে।’

প্রকাশিত অ্যানিমেশন ভিডিওটিতে দেখা যায় ভাইফোঁটা, কালীপূজা ও দীপাবলির প্রতীক হিসেবে প্রদীপ জ্বালানোর দৃশ্য।

ভিডিওটির সঙ্গে সংযুক্ত লেখায় বলা হয়েছে, ‘বাংলা কার্তিক মাসের অমাবস্যার রাতে বাংলাদেশজুড়ে হাজারো প্রদীপ জ্বলে ওঠে—যেন দেবী কালী মুণ্ডমালিনীর ত্রিনয়নের অগ্নিতেজে অন্ধকার ভেদ করে অসংখ্য তারা জেগে উঠছে। মায়ের আহ্বানের মন্ত্রধ্বনিতে নদীমাতৃক এই ভূখণ্ডে মেয়েরা ভাইদের কপালে শুভচিহ্ন এঁকে দেয়। ভারতের, বাংলাদেশের ও বিশ্বের প্রত্যেক হিন্দু ভাই-বোনকে জানাই শুভ দীপাবলি, কালীপূজা ও ভাইফোঁটার শুভেচ্ছা।’

ভিডিওতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ক্ষমতাসীন বিজেপি, বিরোধী কংগ্রেসসহ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যমকে ট্যাগ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: দ্য প্রিন্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি নারীকে মুখোশধারী ইসরায়েলির বেধড়ক পিটুনি ভাইরাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ৫২
ছবি: বিবিসি
ছবি: বিবিসি

পশ্চিমতীরের তুরমুস আয়া গ্রামে মুখোশধারী এক ইসরায়েলি দখলদারের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৫৫ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি নারী। রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে জলপাই সংগ্রহের সময় ওই নারীকে একটি লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। এই ঘটনাটি ভিডিওতে ধারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জ্যাসপার ন্যাথানিয়েল।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক যুবক বড় কাঠের লাঠি দিয়ে এক নারীর মাথায় আঘাত করে তাঁকে মাটিতে ফেলে দেন। এরপর মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় ওই নারীকে আরও দুইবার আঘাত করেন তিনি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আহত নারীর নাম উম সালেহ আবু আলিয়া।

ভিডিও ধারণ করা ন্যাথানিয়েল বলেছেন, ‘প্রথম আঘাতেই আলিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তারপরও হামলাকারী নির্মমভাবে লাঠি চালিয়ে যায়।’

এই বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের সদস্যরা পৌঁছানোর পর ঘটনাস্থল ছত্রভঙ্গ করা হয়। অবৈধ বসতি নির্মাণকারীদের যে কোনো ধরনের সহিংসতার নিন্দাও জানায় এই বাহিনী। তবে ন্যাথানিয়েল অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা হামলার আগেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং সাংবাদিক ও সহায়তাকারীদের আটকে রেখেছিল। সৈন্যরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুখোশধারী উপনিবেশকারীরা আক্রমণ চালায়।

পাঁচ সন্তানের মা আবু আলিয়া বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার মাথার দুই জায়গায় গুরুতর আঘাত পাওয়া গেছে। তিনি আগে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন, এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন।

তুরমুস আয়া গ্রামে এদিন অন্তত ১৫ জন মুখোশধারী উপনিবেশকারীকে আরও কয়েকজন ফিলিস্তিনি কৃষক ও সহায়তাকারীদের ওপর পাথর ছুড়তে দেখা যায়। এ সময় তারা ফিলিস্তিনি মালিকানাধীন একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং কয়েকটির জানালা ভেঙে দেয়।

জলপাই সংগ্রহ ফিলিস্তিনি সংস্কৃতি ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে প্রতিবছর এই মৌসুমে দখলদারদের হামলা, রাস্তা বন্ধ এবং জমিতে প্রবেশে বাধা দেওয়ার ঘটনা বাড়ছে। জাতিসংঘের মানবিক দপ্তর জানিয়েছে, ৭ থেকে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিম তীরে ৭১টি উপনিবেশকারী হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার অর্ধেকই জলপাই সংগ্রহ মৌসুমে।

২০২৫ সালেই পশ্চিমতীর জুড়ে উপনিবেশকারীদের হাতে ৩ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এসব ঘটনার কোনো বিচার হয়নি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই হামলাগুলোর মূল লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনিদের ভয় দেখিয়ে জমি ছাড়তে বাধ্য করা—যাতে ইসরায়েলি উপনিবেশকারীরা তা দখল করতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চীন যাবেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
২০১৭ সালের নভেম্বরে চীনের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
২০১৭ সালের নভেম্বরে চীনের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী বছরের শুরুর দিকে চীন সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আজ সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজের সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্প এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আগামী বছরের শুরুতে চীন সফরে যাব।’

এর আগের দিন ফক্স বিজনেসের সংবাদ উপস্থাপক মারিয়া বার্টিরোমোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি আসন্ন অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প চীনের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন, যা নভেম্বরের শুরু থেকে কার্যকর হতে পারে বলে জানান। চীনা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের প্রতিক্রিয়ায় নতুন এ পদক্ষেপের কথা বলেন তিনি। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্যযুদ্ধকে আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।

তবে বার্টিরোমোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, এত উচ্চমাত্রার শুল্ক দীর্ঘ মেয়াদে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘আমি চীনকে ধ্বংস করতে চাই না।’

উল্লেখ্য, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ই পরস্পরের ওপর অন্তত ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছিল। পরে আলোচনার মাধ্যমে চীনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ১০ শতাংশ আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে চীনা পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক বজায় রয়েছে, যা আগের শুল্কের ওপর যুক্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত