Ajker Patrika

ভোটমুখী ত্রিপুরায় বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ

কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর
ভোটমুখী ত্রিপুরায় বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ

ভোটমুখী ত্রিপুরায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। বিজেপি ও সিপিএমের লড়াইয়ের মধ্যে পুরোদমে ঢুকে পড়েছে তৃণমূলও। কলকাতা থেকে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা নিয়মিত রাজধানী আগরতলায় থাকতে শুরু করেছেন।

গত বুধবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, সাংসদ তথা মমতা ব্যানার্জির ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জির ত্রিপুরায় পদযাত্রা করার কথা ছিল। কিন্তু ত্রিপুরা পুলিশ তাঁদের অনুমতি দেয়নি। এমনকি, গত বৃহস্পতিবারও পদযাত্রা করার অনুমতি পায়নি তৃণমূল। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর অভিষেকের পদযাত্রা করতে চেয়ে নতুন করে অনুমতি চেয়েছেন তাঁরা। 

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের অভিযোগ, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। তাই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে বিজেপি সরকার। অন্যদিকে, রাজ্যে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরির পাল্টা দাবি, ত্রিপুরায় তৃণমূলের কোনো অস্তিত্বই নেই। কলকাতার কিছু লোক এসে অশান্ত করার চক্রান্ত করছে। পাশাপাশি সিপিএম ও বিজেপির লড়াইও চলছে।

২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভার ভোট। কিন্তু এখন থেকেই রাজনৈতিক লড়াই তুঙ্গে। কংগ্রেস অনেকটা দুর্বল হলেও তৃণমূল ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে। ত্রিপুরায় সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে মমতার ভাইপো অভিষেক নিজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর নির্দেশে কলকাতা থেকে নেতা-মন্ত্রীর বাংলাভাষী ত্রিপুরায় ঘনঘন যাচ্ছেন। তিনি নিজেও দুবার ত্রিপুরা সফর করেন।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবারের পদযাত্রায় পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় আগামী ২২ তারিখ তাঁর ত্রিপুরা কর্মসূচির জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের অভিযোগ, ভয় পেয়েছে বিজেপি। তাই ন্যক্কারজনকভাবে পুলিশ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। 

জবাবে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরি জানান, বিজেপির নারী শাখা আগে থেকেই রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকাতেই পুলিশ অনুমতি দেয়নি। ত্রিপুরা পুলিশের আইজি (আইন শৃঙ্খলা) অরিন্দম নাথ জানান, শহরে একই দিনে দুটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মাথায় রেখেই পুলিশকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। 

অন্যদিকে, সিপিএমের অভিযোগ, বিজেপির দুর্বৃত্তদের আক্রমণে তাঁদের রাজ্য দপ্তর থেকে শুরু করে একাধিক পার্টি অফিস ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের অভিযোগ, শাসক দল পেশিশক্তি প্রদর্শন করছে। এটা শক্তির নয়, দুর্বলতার লক্ষণ। বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য অবশ্য সিপিএমের বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছেন। 

তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেবের অভিযোগ, ভোট কাটাকুটির স্বার্থে সিপিএম ও বিজেপি ত্রিপুরায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিং করেছে। রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই বিজেপি সমর্থকেরা মিছিল করে গিয়ে একটি সংবাদপত্র অফিসেও হামলা চালায়। পুলিশের আইজি (আইন শৃঙ্খলা) অরিন্দম নাথ জানিয়েছেন, তাঁরা গোটা ঘটনার তদন্ত করছেন। তবে এখনো কোনো গ্রেপ্তার নেই। সংবাদমাধ্যমে হামলার নিন্দায় সিপিএম, তৃণমূল ছাড়াও বিজেপি নেতারাও অনেকেই সরব হয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন থেকেই জমজমাট ত্রিপুরার রাজনৈতিক উত্তেজনা। 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরায় প্রথমবারের  মতো প্রতিষ্ঠিত হয় বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

পারভেজ হত্যায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাং সদস্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত