Ajker Patrika

ভারতে পাচারকারীর হাত থেকে যেভাবে পালিয়ে থানায় গেল বাংলাদেশি কিশোরী

অনলাইন ডেস্ক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভারতের হায়দরাবাদের বান্দলাগুডা থানা-পুলিশ একটি আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রকে শনাক্ত করেছে। এই চক্রের ডেরা থেকে চারজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছে। তাদের মধ্যে একজন ১৫ বছর বয়সী বাংলাদেশি স্কুলছাত্রী রয়েছে। সে পাচারকারীদের হাত থেকে পালিয়ে পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে গিয়েছিল। এ ঘটনায় তিন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৮টা ১৫ মিনিটে ওই কিশোরী বান্দলাগুডা থানায় এসে সাহায্য চায়। মেয়েটি পুলিশকে জানায়, তার প্রতিবেশী রুপা গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাকে ঢাকা থেকে পাচার করে কলকাতায় নিয়ে আসে। সেখান থেকে তাকে হায়দরাবাদে এনে জোর করে দেহব্যবসায় বাধ্য করে। মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ মামলা করে।

ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ বান্দলাগুডার ইসমাইল নগরের গৃহবধূ হাজেরা বেগম (৪১)-এর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ মেহদিপত্তনমের একটি ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শাহনাজ ফাতিমা (৩২) নামে একজন গ্রেপ্তার করে এবং সেখানে দেহব্যবসায় বাধ্য করা পশ্চিমবঙ্গের তিন নারীকে উদ্ধার করে। পুলিশ অটোচালক মোহাম্মদ সমীরকে (২৩) তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি এই কিশোরীদের খদ্দেরের কাছে পৌঁছে দিতেন বলে জানিয়ে পুলিশ।

চন্দরায়ণগুট্টার এসিপি এ সুধাকর সাংবাদিকদের জানান, ভুক্তভোগী মেয়েটি ঢাকার, সে নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার প্রতিবেশী রুপা বন্ধুত্ব গড়ে তুলে ভারতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য রাজি করায়। রুপা এবং মেয়েটি রাতে মা-মেয়ের ছদ্মবেশে অবৈধভাবে নৌকায় করে সীমান্ত পার হয় এবং ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা থেকে ট্রেনে করে হায়দরাবাদে আসে। শহরে আসার পর রুপা ওই কিশোরীকে শাহনাজের কাছে তুলে দেয়। শাহনাজ পরে তাকে হাজেরার হাতে তুলে দেন। মেয়েটি পুলিশকে জানায়, শাহনাজ ও হাজেরা তাঁকে অবৈধ অভিবাসনের জন্য ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন এবং দেহব্যবসায় বাধ্য করতেন।

শুক্রবার মাইলরদেবপল্লীর একটি হোটেলের সামনে অটো থেকে নামার সময় দৌড়ে দেয় ওই কিশোরী। সমীর তখন অটো পার্কিং করছিলেন। মেয়েটি রাস্তা পার হয়ে বান্দলাগুডার দিকে ছুটতে থাকে এবং পথচারীদের কাছে থানার পথ দেখিয়ে দিতে অনুরোধ করে। থানা-পুলিশের তদন্তকারী বলেন, ‘হাজেরার বাড়ি থেকে হোটেলে নিয়ে যাওয়ার সময় সে প্রায়ই মাইলরদেবপল্লী থানা দেখতে পেত। শুক্রবার, সে দ্রুত পালানোর চেষ্টায় মাইলরদেবপল্লী থানাটি মিস করে এবং বান্দলাগুডা থানায় পৌঁছায়।’

পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীকে একটি রেসকিউ হোমে পাঠানো হয়েছে এবং রুপার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত