আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বর্তমান দালাই লামার মৃত্যুর পরও তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচিত হবেন। তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা নিজেই এমন ঘোষণা দিয়েছেন। ভারতের হিমাচল রাজ্যের ধর্মশালা থেকে এক ভিডিওবার্তায় এ ঘোষণা দেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
তিব্বতের নির্বাসিত বৌদ্ধ ও অন্য ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালাই লামার কার্যালয়ই তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করবে—বলে ওই ভিডিওবার্তায় স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। এ সময় চীনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘অন্য কারো এ ইস্যুতে হস্তক্ষেপের অধিকার নেই।’
নোবেলজয়ী এই নেতার বয়স বেড়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছিল—তবে কি তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যাবে ৬০০ বছরের পুরোনো নেতৃত্ব প্রথা? সেসব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দালাইলামা বলেন, ‘আমার মৃত্যুর পর আমার উত্তরসূরিই এই নেতৃত্ব চালিয়ে নিয়ে যাবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করছি এই প্রতিষ্ঠানটি চলতে থাকবে।’
গত রোববার ধর্মশালায় উদযাপিত হয়েছে তাঁর ৯০তম জন্মদিন। তিব্বতী চন্দ্রবর্ষ অনুযায়ী গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক উদ্যাপন। এতে অংশ নিয়েছেন ৭ হাজারেরও বেশি অতিথি। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন—ভারতের বিভিন্ন মন্ত্রীরাও। উপস্থিত আছেন হলিউড অভিনেতা ও বহুদিনের অনুসারী রিচার্ড গেয়ারও। সেখান থেকেই এই ঘোষণা দিলেন দালাই লামা।
অনেকেই বলছেন, উত্তরসূরির বিষয়ে দালাই লামার এই ঘোষণার পর বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে চীন। কারণ, চীন একাধিকবার জানিয়েছে, ভবিষ্যতে তারা নিজস্বভাবে দালাই লামার উত্তরসূরি ঘোষণা করবে। দালাই লামার মৃত্যুর পর উত্তরসূরি নির্ধারণে তাদের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত—ধরে নিয়েছিল দেশটি।
তবে দালাই লামা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্তের বৈধতা নেই। তিনি বলেন, ‘গ্যাডেন ফোডরাং ট্রাস্ট ছাড়া অন্য কারো এই বিষয়ে কোনো অধিকার নেই। এটি একটি আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় প্রক্রিয়া—এতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চলবে না।’ এই ঘোষণায় একদিকে যেমন তিব্বতি বৌদ্ধদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে, অন্যদিকে চীনের সঙ্গে নতুন করে মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্যাডেন ফোডরাং ফাউন্ডেশন সুইজারল্যান্ডভিত্তিক একটি সংস্থা। এটি ২০১৫ সালে ১৪তম দলাই লামার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ফাউন্ডেশন মূলত দলাই লামার ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক দায়িত্বসমূহ সংরক্ষণ ও সহায়তায় নিবেদিত। পাশাপাশি এটি মৌলিক মানবীয় মূল্যবোধ, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি, শান্তি, পরিবেশ রক্ষা ও তিব্বতীয় সংস্কৃতি প্রচারে কাজ করে। এই ফাউন্ডেশন বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা ও সহায়তা প্রদান করে থাকে—যার মধ্যে রয়েছে দলাই লামা গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম এবং তিব্বতীয় বৌদ্ধ সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও দর্শন সম্পর্কিত প্রকাশনা ও অনুবাদ প্রকল্পে সহযোগিতা।
এর আগে, শান্তিতে নোবেলজয়ী তিব্বতি বৌদ্ধদের এই আধ্যাত্মিক নেতাকে ৬০০ বছরের পুরোনো এই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বিধায় দেখা গেছে। কয়েক বছর আগে তিনি বলেছিলেন, তাঁর উত্তরসূরি হতে পারেন একজন নারী, কিংবা হয়তো এই প্রতিষ্ঠানই আর থাকবে না।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেছেন, যদি নির্বাসিত তিব্বতি জনগণের মধ্যে এই পদটি রাখার ব্যাপারে বর্তমানের মতোই ব্যাপক সমর্থন অব্যাহত থাকে তবে তাঁর কার্যালয় একজন উত্তরসূরি নির্বাচন করবে। দলাই লামা বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, তাঁর উত্তরসূরি চীনের বাইরে জন্ম নেবেন।
১৯৫৯ সালে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে তিব্বতে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে যান দালাইলামা। হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় গড়ে তোলেন তিব্বতের নির্বাসিত সরকার তিনি। তিব্বতের ওপর বেইজিংয়ের কড়া নিয়ন্ত্রণে অসন্তুষ্ট মানুষদের কাছে তিনি বিকল্প এক নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে ওঠেন।
বর্তমান দালাই লামার মৃত্যুর পরও তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচিত হবেন। তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা নিজেই এমন ঘোষণা দিয়েছেন। ভারতের হিমাচল রাজ্যের ধর্মশালা থেকে এক ভিডিওবার্তায় এ ঘোষণা দেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
তিব্বতের নির্বাসিত বৌদ্ধ ও অন্য ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালাই লামার কার্যালয়ই তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করবে—বলে ওই ভিডিওবার্তায় স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। এ সময় চীনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘অন্য কারো এ ইস্যুতে হস্তক্ষেপের অধিকার নেই।’
নোবেলজয়ী এই নেতার বয়স বেড়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছিল—তবে কি তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যাবে ৬০০ বছরের পুরোনো নেতৃত্ব প্রথা? সেসব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দালাইলামা বলেন, ‘আমার মৃত্যুর পর আমার উত্তরসূরিই এই নেতৃত্ব চালিয়ে নিয়ে যাবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করছি এই প্রতিষ্ঠানটি চলতে থাকবে।’
গত রোববার ধর্মশালায় উদযাপিত হয়েছে তাঁর ৯০তম জন্মদিন। তিব্বতী চন্দ্রবর্ষ অনুযায়ী গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক উদ্যাপন। এতে অংশ নিয়েছেন ৭ হাজারেরও বেশি অতিথি। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন—ভারতের বিভিন্ন মন্ত্রীরাও। উপস্থিত আছেন হলিউড অভিনেতা ও বহুদিনের অনুসারী রিচার্ড গেয়ারও। সেখান থেকেই এই ঘোষণা দিলেন দালাই লামা।
অনেকেই বলছেন, উত্তরসূরির বিষয়ে দালাই লামার এই ঘোষণার পর বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে চীন। কারণ, চীন একাধিকবার জানিয়েছে, ভবিষ্যতে তারা নিজস্বভাবে দালাই লামার উত্তরসূরি ঘোষণা করবে। দালাই লামার মৃত্যুর পর উত্তরসূরি নির্ধারণে তাদের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত—ধরে নিয়েছিল দেশটি।
তবে দালাই লামা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্তের বৈধতা নেই। তিনি বলেন, ‘গ্যাডেন ফোডরাং ট্রাস্ট ছাড়া অন্য কারো এই বিষয়ে কোনো অধিকার নেই। এটি একটি আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় প্রক্রিয়া—এতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চলবে না।’ এই ঘোষণায় একদিকে যেমন তিব্বতি বৌদ্ধদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে, অন্যদিকে চীনের সঙ্গে নতুন করে মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্যাডেন ফোডরাং ফাউন্ডেশন সুইজারল্যান্ডভিত্তিক একটি সংস্থা। এটি ২০১৫ সালে ১৪তম দলাই লামার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ফাউন্ডেশন মূলত দলাই লামার ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক দায়িত্বসমূহ সংরক্ষণ ও সহায়তায় নিবেদিত। পাশাপাশি এটি মৌলিক মানবীয় মূল্যবোধ, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি, শান্তি, পরিবেশ রক্ষা ও তিব্বতীয় সংস্কৃতি প্রচারে কাজ করে। এই ফাউন্ডেশন বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা ও সহায়তা প্রদান করে থাকে—যার মধ্যে রয়েছে দলাই লামা গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম এবং তিব্বতীয় বৌদ্ধ সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও দর্শন সম্পর্কিত প্রকাশনা ও অনুবাদ প্রকল্পে সহযোগিতা।
এর আগে, শান্তিতে নোবেলজয়ী তিব্বতি বৌদ্ধদের এই আধ্যাত্মিক নেতাকে ৬০০ বছরের পুরোনো এই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বিধায় দেখা গেছে। কয়েক বছর আগে তিনি বলেছিলেন, তাঁর উত্তরসূরি হতে পারেন একজন নারী, কিংবা হয়তো এই প্রতিষ্ঠানই আর থাকবে না।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেছেন, যদি নির্বাসিত তিব্বতি জনগণের মধ্যে এই পদটি রাখার ব্যাপারে বর্তমানের মতোই ব্যাপক সমর্থন অব্যাহত থাকে তবে তাঁর কার্যালয় একজন উত্তরসূরি নির্বাচন করবে। দলাই লামা বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, তাঁর উত্তরসূরি চীনের বাইরে জন্ম নেবেন।
১৯৫৯ সালে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে তিব্বতে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে যান দালাইলামা। হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় গড়ে তোলেন তিব্বতের নির্বাসিত সরকার তিনি। তিব্বতের ওপর বেইজিংয়ের কড়া নিয়ন্ত্রণে অসন্তুষ্ট মানুষদের কাছে তিনি বিকল্প এক নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে ওঠেন।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির জানিয়েছেন, বেলুচিস্তানের রেকো ডিক খনি থেকে দেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি নির্ভর করছে। তিনি বিশ্বাস করেন, চীন যদি পাশে থাকে, তাহলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সোনা ও তামার খনিকে ঘিরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেগত সপ্তাহেই কেনিয়ার আদালতের এক ম্যাজিস্ট্রেট আশা প্রকাশ করেছেন, ব্রিটিশ সম্পদশালী ব্যবসায়ী হ্যারি রয় ভিভার্সের আত্মা এবার হয়তো শান্তি পাবে। কিন্তু মৃত্যুর ১২ বছর পরও তাঁর মরদেহ কোথায় শায়িত হবে, সে প্রশ্ন এখনো অনির্ধারিতই রয়ে গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেউপহারটি যখন দেওয়া হয়, তখন আফসারের দোকান বন্ধ ছিল। গত শুক্রবার তিনি দোকানে পৌঁছে উপহারটি খোলেন এবং দেখেন যে স্পিকারগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ভারী।
৪ ঘণ্টা আগেতানজানিয়ার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত নর্থ মারা সোনার খনি একদিকে যেমন দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করছে, অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের জন্য নিয়ে এসেছে ভয়াবহ দুর্দশা, নির্যাতন আর মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম হু হু করে বাড়ায় এ খনিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন, পুলিশি সহিংসতা ও অপহরণের মতো ঘটনা বাড়ছে।
৫ ঘণ্টা আগে