তবে এই শান্তিপন্থী অবস্থান, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাঁকে খ্যাতি এনে দিয়েছে, তা কখনো কখনো হয়ে ওঠে তিব্বতের কিছু অংশের মানুষের হতাশার কারণ। তাঁরা মনে করেন, চীনের বিরুদ্ধে খুবই নরম ছিলেন দালাই লামা।
বর্তমান দালাই লামার মৃত্যুর পরও তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচিত হবেন। তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা নিজেই এমন ঘোষণা দিয়েছেন। ভারতের হিমাচল রাজ্যের ধর্মশালা থেকে এক ভিডিওবার্তায় এ ঘোষণা দেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রায় ৬০০ মঠ চার ধরনের তিব্বতি এবং ভারতীয় বৌদ্ধ ঐতিহ্যের প্রশিক্ষণ দেয়। এই মঠগুলোতে আধুনিক বিষয় ও ইংরেজিও শেখানো হয়। তবে যে পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়, তা সামগ্রিক ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
নতুন বইয়ে তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মের আধ্যাত্মিক নেতা দলাই লামা বলেছেন, তাঁর উত্তরসূরি চীনের বাইরে জন্ম নেবেন। দালাই লামার এমন ভবিষ্যদ্বাণী চীনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিতর্ককে আরও তীব্র করে তুলতে পারে। কারণ ছয় দশকেরও বেশি সময় আগে তিব্বতে চীনের শাসন থেকে পালিয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি।