Ajker Patrika

বিজেপির ‘বড় গলা’ স্মৃতি ইরানির একি হাল! 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৪, ২১: ৩৫
Thumbnail image

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চমক সৃষ্টি করেছিলেন বিজেপির প্রার্থী স্মৃতি ইরানি। সেবার তিনি কংগ্রেসের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উত্তর প্রদেশের আমেথি আসনে রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। এর ফলে বিজেপি সরকার গঠন করলে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়েছিল। ভারতের সংসদেও তিনি ছিলেন বিজেপির অন্যতম কণ্ঠস্বর। সংসদে প্রায় সময় রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণের পাশাপাশি বিরোধী দলের কঠোর সমালোচনায় সরব ছিলেন তিনি। কিন্তু পাঁচ বছরের ব্যবধানে সেই ছবি এখন বদলে গেছে। কংগ্রেসের প্রার্থী কিশোরীলাল শর্মার কাছে হেরে আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাঁর সংসদের বাইরে থাকা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। 

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আমেথির হারানো আসন ফিরে পেতে যাচ্ছে কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোট গণনার দিনটিতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আমেথি আসনে স্মৃতি ইরানির চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন কিশোরীলাল। এই দুজনের ভোটের ব্যবধান প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার। 

আমেথি আসনের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সম্পর্ক অনেক পুরোনো। ১৯৭৭ সাল থেকে আসনটিতে গান্ধী পরিবারের সদস্যরা নির্বাচন করে আসছেন। তবে ২০১৯ সালে স্মৃতি ইরানির কাছে এই আসনে রাহুল গান্ধী হেরে যাওয়ার পর এবার তিনি পার্শ্ববর্তী রায়বেরেলি থেকে প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে ঐতিহ্যের বাইরে গিয়ে এবার আমেথি আসনে গান্ধী পরিবারের বাইরে কংগ্রেসের একেবারে মাঠে-ঘাটের নেতা কিশোরীলাল শর্মাকে প্রার্থী করে দল। 

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, উত্তর প্রদেশে আমেথি ও রায়বেরেলি আসনে গান্ধী পরিবারের শক্ত অবস্থান তৈরির নেপথ্য ব্যক্তি ছিলেন এই কিশোরীলাল। ১৯৯৯ সালে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী যখন আমেথি থেকে নির্বাচন করেছিলেন, সেই সময় তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার ম্যানেজার ছিলেন কিশোরীলাল। এরপর থেকে আমেথির রাজনীতিতে ক্রমশ উজ্জ্বল হতে শুরু করেছিলেন তিনি। 

ভোটের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে অমেথিতে রাহুল গান্ধীর চেয়ে ৫৫ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। এবারও সবাই ধারণা করছিলেন, এই আসনে রাহুল গান্ধীই আবারও প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে তিনি আসনটি ছেড়ে দেন কিশোরীলালের কাছে। আর রাহুল প্রার্থী হন তাঁর মা সোনিয়া গান্ধীর ছেড়ে দেওয়া আসন রায়বেরেলি থেকে। আমেথি থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী স্মৃতি ইরানি রাহুল গান্ধী খোঁচা দিয়ে নানা মন্তব্য করেছিলেন। তবে তাঁকে হারিয়ে এবার সবচেয়ে বড় চমক সৃষ্টি করলেন কিশোরীলাল। বিজয় নিশ্চিত হওয়ার আগেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন গান্ধী পরিবারের সদস্যরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত