Ajker Patrika

জিম্মি জাহাজকে জলদস্যুরা ছিনতাইয়ে ব্যবহার করে কি না, নজরে রেখেছে ভারতীয় নৌবাহিনী

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪, ১৫: ৩৫
Thumbnail image

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ওপর সতর্ক নজর রাখছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ভারতের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমারের বরাতে এনডিটিভি এ খবর দিয়েছে। 

গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেন, ‘এমভি আব্দুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটিকে জলদস্যুতার কাজে ব্যবহার করা হয় কি না, সেদিকে আমরা সতর্ক নজর রাখছি। শুধু তাই নয়, সোমালি জলসীমায় যাতায়াতকারী সব জাহাজের ওপর সতর্ক নজরদারি থাকবে।’

গত ১০০ দিনে নৌবাহিনীর জলদস্যুবিরোধী এবং অন্যান্য সামুদ্রিক নিরাপত্তা অভিযানের কথা উল্লেখ করে নৌপ্রধান কুমার বলেন, ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলকে আরও নিরাপদ করতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

সামুদ্রিক নিরাপত্তা অভিযানের অংশ হিসেবে ভারতীয় নৌবাহিনী জলদস্যুবিরোধী, ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ও ড্রোন বিধ্বংসী অভিযান চালিয়েছে। অপারেশন সংকল্প চলাকালে ৪৫ ভারতীয় ও ৬৫ জন বিদেশি নাগরিককে জলদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

এর আগে গতকাল শনিবার বিচারের জন্য ৩৫ সোমালি জলদস্যুকে মুম্বাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনকে ১৭ নাবিকসহ উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। ওই জাহাজ জিম্মি করে রাখা ৩৫ সোমালি জলদস্যুও আত্মসমর্পণ করে সেদিন। জিম্মি উদ্ধারে নেতৃত্ব দিয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস কলকাতা। 

গত ডিসেম্বরে এমভি রুয়েন ছিনতাই হয়। এই জাহাজ থেকেই জলদস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিজেদের দখলে নিয়েছে বলে ইইউ নেভি বলছে। সর্বশেষ ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ ভারতীয় মহাসাগর থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিজেদের দখলে নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত