Ajker Patrika

আরব সাগরে ভারতের জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া, সতর্ক পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ২০: ৫০
ছবি: এক্স
ছবি: এক্স

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর আরব সাগরে নিজেদের জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নির্ভুল হামলার কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করতে এই মহড়া চালিয়েছে ভারত। বিশ্লেষকদের মতে, কাশ্মীর হামলার পর এই মহড়ার মাধ্যমে ভারত হয়তো তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে (পাকিস্তান) কোনো বার্তা দিতে চাচ্ছে।

মহড়ার পর দেশটির নৌবাহিনী জানিয়েছে, তারা জাতির সামুদ্রিক স্বার্থরক্ষায় ‘যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায়, যেকোনো উপায়ে’ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

নৌবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের পোস্টে সমুদ্রের মধ্যে একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে জাহাজ ও ভূমিবিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের একাধিক ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছে। এই যুদ্ধজাহাজগুলোর মধ্যে কলকাতা-ক্লাস ডেস্ট্রয়ার, নীলগিরি ও ক্রিভাক-ক্লাস ফ্রিগেট অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ভারতীয় নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজগুলো দূরপাল্লার নির্ভুল হামলা চালানোর জন্য কার্যক্ষমতা, সিস্টেম ও ক্রুর প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে এই মহড়া। আমরা সফলভাবে এই মহড়া শেষ করেছি। ভারতীয় নৌবাহিনী জাতির সামুদ্রিক স্বার্থরক্ষায় যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায়, যেকোনো উপায়ে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।’

এই মহড়ার পর আরব সাগর অঞ্চলে ভারতের মহড়া নিয়ে পাকিস্তান একটি বিবৃতি দিয়েছে।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়ার ঘটনা ঘটল। জম্মু ও কাশ্মীরে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যার পর ভারত পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানি চুক্তিও স্থগিত করেছে। এ ছাড়া আরও কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

এর জবাবে পাকিস্তানও ভারতের সঙ্গে সমস্ত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্থগিত করেছে। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর পাকিস্তানের দিক থেকে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত, যা দেশটির সৈন্যদের যুদ্ধে উসকে দেওয়ার চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে কয়েক দফায় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা এসবের জবাব দিয়েছে। তবে এই গোলাগুলিতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত