অনলাইন ডেস্ক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার থেকে বিজেপির ‘মিশন বেঙ্গল’ শুরু করেছেন। মূলত ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করে এই প্রচার শুরু হলেও বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সফরের মাধ্যমে মোদি প্রতিবেশী বাংলাদেশের প্রতি একটি কড়া বার্তা দিতে চান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদি তাঁর এই গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশের জন্য আলিপুরদুয়ারকে বেছে নিয়েছেন, যা বাংলাদেশের সীমান্তের খুব কাছে। রাজ্য বিজেপির সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবারের (২৯ মে) এই সভার স্থান নির্বাচনের সিদ্ধান্ত সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই আসে।
বিশ্লেষকদের মতে, আলিপুরদুয়ারের অবস্থান কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি হাসিমারা বিমানঘাঁটির কাছাকাছি, যা সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে চার দিনের সংঘাতে ভারতের বিমানশক্তির শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শনে ব্যবহৃত হয়েছিল। সংশ্লিষ্টদের মতে, এর মাধ্যমে ভারত তার সামরিক সক্ষমতার একটি ইঙ্গিত দিতে চাইছে। এটি বাংলাদেশের জন্যও একটি সামরিক ও রাজনৈতিক সিগন্যাল।
আরও একটি কারণ হলো, আলিপুরদুয়ার ‘শিলিগুড়ি করিডর’ বা ‘চিকেন নেক’-এর অংশ। এটি ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সিকিম ও উত্তর-পূর্বের সেভেন সিস্টার্সের একমাত্র স্থলপথ। এই অঞ্চলের ভৌগোলিক দুর্বলতা ভারতের জন্য সব সময় উদ্বেগের। আর এখানেই আসে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ—গত মার্চ মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের বেইজিং সফরের সময় একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছিল। তাই ভারতের এই সীমান্তে মোদির এ সফরকে সেই উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রতি একটি কৌশলগত বার্তা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
সভায় মোদি তাঁর বক্তব্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীত, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ আটকে রাখা ও অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি রাজ্যের রাজনীতিতে বিজেপির অবস্থান শক্তিশালী করার ওপরও জোর দেন। তবে, তাঁর ভাষণের অন্তর্নিহিত লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক টানাপোড়েন। বিশেষ করে, বাংলাদেশের সঙ্গে ‘চীনের ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে ভারতের অস্বস্তির ইঙ্গিত দেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি দুটি নির্বাচনে ভালো ফল করলেও সেগুলো খুব বড় জয় না। দলের রাজ্য নেতৃত্ব পরিবর্তন এবং শুভেন্দু অধিকারীর ওপর নির্ভরতাও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির ভাগ্য খুব বেশি বদলাতে পারেনি। ২০২১ সালের নির্বাচনে বিজেপি উত্তরবঙ্গে ৩০টি আসন পেলেও, গত কয়েক বছরে পাঁচটি আসন তৃণমূলে চলে গেছে। তাই মোদি চান এই অঞ্চলে বিজেপির প্রভাব ফিরিয়ে আনতে।
মোদি এই সফরের পর ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির বড় প্রচারণার ঘোষণা দেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মোদির আলিপুরদুয়ারের সভা ‘বাংলাদেশকে ভারতের শক্তি দেখানোর’ একটি বার্তা।
জনসভার আগে, মোদি কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার জন্য ১ হাজার ১০ কোটি রুপির বেশি মূল্যের একটি গ্যাস প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আড়াই লাখেরও বেশি পরিবার গ্যাস পাবে ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তবে কলকাতার মতো বড় শহরের পরিবর্তে পশ্চিমবঙ্গের দুটি দূরবর্তী জেলাকে বেছে নেওয়া এই অঞ্চলের ভৌগোলিক গুরুত্বকেই তুলে ধরে। এর মাধ্যমে বিজেপি কলকাতার দিকেও নিজেদের পথ তৈরি করতে চাইছে, যেখান থেকে নজর রাখা যাবে বাংলাদেশেও।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার থেকে বিজেপির ‘মিশন বেঙ্গল’ শুরু করেছেন। মূলত ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করে এই প্রচার শুরু হলেও বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সফরের মাধ্যমে মোদি প্রতিবেশী বাংলাদেশের প্রতি একটি কড়া বার্তা দিতে চান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদি তাঁর এই গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশের জন্য আলিপুরদুয়ারকে বেছে নিয়েছেন, যা বাংলাদেশের সীমান্তের খুব কাছে। রাজ্য বিজেপির সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবারের (২৯ মে) এই সভার স্থান নির্বাচনের সিদ্ধান্ত সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই আসে।
বিশ্লেষকদের মতে, আলিপুরদুয়ারের অবস্থান কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি হাসিমারা বিমানঘাঁটির কাছাকাছি, যা সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে চার দিনের সংঘাতে ভারতের বিমানশক্তির শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শনে ব্যবহৃত হয়েছিল। সংশ্লিষ্টদের মতে, এর মাধ্যমে ভারত তার সামরিক সক্ষমতার একটি ইঙ্গিত দিতে চাইছে। এটি বাংলাদেশের জন্যও একটি সামরিক ও রাজনৈতিক সিগন্যাল।
আরও একটি কারণ হলো, আলিপুরদুয়ার ‘শিলিগুড়ি করিডর’ বা ‘চিকেন নেক’-এর অংশ। এটি ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সিকিম ও উত্তর-পূর্বের সেভেন সিস্টার্সের একমাত্র স্থলপথ। এই অঞ্চলের ভৌগোলিক দুর্বলতা ভারতের জন্য সব সময় উদ্বেগের। আর এখানেই আসে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ—গত মার্চ মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের বেইজিং সফরের সময় একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছিল। তাই ভারতের এই সীমান্তে মোদির এ সফরকে সেই উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রতি একটি কৌশলগত বার্তা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
সভায় মোদি তাঁর বক্তব্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীত, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ আটকে রাখা ও অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি রাজ্যের রাজনীতিতে বিজেপির অবস্থান শক্তিশালী করার ওপরও জোর দেন। তবে, তাঁর ভাষণের অন্তর্নিহিত লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক টানাপোড়েন। বিশেষ করে, বাংলাদেশের সঙ্গে ‘চীনের ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে ভারতের অস্বস্তির ইঙ্গিত দেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি দুটি নির্বাচনে ভালো ফল করলেও সেগুলো খুব বড় জয় না। দলের রাজ্য নেতৃত্ব পরিবর্তন এবং শুভেন্দু অধিকারীর ওপর নির্ভরতাও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির ভাগ্য খুব বেশি বদলাতে পারেনি। ২০২১ সালের নির্বাচনে বিজেপি উত্তরবঙ্গে ৩০টি আসন পেলেও, গত কয়েক বছরে পাঁচটি আসন তৃণমূলে চলে গেছে। তাই মোদি চান এই অঞ্চলে বিজেপির প্রভাব ফিরিয়ে আনতে।
মোদি এই সফরের পর ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির বড় প্রচারণার ঘোষণা দেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মোদির আলিপুরদুয়ারের সভা ‘বাংলাদেশকে ভারতের শক্তি দেখানোর’ একটি বার্তা।
জনসভার আগে, মোদি কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার জন্য ১ হাজার ১০ কোটি রুপির বেশি মূল্যের একটি গ্যাস প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আড়াই লাখেরও বেশি পরিবার গ্যাস পাবে ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তবে কলকাতার মতো বড় শহরের পরিবর্তে পশ্চিমবঙ্গের দুটি দূরবর্তী জেলাকে বেছে নেওয়া এই অঞ্চলের ভৌগোলিক গুরুত্বকেই তুলে ধরে। এর মাধ্যমে বিজেপি কলকাতার দিকেও নিজেদের পথ তৈরি করতে চাইছে, যেখান থেকে নজর রাখা যাবে বাংলাদেশেও।
পেশাগত ক্ষেত্রে খুবই উচ্চমাত্রার দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন নারীরা। তবে, যুদ্ধক্ষেত্র ও শারীরিক সক্ষমতার ক্ষেত্রে তাঁরা তাল মেলাতে পারছেন না। যুদ্ধের ময়দানে শত্রুকে ঘায়েল করে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যে ধরনের সক্ষমতা প্রয়োজন তা তাঁদের মধ্যে তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই প্রস্তাবে ইসরায়েল রাজি কি না সেবিষয়েও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামাসের কাছে যারা এখনো জিম্মি রয়েছেন তাঁদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ
৩ ঘণ্টা আগেউত্তর গাজার শেষ সক্রিয় হাসপাতাল—আল অওদা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি প্রশাসন। এই হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে গেলে উত্তর গাজায় কার্যত আর কোনো হাসপাতাল অবশিষ্ট থাকবে না। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের স্তাভরোপল শহরে এক বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন একজন প্রভাবশালী সামরিক কর্মকর্তা ও উপ-গভর্নর জাউর আলেক্সান্দ্রোভিচ গুরৎসিয়েভ। রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে একটি রাস্তার পাশে ঘটে যাওয়া ওই বিস্ফোরণে ২৯ বছর বয়সী গুরৎসিয়েভ এবং আরও এক ব্যক্তি নিহত হন।
১৫ ঘণ্টা আগে