আজকের পত্রিকা ডেস্ক

.বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার ই-মেইল থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরীক্ষার নীতিকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট শিল্পমহল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসনের সঙ্গে বিদেশি সংস্থাগুলোর ‘নিয়ন্ত্রণমূলক’ বিভিন্ন বিষয় এবং দেশটির ‘সংরক্ষণবাদ নীতির’ কারণে যে বিতর্ক চলছে, এই ঘটনা সেই তালিকায় নতুন সংযোজন।
নীতি নির্ধারণের সঙ্গে যুক্ত এক শীর্ষ ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীনের অত্যাধুনিক নজরদারি সক্ষমতার কারণে নয়া দিল্লির উদ্বেগের ফলে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে মোদির তৎকালীন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে থাকা ১০ লাখ ক্যামেরা চীনা সংস্থার তৈরি এবং এসব ক্যামেরার ভিডিও জমা হয় বিদেশি সার্ভারে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এ ক্ষেত্রে ভিডিওর তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা আছে।
গত এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী—চীনের হিকভিশন, শাওমি ও দাহুয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার হানওয়া এবং আমেরিকার মটোরোলা সলিউশনসের মতো সংস্থাগুলোকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে সিসি ক্যামেরা বিক্রি করার আগে সরকারি পরীক্ষাগারে জমা দিতে হবে। এই নীতি ৯ এপ্রিলের পর থেকে তৈরি বা আমদানি করা সব ইন্টারনেট সংযুক্ত সিসিটিভি মডেলের জন্য প্রযোজ্য।
ভারতে ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত সাইবার নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্ব পালন করা গুলশান রাই রয়টার্সকে বলেন, ‘গুপ্তচরবৃত্তির ঝুঁকি সব সময়ই থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিপজ্জনক অবস্থানে বসে যে কেউ ইন্টারনেট-সংযুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই সেগুলোকে অবশ্যই শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত হতে হবে।’
সরকারি কার্যবিবরণী অনুযায়ী, ৩ এপ্রিল ভারতীয় কর্মকর্তারা হানওয়া, মটোরোলা, দাহুয়া, হানিওয়েল এবং শাওমিসহ ১৭টি বিদেশি ও দেশীয় নজরদারি সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে অনেক প্রস্তুতকারক সংস্থা জানায়, তারা নতুন বিধির শর্তগুলো পূরণ করতে প্রস্তুত নয় এবং সময়সীমা পেছানোর তদবির করলেও তা ব্যর্থ হয়।
অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে ভারত সরকার জানায়, এই নীতি ‘একটি প্রকৃত নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান করছে’ এবং এটি অবশ্যই কার্যকর করতে হবে। গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটি জানিয়েছিল, সিসিটিভি সংক্রান্ত এই নিয়মের লক্ষ্য হলো—‘দেশের নজরদারি ব্যবস্থার গুণমান এবং সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা।’
রয়টার্সের এই প্রতিবেদনটি কয়েক ডজন নথি পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রস্তুতকারক এবং ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক ও ই-মেইলের রেকর্ড এবং ভারতের এই প্রযুক্তি নিরীক্ষার উদ্যোগের সঙ্গে পরিচিত ছয়জনের সাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত।
ক্যামেরা প্রস্তুতকারকেরা জানিয়েছেন, ভারতের অপর্যাপ্ত পরীক্ষার সক্ষমতা, দীর্ঘ সময় ধরে চলা কারখানা পরিদর্শন এবং সংবেদনশীল সোর্স কোডের সরকারি যাচাই-বাছাই দেশটিতে সিসিটিভি ক্যামের বাজারজাতকরণের অনুমোদনে দেরি করিয়েছে। এর ফলে অনির্দিষ্ট পরিকাঠামো ও বাণিজ্যিক প্রকল্পগুলি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। হানওয়ার দক্ষিণ এশিয়ার অধিকর্তা অজয় দুবে ৯ এপ্রিল ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে এক ই-মেইলে জানান, এমনটা হলে ‘শিল্পক্ষেত্রের লাখ লাখ ডলার ক্ষতি হবে, যা বাজারে কম্পন সৃষ্টি করবে।’
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ৩ এপ্রিল কর্মকর্তাদের জানিয়েছিল, তারা আরও বেশি পরীক্ষাগারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ বাড়াতে ভারতের শহর, অফিস এবং আবাসিক কমপ্লেক্সগুলোতে লাখ লাখ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নয়াদিল্লিতে ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ক্যামেরা রয়েছে, যার বেশির ভাগই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে খুঁটিতে লাগানো।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের বিশ্লেষক বরুণ গুপ্ত রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এই দ্রুত অগ্রগতি ভারতের নজরদারি ক্যামেরার বাজারকে গত বছরের সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে। গুপ্ত আরও জানান, চীনের হিকভিশন এবং দাহুয়া বাজারের ৩০ শতাংশ দখল করে আছে। অবশ্য ভারতের সিপি প্লাসের শেয়ার ৪৮ শতাংশ। তিনি আরও যোগ করেন, প্রায় ৮০ শতাংশ সিসিটিভি যন্ত্রাংশ চীন থেকে আসে।
হানওয়া, মটোরোলা সলিউশনস এবং ব্রিটেনের নর্ডেন কমিউনিকেশন এপ্রিলে নিজ নিজ কর্মকর্তাদের ই-মেইলের মাধ্যমে জানায়, ৬ হাজার ক্যামেরা মডেলের ১ শতাংশেরও কম ভারতের নতুন নিয়মের অধীনে অনুমোদিত হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ২০২২ সালে হিকভিশন এবং দাহুয়ার সরঞ্জাম বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। কারণ হিসেবে ওয়াশিংটন জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছিল। ব্রিটেন-অস্ট্রেলিয়াও চীনের তৈরি ডিভাইসের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এই পথে হাঁটছে ভারতও। ভারতের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একইভাবে, সিসিটিভি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ভারতকে ‘নিশ্চিত হতে হবে যে, এই ডিভাইসগুলোতে কী ব্যবহৃত হচ্ছে, কোন চিপগুলো যাচ্ছে। কারণ, চীন আমাদের উদ্বেগের একটি অংশ।’
চীনের নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোকেও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা কাজে সহযোগিতা করতে হয়। রয়টার্স এ মাসে জানিয়েছে, মার্কিন বিশেষজ্ঞরা কিছু চীনা সৌরবিদ্যুৎ ইনভার্টার পরীক্ষা করে তাতে গোপন যোগাযোগের সরঞ্জাম খুঁজে পেয়েছেন।
২০২০ সালে ভারতীয় ও চীনা বাহিনী সীমান্তে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ভারত জাতীয় নিরাপত্তার কারণে টিকটকসহ কয়েক ডজন চীনা মালিকানাধীন অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। নিজের সঙ্গে সীমান্ত আছে ভারত এমন দেশগুলোর জন্যও বিদেশি বিনিয়োগের নিয়মও কঠোর করেছে। গত বছর লেবাননে পেজারের সিরিজ বিস্ফোরণ প্রযুক্তি ডিভাইসের সম্ভাব্য অপব্যবহার এবং সিসিটিভি সরঞ্জামগুলোর পরীক্ষা দ্রুত কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভারতীয় উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তোলে বলে জানান ওই শীর্ষ ভারতীয় কর্মকর্তা।
গত মাসে শাওমি জানায়, তারা ভারতে তাদের সরবরাহ করা সিসিটিভি ডিভাইস পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা জানায়, শাওমি এই মূল্যায়ন এগিয়ে নিতে পারবে না। কারণ, ‘অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা’ অনুযায়ী চীনে শাওমি যে দুটি প্রস্তুতকারক কোম্পানিকে দিয়ে তাদের পণ্য তৈরি করায় তাদের বিষয়ে দিল্লিকে আরও বেশি তথ্য দিতে হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা ‘চীনা কোম্পানিগুলোকে কলঙ্কিত ও দমন করার জন্য জাতীয় নিরাপত্তার ধারণার সাধারণীকরণের’ বিরোধিতা করে এবং আশা করে যে, ভারত চীনা সংস্থাগুলোর জন্য একটি বৈষম্যহীন পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
কাউন্টারপয়েন্টের মতে, ভারতে সিসিটিভি চাহিদার ২৭ শতাংশই সরকারি খাতের এবং বাকি ৭৩ শতাংশ করপোরেট ক্লায়েন্ট, শিল্প এবং অন্যান্য সংস্থা এবং বাড়ির জন্য। ভারতের নতুন নিয়ম অনুযায়ী সিসিটিভি ক্যামেরায় টেম্পার-প্রুফ ঘের থাকতে হবে। পাশাপাশি শক্তিশালী ম্যালওয়্যার শনাক্তকরণ এবং এনক্রিপশন থাকতে হবে। সিসি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক দুটি কোম্পানি দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উৎপাদক সংস্থাগুলোকে সোর্স কোড পরীক্ষা করার সফটওয়্যার সরঞ্জাম পরিচালনা করতে হবে এবং সরকারি পরীক্ষাগারে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
নতুন নিয়ম ভারতের পরীক্ষাগারগুলোকে উৎপাদক কোম্পানির কাছে সোর্স কোড চাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, এটি ভারতীয় কর্মকর্তাদের বিদেশে ডিভাইস প্রস্তুতকারকদের কারখানা পরিদর্শন এবং সাইবার দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য যেসব স্থাপনা আছে সেগুলোও পরিদর্শন করার ক্ষমতা দেয়।
চীনা কোম্পানি ইনফিনোভার ভারতীয় শাখা গত মাসে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে জানায়, এ ধরনের ‘প্রয়োজনীয়তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।’ ইনফিনোভার বিপণন কর্মকর্তা সুমিত চানানা ১০ এপ্রিল এক ই-মেইলে বলেন, ‘সোর্স কোড শেয়ারিং, ফার্মওয়্যার আপগ্রেডের পরে পুনরায় পরীক্ষা এবং একাধিক কারখানা নিরীক্ষার মতো প্রত্যাশাগুলো অভ্যন্তরীণ সময়সীমাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে।’
একই দিনে তাইওয়ানভিত্তিক ভিভোটেকের ভারত শাখার কর্মকর্তা সঞ্জীব গুলাটি ভারতীয় কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলেন, এমনটা হলে ‘চলমান সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে।’ তিনি এ মাসে রয়টার্সকে জানান, ভিভোটেক পণ্যের আবেদন জমা দিয়েছে এবং আশা করছে ‘শিগগিরই ছাড়পত্র পাবে।’
ভারতে নজরদারি সরঞ্জাম পরীক্ষাকারী সংস্থা হলো স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি সার্টিফিকেশন ডিরেক্টরেট। এটি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন। সংস্থাটির ১৫টি পরীক্ষাগার রয়েছে যা একসঙ্গে ২৮টি আবেদন পর্যালোচনা করতে পারে এবং প্রতি আবেদনে সর্বোচ্চ ১০টি পর্যন্ত মডেল যাচাই করানো যেতে পারে।
সরকারি তথ্য বলছে, আজ ২৮ মে পর্যন্ত বিভিন্ন প্রস্তুতকারকের শত শত মডেল পরীক্ষার জন্য সংস্থাটিতে ৩৪২টি আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৭টি নতুন। এর মধ্যে ৩৫ টির পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে শুধু একটি বিদেশি সংস্থার। ভারতের সিপি প্লাস রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা তাদের ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরাগুলোর ছাড়পত্র পেয়েছে তবে আরও বেশ কয়েকটি মডেল ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে।
দাহুয়া বলেছে, তারাও পরীক্ষার জন্য ডিভাইস জমা দিয়েছে, কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত পণ্যগুলোর ‘ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা’ বজায় রাখার অনুমতি দিতে।

.বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার ই-মেইল থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরীক্ষার নীতিকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট শিল্পমহল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসনের সঙ্গে বিদেশি সংস্থাগুলোর ‘নিয়ন্ত্রণমূলক’ বিভিন্ন বিষয় এবং দেশটির ‘সংরক্ষণবাদ নীতির’ কারণে যে বিতর্ক চলছে, এই ঘটনা সেই তালিকায় নতুন সংযোজন।
নীতি নির্ধারণের সঙ্গে যুক্ত এক শীর্ষ ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীনের অত্যাধুনিক নজরদারি সক্ষমতার কারণে নয়া দিল্লির উদ্বেগের ফলে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে মোদির তৎকালীন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে থাকা ১০ লাখ ক্যামেরা চীনা সংস্থার তৈরি এবং এসব ক্যামেরার ভিডিও জমা হয় বিদেশি সার্ভারে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এ ক্ষেত্রে ভিডিওর তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা আছে।
গত এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী—চীনের হিকভিশন, শাওমি ও দাহুয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার হানওয়া এবং আমেরিকার মটোরোলা সলিউশনসের মতো সংস্থাগুলোকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে সিসি ক্যামেরা বিক্রি করার আগে সরকারি পরীক্ষাগারে জমা দিতে হবে। এই নীতি ৯ এপ্রিলের পর থেকে তৈরি বা আমদানি করা সব ইন্টারনেট সংযুক্ত সিসিটিভি মডেলের জন্য প্রযোজ্য।
ভারতে ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত সাইবার নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্ব পালন করা গুলশান রাই রয়টার্সকে বলেন, ‘গুপ্তচরবৃত্তির ঝুঁকি সব সময়ই থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিপজ্জনক অবস্থানে বসে যে কেউ ইন্টারনেট-সংযুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই সেগুলোকে অবশ্যই শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত হতে হবে।’
সরকারি কার্যবিবরণী অনুযায়ী, ৩ এপ্রিল ভারতীয় কর্মকর্তারা হানওয়া, মটোরোলা, দাহুয়া, হানিওয়েল এবং শাওমিসহ ১৭টি বিদেশি ও দেশীয় নজরদারি সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে অনেক প্রস্তুতকারক সংস্থা জানায়, তারা নতুন বিধির শর্তগুলো পূরণ করতে প্রস্তুত নয় এবং সময়সীমা পেছানোর তদবির করলেও তা ব্যর্থ হয়।
অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে ভারত সরকার জানায়, এই নীতি ‘একটি প্রকৃত নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান করছে’ এবং এটি অবশ্যই কার্যকর করতে হবে। গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটি জানিয়েছিল, সিসিটিভি সংক্রান্ত এই নিয়মের লক্ষ্য হলো—‘দেশের নজরদারি ব্যবস্থার গুণমান এবং সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা।’
রয়টার্সের এই প্রতিবেদনটি কয়েক ডজন নথি পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রস্তুতকারক এবং ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক ও ই-মেইলের রেকর্ড এবং ভারতের এই প্রযুক্তি নিরীক্ষার উদ্যোগের সঙ্গে পরিচিত ছয়জনের সাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত।
ক্যামেরা প্রস্তুতকারকেরা জানিয়েছেন, ভারতের অপর্যাপ্ত পরীক্ষার সক্ষমতা, দীর্ঘ সময় ধরে চলা কারখানা পরিদর্শন এবং সংবেদনশীল সোর্স কোডের সরকারি যাচাই-বাছাই দেশটিতে সিসিটিভি ক্যামের বাজারজাতকরণের অনুমোদনে দেরি করিয়েছে। এর ফলে অনির্দিষ্ট পরিকাঠামো ও বাণিজ্যিক প্রকল্পগুলি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। হানওয়ার দক্ষিণ এশিয়ার অধিকর্তা অজয় দুবে ৯ এপ্রিল ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে এক ই-মেইলে জানান, এমনটা হলে ‘শিল্পক্ষেত্রের লাখ লাখ ডলার ক্ষতি হবে, যা বাজারে কম্পন সৃষ্টি করবে।’
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ৩ এপ্রিল কর্মকর্তাদের জানিয়েছিল, তারা আরও বেশি পরীক্ষাগারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ বাড়াতে ভারতের শহর, অফিস এবং আবাসিক কমপ্লেক্সগুলোতে লাখ লাখ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নয়াদিল্লিতে ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ক্যামেরা রয়েছে, যার বেশির ভাগই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে খুঁটিতে লাগানো।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের বিশ্লেষক বরুণ গুপ্ত রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এই দ্রুত অগ্রগতি ভারতের নজরদারি ক্যামেরার বাজারকে গত বছরের সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে। গুপ্ত আরও জানান, চীনের হিকভিশন এবং দাহুয়া বাজারের ৩০ শতাংশ দখল করে আছে। অবশ্য ভারতের সিপি প্লাসের শেয়ার ৪৮ শতাংশ। তিনি আরও যোগ করেন, প্রায় ৮০ শতাংশ সিসিটিভি যন্ত্রাংশ চীন থেকে আসে।
হানওয়া, মটোরোলা সলিউশনস এবং ব্রিটেনের নর্ডেন কমিউনিকেশন এপ্রিলে নিজ নিজ কর্মকর্তাদের ই-মেইলের মাধ্যমে জানায়, ৬ হাজার ক্যামেরা মডেলের ১ শতাংশেরও কম ভারতের নতুন নিয়মের অধীনে অনুমোদিত হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ২০২২ সালে হিকভিশন এবং দাহুয়ার সরঞ্জাম বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। কারণ হিসেবে ওয়াশিংটন জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছিল। ব্রিটেন-অস্ট্রেলিয়াও চীনের তৈরি ডিভাইসের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এই পথে হাঁটছে ভারতও। ভারতের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একইভাবে, সিসিটিভি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ভারতকে ‘নিশ্চিত হতে হবে যে, এই ডিভাইসগুলোতে কী ব্যবহৃত হচ্ছে, কোন চিপগুলো যাচ্ছে। কারণ, চীন আমাদের উদ্বেগের একটি অংশ।’
চীনের নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোকেও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা কাজে সহযোগিতা করতে হয়। রয়টার্স এ মাসে জানিয়েছে, মার্কিন বিশেষজ্ঞরা কিছু চীনা সৌরবিদ্যুৎ ইনভার্টার পরীক্ষা করে তাতে গোপন যোগাযোগের সরঞ্জাম খুঁজে পেয়েছেন।
২০২০ সালে ভারতীয় ও চীনা বাহিনী সীমান্তে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ভারত জাতীয় নিরাপত্তার কারণে টিকটকসহ কয়েক ডজন চীনা মালিকানাধীন অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। নিজের সঙ্গে সীমান্ত আছে ভারত এমন দেশগুলোর জন্যও বিদেশি বিনিয়োগের নিয়মও কঠোর করেছে। গত বছর লেবাননে পেজারের সিরিজ বিস্ফোরণ প্রযুক্তি ডিভাইসের সম্ভাব্য অপব্যবহার এবং সিসিটিভি সরঞ্জামগুলোর পরীক্ষা দ্রুত কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভারতীয় উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তোলে বলে জানান ওই শীর্ষ ভারতীয় কর্মকর্তা।
গত মাসে শাওমি জানায়, তারা ভারতে তাদের সরবরাহ করা সিসিটিভি ডিভাইস পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা জানায়, শাওমি এই মূল্যায়ন এগিয়ে নিতে পারবে না। কারণ, ‘অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা’ অনুযায়ী চীনে শাওমি যে দুটি প্রস্তুতকারক কোম্পানিকে দিয়ে তাদের পণ্য তৈরি করায় তাদের বিষয়ে দিল্লিকে আরও বেশি তথ্য দিতে হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা ‘চীনা কোম্পানিগুলোকে কলঙ্কিত ও দমন করার জন্য জাতীয় নিরাপত্তার ধারণার সাধারণীকরণের’ বিরোধিতা করে এবং আশা করে যে, ভারত চীনা সংস্থাগুলোর জন্য একটি বৈষম্যহীন পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
কাউন্টারপয়েন্টের মতে, ভারতে সিসিটিভি চাহিদার ২৭ শতাংশই সরকারি খাতের এবং বাকি ৭৩ শতাংশ করপোরেট ক্লায়েন্ট, শিল্প এবং অন্যান্য সংস্থা এবং বাড়ির জন্য। ভারতের নতুন নিয়ম অনুযায়ী সিসিটিভি ক্যামেরায় টেম্পার-প্রুফ ঘের থাকতে হবে। পাশাপাশি শক্তিশালী ম্যালওয়্যার শনাক্তকরণ এবং এনক্রিপশন থাকতে হবে। সিসি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক দুটি কোম্পানি দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উৎপাদক সংস্থাগুলোকে সোর্স কোড পরীক্ষা করার সফটওয়্যার সরঞ্জাম পরিচালনা করতে হবে এবং সরকারি পরীক্ষাগারে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
নতুন নিয়ম ভারতের পরীক্ষাগারগুলোকে উৎপাদক কোম্পানির কাছে সোর্স কোড চাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, এটি ভারতীয় কর্মকর্তাদের বিদেশে ডিভাইস প্রস্তুতকারকদের কারখানা পরিদর্শন এবং সাইবার দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য যেসব স্থাপনা আছে সেগুলোও পরিদর্শন করার ক্ষমতা দেয়।
চীনা কোম্পানি ইনফিনোভার ভারতীয় শাখা গত মাসে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে জানায়, এ ধরনের ‘প্রয়োজনীয়তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।’ ইনফিনোভার বিপণন কর্মকর্তা সুমিত চানানা ১০ এপ্রিল এক ই-মেইলে বলেন, ‘সোর্স কোড শেয়ারিং, ফার্মওয়্যার আপগ্রেডের পরে পুনরায় পরীক্ষা এবং একাধিক কারখানা নিরীক্ষার মতো প্রত্যাশাগুলো অভ্যন্তরীণ সময়সীমাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে।’
একই দিনে তাইওয়ানভিত্তিক ভিভোটেকের ভারত শাখার কর্মকর্তা সঞ্জীব গুলাটি ভারতীয় কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলেন, এমনটা হলে ‘চলমান সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে।’ তিনি এ মাসে রয়টার্সকে জানান, ভিভোটেক পণ্যের আবেদন জমা দিয়েছে এবং আশা করছে ‘শিগগিরই ছাড়পত্র পাবে।’
ভারতে নজরদারি সরঞ্জাম পরীক্ষাকারী সংস্থা হলো স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি সার্টিফিকেশন ডিরেক্টরেট। এটি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন। সংস্থাটির ১৫টি পরীক্ষাগার রয়েছে যা একসঙ্গে ২৮টি আবেদন পর্যালোচনা করতে পারে এবং প্রতি আবেদনে সর্বোচ্চ ১০টি পর্যন্ত মডেল যাচাই করানো যেতে পারে।
সরকারি তথ্য বলছে, আজ ২৮ মে পর্যন্ত বিভিন্ন প্রস্তুতকারকের শত শত মডেল পরীক্ষার জন্য সংস্থাটিতে ৩৪২টি আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৭টি নতুন। এর মধ্যে ৩৫ টির পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে শুধু একটি বিদেশি সংস্থার। ভারতের সিপি প্লাস রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা তাদের ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরাগুলোর ছাড়পত্র পেয়েছে তবে আরও বেশ কয়েকটি মডেল ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে।
দাহুয়া বলেছে, তারাও পরীক্ষার জন্য ডিভাইস জমা দিয়েছে, কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত পণ্যগুলোর ‘ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা’ বজায় রাখার অনুমতি দিতে।


ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
২ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।


বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার...
২৮ মে ২০২৫
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
২ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
২ ঘণ্টা আগেকলকাতা প্রতিনিধি

রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী। তাদের মূল লক্ষ্য, ভোটের আগে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই তার আঁচ মিলেছে। উৎসবের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া নিউজ, বিকৃত ভিডিও এবং মিথ্যা বক্তৃতার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এমন ছবি, অডিও ও ভিডিও তৈরি করছে, যেগুলো আসল ও নকলের সীমারেখা মুছে দিয়েছে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় বক্তা এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মুখ বসিয়ে ছড়ানো হচ্ছে মিথ্যা বার্তা। উদ্দেশ্য একটাই—সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন ধরানো ও নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সাইবার সেল ও জেলা পুলিশ মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিগত চার মাসে ১ হাজার ১০০টির বেশি ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং এক্স প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল ওই চক্র। প্রশাসনের দাবি, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছি। গত চার মাসে ১ হাজার ৯৩টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি তদন্তাধীন।’ পুলিশের ধারণা, এ চক্রটি দেশীয় নয়। বহু আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গেছে, সেগুলো বিদেশ এবং ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এখন এমন ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে চেনা প্রায় অসম্ভব। ফলে একটি গুজব খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনো তথ্য যাচাই না করে কেউ শেয়ার বা ফরওয়ার্ড না করেন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘এখন অনেক অ্যাকাউন্ট বিদেশ থেকে চালানো হচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এসব তথ্য যাচাই করে পোস্ট করে।’
একই সঙ্গে, রাজ্যজুড়ে চলছে ‘ভুয়ো খবরবিরোধী’ সচেতনতামূলক অভিযান। জেলার প্রতিটি থানায় সাইবার ক্রাইম সেলের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনসভা ও স্কুল-কলেজে প্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, এই চেষ্টার লক্ষ্য শুধু অপরাধীদের ধরা নয়; বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টি করা। পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, গুজব ছড়ানোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে সামান্য উসকানিতেও বড় ধরনের অশান্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্থানীয় উৎসব বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানার আইসি উৎপল কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কয়েকটি প্রোফাইল মুছে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’ এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১ হাজারেরও বেশি বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
রাজ্যের আইটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত করা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। তাই এখন আর শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, সামাজিক সচেতনতাই গুজবের আগুন ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র। সাইবার বিশ্লেষকেদের মতে, এআই শুধু ভালো কাজের জন্য নয়, খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনো দেশে বসে আরেক দেশের রাজনৈতিক স্থিতি নষ্ট করার হাতিয়ার হিসেবে এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোট যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এ ধরনের প্রচার বাড়বে। প্রশাসনের নজর সত্ত্বেও কিছু চক্র পরিকল্পিতভাবে সামাজিক বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভোটের আগে মিথ্যা তথ্যের ঝড় ঠেকাতে তারা বিশেষ সাইবার মনিটরিং সেল চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায় তথ্যযুদ্ধই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর এ যুদ্ধের ময়দান এখন সোশ্যাল মিডিয়া।

রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী। তাদের মূল লক্ষ্য, ভোটের আগে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই তার আঁচ মিলেছে। উৎসবের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া নিউজ, বিকৃত ভিডিও এবং মিথ্যা বক্তৃতার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এমন ছবি, অডিও ও ভিডিও তৈরি করছে, যেগুলো আসল ও নকলের সীমারেখা মুছে দিয়েছে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় বক্তা এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মুখ বসিয়ে ছড়ানো হচ্ছে মিথ্যা বার্তা। উদ্দেশ্য একটাই—সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন ধরানো ও নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সাইবার সেল ও জেলা পুলিশ মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিগত চার মাসে ১ হাজার ১০০টির বেশি ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং এক্স প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল ওই চক্র। প্রশাসনের দাবি, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছি। গত চার মাসে ১ হাজার ৯৩টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি তদন্তাধীন।’ পুলিশের ধারণা, এ চক্রটি দেশীয় নয়। বহু আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গেছে, সেগুলো বিদেশ এবং ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এখন এমন ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে চেনা প্রায় অসম্ভব। ফলে একটি গুজব খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনো তথ্য যাচাই না করে কেউ শেয়ার বা ফরওয়ার্ড না করেন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘এখন অনেক অ্যাকাউন্ট বিদেশ থেকে চালানো হচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এসব তথ্য যাচাই করে পোস্ট করে।’
একই সঙ্গে, রাজ্যজুড়ে চলছে ‘ভুয়ো খবরবিরোধী’ সচেতনতামূলক অভিযান। জেলার প্রতিটি থানায় সাইবার ক্রাইম সেলের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনসভা ও স্কুল-কলেজে প্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, এই চেষ্টার লক্ষ্য শুধু অপরাধীদের ধরা নয়; বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টি করা। পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, গুজব ছড়ানোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে সামান্য উসকানিতেও বড় ধরনের অশান্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্থানীয় উৎসব বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানার আইসি উৎপল কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কয়েকটি প্রোফাইল মুছে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’ এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১ হাজারেরও বেশি বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
রাজ্যের আইটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত করা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। তাই এখন আর শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, সামাজিক সচেতনতাই গুজবের আগুন ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র। সাইবার বিশ্লেষকেদের মতে, এআই শুধু ভালো কাজের জন্য নয়, খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনো দেশে বসে আরেক দেশের রাজনৈতিক স্থিতি নষ্ট করার হাতিয়ার হিসেবে এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোট যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এ ধরনের প্রচার বাড়বে। প্রশাসনের নজর সত্ত্বেও কিছু চক্র পরিকল্পিতভাবে সামাজিক বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভোটের আগে মিথ্যা তথ্যের ঝড় ঠেকাতে তারা বিশেষ সাইবার মনিটরিং সেল চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায় তথ্যযুদ্ধই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর এ যুদ্ধের ময়দান এখন সোশ্যাল মিডিয়া।


বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার...
২৮ মে ২০২৫
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
২ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ কোটি ডলারের জমকালো বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব পাশ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এই বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এটি করা হলো। যদিও ট্রাম্প এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলরুমের জন্য ভবনটির কোনো অংশ ভাঙা হবে না।
গতকাল শুক্রবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্ব পাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদ, হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অথচ গত জুলাই মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, বলরুম নির্মাণের সময় হোয়াইট হাউসের বিদ্যমান অবকাঠামোর কিছুই ভেঙে ফেলা হবে না।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশনের কাছে নকশা না পাঠিয়েই হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলার কাজ করেছেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, নির্মাণ পরিকল্পনা ‘শিগগির’ জমা দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশন ধ্বংসের অনুমতি নয়, শুধু ভবন নির্মাণের অনুমতি চায়। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে।’

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ কোটি ডলারের জমকালো বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব পাশ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এই বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এটি করা হলো। যদিও ট্রাম্প এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলরুমের জন্য ভবনটির কোনো অংশ ভাঙা হবে না।
গতকাল শুক্রবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্ব পাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদ, হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অথচ গত জুলাই মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, বলরুম নির্মাণের সময় হোয়াইট হাউসের বিদ্যমান অবকাঠামোর কিছুই ভেঙে ফেলা হবে না।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশনের কাছে নকশা না পাঠিয়েই হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলার কাজ করেছেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, নির্মাণ পরিকল্পনা ‘শিগগির’ জমা দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশন ধ্বংসের অনুমতি নয়, শুধু ভবন নির্মাণের অনুমতি চায়। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে।’


বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার...
২৮ মে ২০২৫
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
১ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত। গাজায় ব্যাপক পুনর্গঠন কাজ শুরু হলে একটি নিরাপত্তা শূন্যতা (security vacuum) তৈরি হওয়া রোধ করতে এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে।
এই বাহিনীতে তুরস্ক সেনা পাঠাতে আগ্রহী হলেও ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা তুর্কি সেনাদের এই বাহিনীতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিচ্ছে না।
ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্কে তিক্ততা আগেই বেড়ে গিয়েছিল সিরিয়া নিয়ে। আর ইসরায়েল মনে করে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ।
তবে গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনী থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তুরস্ক ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম ‘জামিনদার’ এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সক্ষম সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত।
এই বাহিনীর নেতৃত্ব মিসরের হাতে যেতে পারে।
এটি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী না হলেও ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ স্থিতিশীলতা বাহিনীর বেশির ভাগ দেশ চাচ্ছে বাহিনীটিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট দেওয়া হোক।
এর পরিবর্তে, এটি দক্ষিণ ইসরায়েলের শহর কিরিয়াত গাতে অবস্থিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক সেল সিভিল-মিলিটারি কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (সিএমসিসি) সঙ্গে সমন্বয় করবে।
গত মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই সেলের উদ্বোধন করেন। সেলটিতে কয়েকজন ব্রিটিশ, ফরাসি, জর্ডানীয় ও আমিরাতি উপদেষ্টা রয়েছেন। এই সেল গাজায় ত্রাণ সমন্বয়ের ভূমিকাও গ্রহণ করছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও ত্রাণসহায়তা প্রবেশের প্রধান ক্রসিংগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
এ বাহিনীর কাজ হবে হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিনি সরকারকে নিরাপত্তা দেওয়া, যে সরকার গঠন নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে গতকাল শুক্রবার প্রধান ফিলিস্তিনি দলগুলো একমত হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন কমিটি এই অঞ্চল পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।
গত বৃহস্পতিবার গাজায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মৃতদেহ খুঁজে বের করতে পাঠানো তুরস্কের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের ইসরায়েলের অনুমোদনের জন্য গাজা সীমান্তের কাছে মিসরের সীমানায় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে যে উত্তেজনা বাড়ছে তারই লক্ষণ এটি।
জীবন শনাক্তকরণ ডিভাইস এবং প্রশিক্ষিত সার্চ ডগ নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ৮১ সদস্যের এই দলটি।
গতকাল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ইসরায়েলকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু করা উচিত, যার মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
এদিকে হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিন কমিটির হাতে হস্তান্তর করা হবে, যা স্বাধীন ‘টেকনোক্রেট’দের সমন্বয়ে গঠিত। এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলিতভাবে জীবন ও মৌলিক সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কায়রোর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত। গাজায় ব্যাপক পুনর্গঠন কাজ শুরু হলে একটি নিরাপত্তা শূন্যতা (security vacuum) তৈরি হওয়া রোধ করতে এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে।
এই বাহিনীতে তুরস্ক সেনা পাঠাতে আগ্রহী হলেও ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা তুর্কি সেনাদের এই বাহিনীতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিচ্ছে না।
ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্কে তিক্ততা আগেই বেড়ে গিয়েছিল সিরিয়া নিয়ে। আর ইসরায়েল মনে করে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ।
তবে গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনী থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তুরস্ক ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম ‘জামিনদার’ এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সক্ষম সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত।
এই বাহিনীর নেতৃত্ব মিসরের হাতে যেতে পারে।
এটি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী না হলেও ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ স্থিতিশীলতা বাহিনীর বেশির ভাগ দেশ চাচ্ছে বাহিনীটিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট দেওয়া হোক।
এর পরিবর্তে, এটি দক্ষিণ ইসরায়েলের শহর কিরিয়াত গাতে অবস্থিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক সেল সিভিল-মিলিটারি কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (সিএমসিসি) সঙ্গে সমন্বয় করবে।
গত মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই সেলের উদ্বোধন করেন। সেলটিতে কয়েকজন ব্রিটিশ, ফরাসি, জর্ডানীয় ও আমিরাতি উপদেষ্টা রয়েছেন। এই সেল গাজায় ত্রাণ সমন্বয়ের ভূমিকাও গ্রহণ করছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও ত্রাণসহায়তা প্রবেশের প্রধান ক্রসিংগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
এ বাহিনীর কাজ হবে হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিনি সরকারকে নিরাপত্তা দেওয়া, যে সরকার গঠন নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে গতকাল শুক্রবার প্রধান ফিলিস্তিনি দলগুলো একমত হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন কমিটি এই অঞ্চল পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।
গত বৃহস্পতিবার গাজায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মৃতদেহ খুঁজে বের করতে পাঠানো তুরস্কের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের ইসরায়েলের অনুমোদনের জন্য গাজা সীমান্তের কাছে মিসরের সীমানায় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে যে উত্তেজনা বাড়ছে তারই লক্ষণ এটি।
জীবন শনাক্তকরণ ডিভাইস এবং প্রশিক্ষিত সার্চ ডগ নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ৮১ সদস্যের এই দলটি।
গতকাল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ইসরায়েলকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু করা উচিত, যার মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
এদিকে হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিন কমিটির হাতে হস্তান্তর করা হবে, যা স্বাধীন ‘টেকনোক্রেট’দের সমন্বয়ে গঠিত। এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলিতভাবে জীবন ও মৌলিক সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কায়রোর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।


বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার...
২৮ মে ২০২৫
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
২ ঘণ্টা আগে