ভারতের শীর্ষ ধনী বলে পরিচিত গৌতম আদানির পরিবার গোপনে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নিজেদের নামে কিনে নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে পরিবারটি ভারতের শেয়ারবাজারে কয়েক শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া নথির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গোপন নথির বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আদানি পরিবারের সহযোগীরা বিগত কয়েক বছর ধরেই বিচক্ষণতার সঙ্গে নিজদের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনে নেওয়ার কাজটি করে যাচ্ছে। বিশেষ করে আদানি গ্রুপ যখন উল্কার বেগে বর্ধিত হচ্ছিল, তখন থেকেই এই প্রবণতা বেড়ে যায়।
গৌতম আদানির উত্থান এতটাই দ্রুততর ছিল যে,২০২২ সাল নাগাদ তিনি ভারতের শীর্ষ ধনী এবং বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হন। সে বছর তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার কোটি ডলার। পরে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নিউইয়র্কভিত্তিক আর্থিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ আদানি গ্রুপকে ‘করপোরেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জালিয়াতির’ অভিযোগে অভিযুক্ত করে।
হিন্ডেনবার্গ অভিযোগ করে, আদানি গ্রুপ ‘নির্লজ্জভাবে স্টক ম্যানিপুলেশন করে এবং আর্থিক বিবরণী জালিয়াতি করেছে। এর উদ্দেশ্য ছিল ছদ্মবেশী বিদেশি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনে নেওয়া। আদানি পরিবারের এমন কর্মকাণ্ডের ফলে আদানি গ্রুপের শেয়ারের মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে যায়। ২০২২ সালে একপর্যায়ে আদানি গ্রুপের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। পরে অবশ্য হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের পর আদানি গ্রুপ ১০ হাজার কোটি ডলার সম্পদ হারায়।
তবে আদানি গ্রুপ সব সময়ই হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, ‘শর্ট-সেলারের স্টক ম্যানিপুলেশনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই এবং এসব অভিযোগ ভারতীয় আইনের অজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত।’ প্রতিষ্ঠানটি এও বলেছে যে, এটি ভারতের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ। এমনকি এটি ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা সততা ও মানের ওপর হামলা।
এদিকে, অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিসিআরপি) প্রকাশ করা নতুন নথি যা গার্ডিয়ান ও ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের হাতে এসেছে তাতে প্রথমবারের মতো মরিশাসে একটি অপ্রকাশিত ও জটিল অফশোর কোম্পানির বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে, যা আপাতদৃষ্টিতে আদানি পরিবারের সহযোগীদের দ্বারা পরিচালিত। এই প্রতিষ্ঠানকে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম বাড়ানোর জন্য ব্যবহা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, মরিশাসের সেই অফশোর প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হলেও এখনো সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, এসব গোপন অফশোর কোম্পানি পরিচালনায় আদানির বড় ভাই বিনোদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। তবে আদানি গ্রুপ জানিয়েছে, আদানি গ্রুপের দৈনন্দিন বিষয়ে বিনোদ আদানির কোনো অংশগ্রহণ নেই।
নথিতে এসব অফশোর কোম্পানি থেকে বিনোদ আদানির দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর লাভবান হওয়ার প্রমাণও রয়েছে। এ ছাড় একাধিক আর্থিক বিবরণী এবং বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে দেখা গেছে, মরিশাসের দুটি অফশোর প্রতিষ্ঠান থেকে আদানির শেয়ার কেনায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান দুটিকে আবার দেখাশোনা করে দুবাইভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান, যেটি পরিচালনা করে থাকেন বিনোদন আদানির কর্মকর্তারা।
ভারতের শীর্ষ ধনী বলে পরিচিত গৌতম আদানির পরিবার গোপনে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নিজেদের নামে কিনে নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে পরিবারটি ভারতের শেয়ারবাজারে কয়েক শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া নথির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গোপন নথির বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আদানি পরিবারের সহযোগীরা বিগত কয়েক বছর ধরেই বিচক্ষণতার সঙ্গে নিজদের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনে নেওয়ার কাজটি করে যাচ্ছে। বিশেষ করে আদানি গ্রুপ যখন উল্কার বেগে বর্ধিত হচ্ছিল, তখন থেকেই এই প্রবণতা বেড়ে যায়।
গৌতম আদানির উত্থান এতটাই দ্রুততর ছিল যে,২০২২ সাল নাগাদ তিনি ভারতের শীর্ষ ধনী এবং বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হন। সে বছর তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার কোটি ডলার। পরে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নিউইয়র্কভিত্তিক আর্থিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ আদানি গ্রুপকে ‘করপোরেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জালিয়াতির’ অভিযোগে অভিযুক্ত করে।
হিন্ডেনবার্গ অভিযোগ করে, আদানি গ্রুপ ‘নির্লজ্জভাবে স্টক ম্যানিপুলেশন করে এবং আর্থিক বিবরণী জালিয়াতি করেছে। এর উদ্দেশ্য ছিল ছদ্মবেশী বিদেশি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনে নেওয়া। আদানি পরিবারের এমন কর্মকাণ্ডের ফলে আদানি গ্রুপের শেয়ারের মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে যায়। ২০২২ সালে একপর্যায়ে আদানি গ্রুপের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। পরে অবশ্য হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের পর আদানি গ্রুপ ১০ হাজার কোটি ডলার সম্পদ হারায়।
তবে আদানি গ্রুপ সব সময়ই হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, ‘শর্ট-সেলারের স্টক ম্যানিপুলেশনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই এবং এসব অভিযোগ ভারতীয় আইনের অজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত।’ প্রতিষ্ঠানটি এও বলেছে যে, এটি ভারতের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ। এমনকি এটি ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা সততা ও মানের ওপর হামলা।
এদিকে, অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিসিআরপি) প্রকাশ করা নতুন নথি যা গার্ডিয়ান ও ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের হাতে এসেছে তাতে প্রথমবারের মতো মরিশাসে একটি অপ্রকাশিত ও জটিল অফশোর কোম্পানির বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে, যা আপাতদৃষ্টিতে আদানি পরিবারের সহযোগীদের দ্বারা পরিচালিত। এই প্রতিষ্ঠানকে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম বাড়ানোর জন্য ব্যবহা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, মরিশাসের সেই অফশোর প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হলেও এখনো সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, এসব গোপন অফশোর কোম্পানি পরিচালনায় আদানির বড় ভাই বিনোদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। তবে আদানি গ্রুপ জানিয়েছে, আদানি গ্রুপের দৈনন্দিন বিষয়ে বিনোদ আদানির কোনো অংশগ্রহণ নেই।
নথিতে এসব অফশোর কোম্পানি থেকে বিনোদ আদানির দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর লাভবান হওয়ার প্রমাণও রয়েছে। এ ছাড় একাধিক আর্থিক বিবরণী এবং বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে দেখা গেছে, মরিশাসের দুটি অফশোর প্রতিষ্ঠান থেকে আদানির শেয়ার কেনায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান দুটিকে আবার দেখাশোনা করে দুবাইভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান, যেটি পরিচালনা করে থাকেন বিনোদন আদানির কর্মকর্তারা।
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে সিরিয়া ও ইসরায়েল। আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। পোস্টে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, জর্ডান ও অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
২৫ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিস্ফোরণে তিন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৩০) লস অ্যাঞ্জেলেসের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বিস্কেলুজ সেন্টার একাডেমি ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিতে এ দুর্ঘটনা ঘট
১ ঘণ্টা আগেভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর এনডিটিভির।
২ ঘণ্টা আগেভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্ত সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২ ঘণ্টা আগে